• জলপাইগুড়ি থেকে প্রকাশিত ‘এখন বাংলা কবিতার কাগজ’ এর আত্মপ্রকাশ ঘটে ২০০৪-এ। প্রতি বছর এই উদ্দেশ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে আয়োজন করা হয় কবিতা নিয়ে আড্ডা। সময়ের তাগিদে, কবিদের আগ্রহে গত ৪-৫ বছর ধরে পত্রিকা শুরু করেছে কাব্যগ্রন্থ প্রকাশনার কাজ। প্রায় ৪০টি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। অনেকগুলোই কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ। এ বছর বইমেলায় ‘এখন’ একসঙ্গে ১০টি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ করে। প্রকাশিত হয়েছে কবি প্রবীর রায়ের ১৪টি কাব্যগ্রন্থের সমন্বয়ে ‘কবিতা সমগ্র ১’, তপেশ দাশগুপ্ত-র ‘হিট করেনি’, অনিন্দিতা গুপ্ত রায়ের ‘ডাক নাম, জলের নিবিড়ে’, সব্যসাচী হাজরার ‘পসিবিলিটি ও টিলিবিসিপ’, শৌভিক দে সরকারের ‘দখলসূত্র’, রুণা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নিলামবালা ছ’আনা’, শৌভিক দত্তের ‘কথা বলা চোখ’ এবং তপতী বাগচীর ‘এক টুকরো জ্বর’, মানিক সাহার ‘ছায়া রোদের ব্রেইল’ ও জয়শীলা গুহ বাগচির ‘দেবদারু অপেরা’।
• জলপাইগুড়ি কলাকুশলী নাট্য দলটি এ বছর ৪০ বছরে পা দিল। সেই উপলক্ষে তারা আয়োজন করেছে নাট্যোৎসব ২০১৩। মার্চ মাস জুড়ে প্রতি রবিবার রবীন্দ্রভবন মঞ্চে হচ্ছে বিভিন্ন দলের নাটক। ১০ই মার্চ ছিল অন্বেষা জলপাইগুড়ির ‘কাপুরুষ’, থিয়েটার কোলাজ কোচবিহারের ‘ফিঙ্গার প্রিন্ট’ ও কলাকুশলীর নিজেদের নতুন নাটক ‘কেঁচো’। ১৭ মার্চ অনুষ্ঠিত হল সৃজন সেনা শিলিগুড়ির নাটক ‘অমৃত’ ও উদিচী জলপাইগুড়ির ‘জনক’। ২৪শে মার্চ মঞ্চস্থ হবে জলপাইগুড়ির ইচ্ছে ডানার ‘শ্যাঁওলা’ ও শিলালী নাট্যমের ‘এখনও জীবন আছে’ এবং নৌটঙ্কি কলকাতার ‘দেয়াল’। সমাপ্তির দিনে ৩১শে মার্চ আছে আর্য নাট্য সমাজের ‘আর এক যুদ্ধ’, অনুভবের ‘স্বপ্নের সারথি’ ও রূপায়ণের ‘সিদ্ধিদাতা’।
• উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর লোকাল ল্যাঙ্গুয়েজের ব্যবস্থাপনায় ১৫, ১৬, ১৭ মার্চ মুখাবাঁশির কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল। এই কর্মশালায় কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দার্জিলিং এবং জলপাইগুড়ি জেলা থেকে প্রায় বাইশ জন প্রতিনিধি যোগদান করেন। লুপ্তপ্রায় বাদ্যযন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখার উদ্দেশ্যে আয়োজিত হল কর্মশালা। কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন ধীরেন রায়, যতিন রায়, মংলু সিং, অন্তিলাল সিং, সুরেশ রায় প্রমুখ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন অধ্যাপক নিখিলেশ রায়, লোক সংস্কৃতি বিশেষজ্ঞ দীনেশ রায়, অধ্যাপক গিরীন্দ্রনারায়ন রায় প্রমুখ।
• বালুরঘাট কলেজ ও ফোকলরিস্ট এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ ইস্টিটিউটের আয়োজনে বালুরঘাট মন্মথ মঞ্চে হল জাতীয় পর্যায়ের আলোচনা। ১৮-১৯ মার্চ সভায় লোকসংস্কৃতি তত্ত্ব, ক্ষেত্রসমীক্ষা, লোকসংস্কৃতি বিষয়ে গবেষণাপত্র উপস্থাপন করে জগৎপতি সরকার, অনিন্দ্য ভট্টাচার্য, শঙ্কর বিশ্বাস, নারায়ণচন্দ্র সাউ, ছন্দা চট্টোপাধ্যায়। ছিলেন গৌরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অচিন্ত্য বিশ্বাস, এশিয়াটিক সোসাইটির পল্লব সেনগুপ্ত, উচ্চশিক্ষা সংসদের সদস্য শেখ মকবুল ইসলাম।
• গত ১০ মার্চ তুফানগঞ্জে উদ্বোধন হল ট্রাইবাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট অফ নর্থ ইস্ট রিজিওন-এর। মূলত ক্ষীতিশচন্দ্র সরকার এবং এলাকার সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষের উদ্যোগে কেন্দ্রটির পথচলা শুরু। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ব্যবহারজীবী এবং লোক সংস্কৃতিবিদ শিবেন্দ্রনারায়ণ কোচ। উপস্থিত ছিলেন রঞ্জিৎ মাল,আলিপুরদুয়ারের মহকুমা শাসক অমলকান্তি রায়, দিলীপ বর্মা, ডঃ দ্বিজেন্দ্রলাল ভগৎ, অধ্যাপিকা নীনা সিংহ রায়, রমণীমোহন বর্মা প্রমুখ।
• স্বামী বিবেকানন্দের দেড়শোতম জন্মবর্ষ পালনে উদ্যোগী ময়নাগুড়ি বিবেকানন্দ যুব পাঠচক্র। ৩১ মার্চ স্থানীয় রবিতীর্থ ভবনে সংস্থার তরফে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। থাকবেন রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্বামী আত্মপ্রিয়ানন্দ এবং অখিলভারত বিবেকানন্দ যুব মহামন্ডলের সম্পাদক বীরেন্দ্রকুমার চক্রবর্তী।
• বালুরঘাট রবীন্দ্রভবনে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হল ‘ত্রিবেণী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ত্রিধারা’ শীর্ষক অনুষ্ঠান। আয়োজক সঙ্গীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আরোহী। সঙ্গীত পরিবেশন করেন আরোহীর কর্ণধার রাজর্ষি সাহা রায়। পরিবেশিত হয় মীরাবাঈ নৃত্য। ছিল চিরদীপ সরকার ও অনিরুদ্ধ মুখোপাধ্যায়ের সন্তুর তবলা যুগলবন্দি। |