সম্পাদক সমীপেষু...
কেবল দুঃখ এলে তখন বলব, ‘হে ঈশ্বর, আমি কেন?’
ক্রিকেট খেলোয়াড় যুবরাজ সিংহ ইতিমধ্যেই একজন কিংবদন্তি। সম্প্রতি তাঁর ক্যানসার-যুদ্ধের ইতিকথা ‘দ্য টেস্ট অব মাই লাইফ’ প্রকাশনা উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে প্রায় ক্রিকেট-ঈশ্বর রূপে পরিগণিত সচিন তেন্ডুলকর তাঁর প্রাণখোলা বক্তব্যে বলেছেন, ও (যুবরাজ সিংহ) আমার ছোট ভাইয়ের মতো। ঈশ্বরকে প্রশ্ন করতাম, কেন যুবির ক্যানসার হল? (আ বা প ২০-৩)। তিনি ঈশ্বরকে প্রশ্ন করতেই পারেন। কিন্তু এই সংবাদটুকু পড়তে পড়তে অন্য একজন কিংবদন্তি খেলোয়াড়ের অমর উক্তি মনে পড়ল। ২০ ডিসেম্বর ২০০৮-এর আনন্দবাজার পত্রিকাতেই সেটি পড়েছি। প্রাসঙ্গিক মনে হওয়াতে সে দিন আনন্দবাজারে প্রকাশিত ছোট্ট সংবাদটুকু অগণিত পাঠক-পাঠিকার অবগতির জন্য হবহু তুলে দিলাম এড্স ধরা পড়েছে শুনে কিংবদন্তি টেনিস প্লেয়ার আর্থার অ্যাশের (ছবিতে) এক ভক্ত তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘এ রকম একটা মারণ রোগের জন্য ঈশ্বর তোমাকেই কেন বেছে নিলেন?’ অমর হয়ে থাকা প্রয়াত প্রাক্তন উইম্বলডন চ্যাম্পিয়নের জবাব, ‘বিশ্বে ৫ কোটি বাচ্চা টেনিস খেলা শুরু করে। তার মধ্যে পঞ্চাশ লক্ষ টেনিস খেলা শেখে। পঞ্চাশ হাজার পেশাদার টেনিসে যোগ দেয়। পাঁচ হাজার গ্র্যান্ড স্লাম পর্যন্ত পৌঁছায়। পঞ্চাশ জন উইম্বলডন খেলে। চার জন সেমি ফাইনাল খেলে। দু’জন ফাইনাল খেলতে পারে। আমি যখন উইম্বলডন হাতে নিয়ে সুখের পৃথিবীতে উড়ছিলাম, তখন ঈশ্বরকে জিজ্ঞেস করিনি, এত লোকের মধ্যে আমি কেন? আজ যন্ত্রণার মধ্যেও তাই জিজ্ঞাসা করব না, ঈশ্বর, আমি কেন?’ মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।
সমবায় আবাসন
ধ্রুবজ্যোতি বাগচী (‘আবাসনের বাসিন্দারা...’, ১২-৩) সমবায় আবাসনগুলির বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন। আমি পূর্ব কলকাতার একটি আবাসনে বিগত ৪৩ বছর ধরে আছি। প্রথম প্রজন্মের আবাসিকের কয়েক জন ছাড়া অনেকে গত হয়েছেন। ধীরে ধীরে আবাসনটি কিছু বয়স্ক, অসুস্থ এবং ব্যস্ত আবাসিকদের বাসস্থান হয়ে উঠেছে। অনেকের মধ্যে সমবায় আবাসনে থাকার মানসিকতার খুব অভাব। কোনও রকমে গঠন করা পরিচালনা সমিতি তাঁদের সাধ্য অনুযায়ী অপরিহার্য সেবাগুলি চালিয়ে যাচ্ছেন। বাকি আবাসিকদের নির্লিপ্ততা চোখে পড়ার মতো। কোনও সভা ডাকা হলে কোরাম হয় না। বেশ কিছু আবাসিক এমনকী রক্ষণাবেক্ষণের খরচটুকুও দিতে চান না।
কলেজের সামনে নরক
‘লরির জঞ্জাল মমতার গাড়িতে, সামাল রব’ সংবাদ (‘কলকাতা’, ১৪-৩) প্রসঙ্গে জানাই, প্রায় দু’বছর ধরে সপ্তাহে ছয় দিন ডায়মন্ড হারবার রোড (১১৭ নং জাতীয় সড়ক) ও জেমস লং সরণি দিয়ে যাতায়াত করতে হয় কাজের সূত্রে। ঠাকুরপুকুর বাজারের কাছেই অবস্থিত বিবেকানন্দ কলেজ। বেহালা-ঠাকুরপুকুর এলাকার হাতে গোনা কলেজগুলির মধ্যে এটিই পুরনো। এই কলেজে ছাত্রছাত্রীও অনেক। অথচ কলেজ চত্বরে পৌঁছনোর আগেই নাকে রুমাল চাপা দিতে হয়। ১১৭ নং জাতীয় সড়কের ধারেই এই কলেজটি। আর ওই রাস্তাতেই ডাঁই করা থাকে ঠাকুরপুকুর এলাকার আবর্জনা। নরকও বুঝি ওই কলেজের এলাকা থেকে সুন্দর!
একই অবস্থা জোকার ব্রতচারী আশ্রমের কাছে। ওই একই সড়কের ওপর। সেখানেও একই রকম আবর্জনা, দুর্গন্ধ।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.