দলীয় গোষ্ঠী-দ্বন্দ্বের জেরে তৃণমূল কর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠল। শুক্রবার রাতে নদিয়ার চাকদহের রাধানগর এলাকায় প্রহ্লাদ রায় (৩৮) নামে শাসক দলের ওই কর্মীকে এক দল দুষ্কৃতী গুলি করে খুন করে পালায়। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে স্থানীয় দুই ব্যক্তিকে পেটায় জনতা। ভাঙচুর চলে তাঁদের বাড়িতেও। পরে পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, ধৃত দুই ব্যক্তির সঙ্গে তৃণমূলের ঘনিষ্ঠতা ছিল। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অমল ভৌমিক বলেন, “তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের ফলেই খুন হয়েছেন প্রহ্লাদবাবু। আমরা
|
নিহত প্রহ্লাদ রায়। |
খুনিদের কঠোর সাজা চাই।”
শনিবার এলাকায় আসেন তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়। তাঁর অবশ্য দাবি, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে নয়, সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই খুন করেছে প্রহ্লাদকে। অমলবাবু অবশ্য দাবি করেছেন, ধৃতদের সঙ্গে তাঁদের দলের কোনও যোগ নেই। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অরিন্দম দত্তচৌধুরী বলেন, “খুনের কারণ এখনও অস্পষ্ট। দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, শুক্রবার রাত ১১টা নাগাদ জনা কয়েক লোক প্রহ্লাদবাবুর রাধানগর গ্রামের বাড়িতে আসে। ডাক শুনে প্রহ্লাদবাবু ঘর ছেড়ে বারান্দায় আসতেই সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা চড়াও হয় তাঁর উপরে। চলতে থাকে এলোপাথারি গুলি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই তৃণমূল কর্মীর।
গুলির শব্দে কয়েকশো লোক ছুটে আসেন। তাঁদের মধ্যে পাড়ারই বাসিন্দা অমিত চক্রবর্তী ও হরিনারায়ণ মিত্রও ছিলেন। নিহতের বাড়িতে তাঁদের পা পড়তেই ক্ষুব্ধ জনতা ওই দু’জনের উপরে চড়াও হয়। শুরু হয় মারধর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় চাকদহ থানার পুলিশ। উত্তেজিত জনতার হাত থেকে অমিতবাবু ও হরিনারায়ণবাবুকে উদ্ধার করে তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও রাতভর মৃতদেহ ঘিরে রেখে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। |
শনিবার নিহত দলীয় কর্মীর বাড়িতে আসেন মুকুল রায়। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরী দফতরের প্রতিমন্ত্রী তথা দলের জেলা সভাপতি পুণ্ডরীকাক্ষ সাহা, রাজ্য সম্পাদক গৌরীশঙ্কর দত্ত, কল্যাণীর বিধায়ক রমেন বিশ্বাস। মুকুলবাবু পরে বলেন, “পঞ্চায়েত ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিল প্রহ্লাদের। তাঁর জনপ্রিয়তায় ভয় পেয়েই খুন করেছে সিপিএম। গোষ্ঠীকোন্দলের কোনও ব্যাপারই নেই।”
তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশও কিন্তু উল্টো সুর গাইছেন। তাঁদের দাবি, ধৃতেরা সম্প্রতি সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে ভিড়েছিল। যদিও দলের তফসিলি ও যুব সংগঠনের বুথ কমিটির সভাপতি প্রহ্লাদবাবু অনেক দিন ধরেই তৃণমূলে। দিন কয়েক আগে অমিত চক্রবর্তী বুথ কমিটির সদস্য হতে চেয়ে দরবার করেন প্রহ্লাদবাবুর কাছে। তিনি সেই প্রস্তাবে সায় দেননি। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল বলে স্থানীয় সূত্রের খবর।
|
জমির ন্যায্য মূল্য চেয়ে বিক্ষোভ
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাণাঘাট |
জমির ন্যায্য দাম না মেলায় ব্লক অফিসে বিক্ষোভ দেখালেন ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের জমিদাতাদের একাংশ। শনিবার দুপুরে জমির চেক না নিয়ে বিক্ষোভ দেখতে শুরু করেন শান্তিপুর ব্লকের কন্দখোলা ও ঘোড়ালিয়া গ্রামের জমিদাতারা। বিক্ষোভকারীদের অন্যতম সোমেন সাধুখাঁ, রবীন্দ্রনাথ মণ্ডলদের অভিযোগ, “জমির ঠিক দাম পাচ্ছি না। বাজার দরের চেয়ে অনেক কম দাম দেওয়া হচ্ছে।” ন্যায্য মূল্য না পেলে তাঁরা জমি দেবেন না বলে জানিয়েছেন। শান্তিপুরের বিডিও স্বপ্না পাল বলেন “বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।” |