অস্ত্র-সহ সিপিআই নেতা ধৃত আরামবাগে
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করা হচ্ছিল, এমনই অভিযোগ তুলে সোমবার আরামবাগের সিপিআই নেতা জগন্নাথ শাসমলকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দিল এক দল যুবক। পুলিশ জানায়, ধৃতের কাছ থেকে ২১টি বোমা এবং একটি পাইপগান মিলেছে। জগন্নাথবাবুর দাবি, তৃণমূলের লোকজনই হাতে অস্ত্র গুঁজে দিয়ে তাঁকে ফাঁসিয়েছে। এ কথা উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জগন্নাথবাবু আরামবাগ বয়েজ স্কুলের প্রধান শিক্ষক। এ দিন স্কুল ছুটির পরে বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ জগন্নাথবাবু মোটরবাইক চালিয়ে সালেপুর-২ পঞ্চায়েত এলাকার বসন্তবাটিতে নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন। ডোঙ্গল মোড়ে একটি হিমঘরের সামনে তাঁকে ঘিরে ধরে কয়েকশো যুবক। তাঁর কাছে আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে, এমনই অভিযোগ তুলে যুবকেরা তাঁকে মারধর শুরু করে। খবর পেয়ে পুলিশ আসে। জগন্নাথবাবুর দাবি, “তৃণমূলের ছেলেরাই মারধর করে বোমা এবং পাইপগান এনে আমার হাতে দিয়ে ফাঁসাল। আসলে পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী বাছাইয়ে আমি উদ্যোগী হতেই ওরা ষড়যন্ত্র করছে।” অভিযোগ উড়িয়ে আরামবাগের তৃণমূল বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরার দাবি, “পঞ্চায়েত ভোটে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে এবং এলাকা দখল করতেই আগ্নেয়াস্ত্র মজুত করছিলেন ওই নেতা। স্থানীয় লোকজনই তাঁকে হাতেনাতে ধরেন। এতে তৃণমূলের কেউ জড়িত নয়।”
|
কৃষক দিবসে অনুদান
নিজস্ব সংবাদদাতা • চুঁচুড়া |
সম্প্রতি কৃষক দিবস উপলক্ষে হুগলি জেলার ৫০ জন চাষিকে সরকারি অনুদান দেওয়া হল একটি অনুষ্ঠানে। জেলা উদ্যানপালন দফতরের উদ্যোগে চুঁচুড়া ধান্য গবেষণা কেন্দ্রের প্রেক্ষাগৃহে ওই অনুষ্ঠানে ‘পাওয়ার টিলার’ কেনার জন্য ৩২ জন চাষিকে ৬০ হাজার টাকা করে অনুদানের চেক তুলে দেওয়া হয়। ট্র্যাক্টর কেনার জন্য চার জন চাষিকে দেওয়া হয় দেড় লক্ষ টাকা করে অনুদান। এ ছাড়া, ‘উদ্যানরত্ন’ খেতাবের পুরস্কারস্বরূপ বলাগড়ের চাষি বুদ্ধদেব ঘোষ এবং বাবলু হেমব্রমের হাতে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান এবং স্মারক তুলে দেওয়া হয়। উন্নত মানের সব্জি চাষের জন্যে অনুদান প্রদান করা হয় আরও কিছু চাষিকে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের কৃষি প্রতিমন্ত্রী বেচারাম মান্না, রাজ্য উদ্যানপালন দফতরের প্রতিমন্ত্রী সুব্রত সাহা এবং জেলা উদ্যানপালন দফতরের অধিকর্তা দীপক ঘোষ। কৃষি প্রতিমন্ত্রী বলেন, “চাষিরা উন্নত মানের চাষ করে যাতে জেলাকে শস্যশ্যামলা করতে পারেন, সেই জন্যই এই অনুদান দেওয়া হচ্ছে।”
|
হোটেলের ঘরে মহিলার দেহ
নিজস্ব সংবাদদাতা • তারকেশ্বর |
গলার নলিকাটা অবস্থায় তারকেশ্বরের একটি হোটেলের ঘর থেকে সোমবার দুপুরে বছর তিরিশের এক মহিলার দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। তবে, রাত পর্যন্ত তাঁর পরিচয় জানা যায়নি। হোটেলের রেজিস্টারে কারও নাম ছিল না। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সকালে ওই মহিলা এক যুবকের সঙ্গে ওই হোটেলে ওঠেন। ঘরে ঢোকার পরেই তাঁরা দরজা বন্ধ করে দেন। দুপুরে হোটেলের এক মহিলা কর্মী ওই দরজা খোলা পেয়ে পরিষ্কার করতে ঢোকেন। তখনই তিনি দেহটি পড়ে থাকতে দেখেন। তবে, যুবকটির দেখা পাননি। হোটেল কর্তৃপক্ষ সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি থানায় জানান। পুলিশের এক কর্তা বলেন, “ওই মহিলার সঙ্গে পুরুষটির সম্পর্ক স্পষ্ট নয়।”
|
অস্ত্র-সহ ধৃত পাঁচ
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
অস্ত্র-সহ পাঁচ দুষ্কৃতী গ্রেফতার হল। সোমবার, বালির ২ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে। ধৃতদের নাম ঘনশ্যাম সিংহ, টিঙ্কু মাঝি, রাজু পোলকা, মহম্মদ আসিফ ও চিত্তরঞ্জন মাঝি। তাদের থেকে ১টি পাইপগান, ১ রাউন্ড গুলি, ৬টি বোমা, ১টি রড ও ৫টি ভোজালি মিলেছে। পুলিশের দাবি, এই চক্রটি মূলত হাইরোডে গাড়ি চুরি করে।
|
ছিন্নভিন্ন অবস্থায় এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করল জিআরপি। সোমবার, বালি রেলস্টেশনের কর্ড লাইন থেকে। মৃতের নাম প্রেমাংশু সিংহ (৪৭)। তিনি পদ্মবাবু রোডের বাসিন্দা। পুলিশের অনুমান, লাইন পেরোতে গিয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে এই মত্যু। বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘ সময় দেহ পড়ে থাকলেও দেখা মেলেনি পুলিশের। যদিও জিআরপির দাবি, সকাল দশটায় খবর পাওয়ার পরে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
|
রবিবার খানাকুলের সাপথ গ্রামের দক্ষিণপাড়া যুবসমাজ কল্যাণ পরিষদের প্রাঙ্গণে ‘বৃক্ষরোপণ ও পরিবেশ’ সংক্রান্ত একটি আলোচনাসভা হয়ে গেল। আরামবাগ মহকুমার বিদ্বজ্জনদের সংস্থা ‘সবুজায়ন’-এর উদ্যোগে ওই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চিকিৎসক মনোজিৎ মুখোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট মানুষ ও প্রকৃতিপ্রেমীরা।
|
ডানকুনির দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে লাগোয়া নয়ানজুলি থেকে সোমবার এক যুবকের পচাগলা দেহ উদ্ধার হল। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম রাজেশ ঝা (২৭)। তিনি ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। ক’দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। |