শেষমেশ জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের উদ্যোগে অচলাবস্থা কাটল। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে বেলদার সেই স্কুলে তালা খোলার ব্যবস্থা হল। সোমবার স্কুলে স্বাভাবিক পঠনপাঠন হয়েছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সদস্য মধুসূদন গাঁতাইত বলেন, “এসআই গিয়েছিলেন। স্কুলের তালা খোলা হয়েছে। সোমবার স্বাভাবিক পঠনপাঠনও হয়েছে। স্থানীয়দের বক্তব্য গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।”
বেলদা থানার রানিসরাই গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত একতাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দরজায় তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। এঁদের অধিকাংশই তৃণমূল সমর্থক। এর ফলে শনিবার স্কুলের বাইরেই পঠনপাঠন হয়। সমস্যায় পড়ে ছাত্রছাত্রীরা। বামেদের ডাকা বন্ধের দিন দুই শিক্ষিকা স্কুলে আসেননি। অথচ, তাঁরা হাজিরার যে হিসাব জমা দিয়েছেন, সেখানে ওই দিনের সই রয়েছে। এই অভিযোগ তুলেই স্কুলের দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। অচলাবস্থা কাটাতে সোমবার স্কুলে যান বেলদা চক্রের এসআই সুনীতি সাঁপুই। তাঁর কাছে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ নিজেদের অসন্তোষের কথা জানান। এসআই আশ্বাস দেন। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। পুরো ঘটনাটি উধ্বর্র্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে স্কুলে তালা থাকলে ছাত্রছাত্রীদের সমস্যা হবে। শেষমেশ, এসআইয়ের অনুরোধে সাড়া দিয়ে তালা খুলে দেন স্থানীয়রা।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website
may be copied or reproduced without permission.