পাথর বোঝাই ট্রাকের ধাক্কায় বৃদ্ধের মৃত্যু ঘিরে বিশৃঙ্খলা তৈরি হল মুরারই থানা এলাকায়। দুর্ঘটনার জন্য এলাকাবাসী পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের অভিযোগ, যানজট সরাতে পুলিশের কোনও ভূমিকা থাকে না। এর ফলে প্রায়ই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটতে থাকে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুরে ভাদিশ্বর মোড় লাগোয়া এলাকায় ট্রাকেক ধাক্কায় সাইকেল থেকে পড়ে যান নুর মহম্মদ (৬২) নামে ওই বৃদ্ধ। পরে ট্রাকটি তাঁর উপর দিয়ে চলে যায়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় তাঁর। মুরারই থানার অফিসার ইনচার্জ মাধবচন্দ্র মণ্ডল বলেন, “যে সময় দুর্ঘটনা ঘটেছে, তখন যানজট ছিল না। ওই সময় পুলিশ ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণও করে না।” তাঁর পাল্টা দাবি, “পুলিশ যদি রেলগেট এলাকায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পালন না করে, তা হলে এলাকাবাসীর রেলগেট এলাকায় চলাচল করাটাই মুশকিল হত।” অন্য দিকে, এদিনই সকালে লাভপুরের উজ্জ্বলপুরের কাছে সিউড়ি-কাটোয়া সড়কে ট্রাক্টরকে ওভারটেক করতে গিয়ে বাসের ছাদ থেকে পড়ে যখম হলেন তিন যাত্রী। বাস ও ট্রাকটি পুলিশ আটক করেছে।
|
একটি চারচাকা গাড়ির সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটর বাইকের মুখোমুখি ধাক্কায় মৃত্যু হল এক বাইক আরোহীর। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বোলপুর-ইলামবাজার রাস্তায় চৌপাহাড়ি জঙ্গল লাগোয়া বনেরপুকুরের কাছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত তরুণ জিয়ারুল শেখের (১৯) বাড়ি বর্ধমানের আউশগ্রাম থানা এলাকার ভুঁয়েড়া মুসলিম পাড়ায়। ওই ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন আরও দুই বাইক আরোহী। তাঁদের মধ্যে ইলামবাজারের নহনা গ্রামের বাসিন্দা নবী হোসেনকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। অন্য জন, ভুঁয়েড়ার বাসিন্দা হাসমত শেখ বর্তমানে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে বোলপুর থানার মহিদাপুরে দিদির বাড়ি আসার পথে স্থানীয় বনেরপুকুরের কাছে ওই দুর্ঘটনাটি ঘটে। একটি মোটর বাইকেই সওয়ার ছিলেন ওই তিন তরুণ। জিয়ারুলের মৃত্যু হয় ঘটনাস্থলেই।
|
চার মাস পরে বান্দোয়ান বানজোড়া হাইস্কুলে সোমবার থেকে মিড-ডে মিল চালু হয়েছে। দুর্গাপুজোর পর থেকে দুপুরের রান্না বন্ধ ছিল। স্কুল পরিচালন সমিতি শৃঙ্খলাভঙ্গ ও টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ এনে প্রধান শিক্ষক অনাদিনাথ পাত্রকে সরিয়ে দেয়। পরিচালন সমিতি সহকারী এক শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে আনে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিশ্বনাথ মাহাতো বলেন, “মিড ডে মিলের হিসাব বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। নথিপত্র ও চাল গুদামে তালা বন্ধ অবস্থায় পড়ে ছিল। এ কারণে দুপুরের রান্না চালু করা যায়নি।” তিনি জানান, মিড ডে মিল সংক্রান্ত নতুন অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে স্কুলের তরফে। সম্প্রতি চাল সরবরাহ হওয়ায় সোমবার থেকে রান্না শুরু হয়েছে। বিডিও অনিমেষকান্তি মান্না বলেন, “স্কুল কর্তৃপক্ষকে বলেছি রান্না যে কোনও ভাবে হোক চালু রাখতে হবে।”
|
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষাকেন্দ্র নিয়ে বিভ্রান্তি ময়ূরেশ্বর থানা এলাকায়। শিক্ষা দফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়ূরেশ্বর থানা এলাকার কোটাসুরে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে যাঁরা আবেদন পত্র তুলে জমা দিয়েছিলেন, তাঁদের পরীক্ষাকেন্দ্র কোথায় হবে, সে সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সাইটে ও এসএমএসের মাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে না। এর ফলে ওই সব পরীক্ষার্থীদের নাকাল হতে হচ্ছে। সমস্যার কথা স্বীকার করে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান রাজা ঘোষ বলেন, “এমন কেন হচ্ছে, তা দেখা হবে। দু’এক দিনের মধ্যেই ওই পরীক্ষার্থীরা ইন্টারনেট ও এসএমএসের মাধ্যমে জানতে পারবেন।”
|
লোডশেডিং নেই। অথচ সব সময় চালু রয়েছে জেনারেটর। সংশ্লিষ্ট বিভাগে জানিয়েও সোমবার বিকেল পর্যন্ত কোনও সুরাহা হয়নি। বিষয়টি রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালের। শুক্রবার রাত থেকে হাসপাতালের এসএনসিইউ বিভাগের সামনে স্বয়ংক্রিয় জেনারেটরটি চালু আছে। আসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার সুদীপ্ত মণ্ডল বলেন, “প্রায় ৭০০ লিটার তেল খরচ হয়েছে। মাঝে মধ্যে এমন সমস্যা দেখা দেয়। অথচ বিদ্যুৎ দফতর থেকে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।” ভোল্টেজ সমস্যার কারণে এমন হচ্ছে বলে মনে করছেন ওই দফতরের সহকারী বাস্তুকার নরেন গড়াই। খোঁজ নিয়ে ব্যবসস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
|
সুসংহত শিশুবিকাশ প্রকল্পে রান্না করা খাবারে আরশোলা মিলেছে। এমনই অভিযোগ উঠল নলহাটি পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের দু’নম্বর অঙ্গনওয়াড়িকেন্দ্রে। কেন্দ্রের কর্মী কণিকা ভোমিক অবশ্য দাবি করেন, “সামান্য ঘটনা। রান্না করার সময় যদি আরশোলা পড়ত, তা হলে তা খাবারের সঙ্গে ঘেঁটে যেত। ওই শিশু বাড়িতে খাবার নিয়ে যাওয়ার ঘণ্টা খানেক পরে কেন্দ্রে এসেছিল। যে আরশোলাটি খাবারে পড়েছিল, সেটি মরা ও শুকনো।”
|
স্কুলছুট শিশু-কিশোরদের প্রথা বহির্ভূত শিক্ষার উদ্দেশ্যে লাভপুরের লাঘাটায় রবিবার একটি স্কুল চালু করল স্থানীয় একটি সংস্থা। উদ্যোক্তাদের তরফে সুনীল টুডু ও নাড়ু মুর্মু বলেন, “৪ জন শিক্ষক ও ১৪ জন পড়ুয়াকে নিয়ে আপাতত ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলটি চালু করা হয়।” |