শেষ দিনলিপি

শুভকর্মে মন, প্রত্যাবর্তনে নয়, নববর্ষের শুভেচ্ছা
বসন্তোৎসব এবং বাংলা নববর্ষের আগাম শুভেচ্ছা দিলেন। তার সঙ্গেই এমন কয়েকটা কথা, যা শুভেচ্ছার বদলে অভিসম্পাত হয়ে বাজবে বিরোধী বামেদের কানে! বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের শেষ দিনে রাজ্যপালের ভাষণের উপরে জবাবি বক্তৃতার শেষ পর্বে বামেদের প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য, “শুভকর্মে মন দিন। শরীর ভাল থাকবে, মন ভাল থাকবে।” নিজে পরামর্শ দিলেন কিন্তু বিরোধীদের বললেন, “জ্ঞান দেবেন না! মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। আর আপনাদের কথা শুনবে না। পরিবর্তন হয়েছে, প্রত্যাবর্তন আর সম্ভব নয়!” জ্ঞান দিতে বারণের জবাবে পরে বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রের প্রতিক্রিয়া,“আমরা মনে করি, সব সময়ই শেখার আছে। ওঁদের ভাষাও তো মানুষ দেখছেন!”

মধুরেণ সমাপয়েৎ
ক’দিন আগেই ১০০ দিনের কাজ নিয়ে প্রবল বিতণ্ডা হয়েছে। একে অপরকে ইস্তফার হুমকি দিয়েছেন। অধিবেশনের শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন-পর্ব মিটতেই বাম বেঞ্চে আনিসুর রহমানের আসনের দিকে এগিয়ে গেলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। প্রাক্তন পঞ্চায়েতমন্ত্রীর দিকে হাত বাড়িয়ে দিলেন বর্তমান। প্রাক্তনও হাসি মুখে পাল্টা সম্ভাষণ করলেন। তিক্ততা-পর্বে আপাতত যবনিকা পড়ল সৌজন্যের হাত ধরে। এই অবসরে আনিসুরও পঞ্চায়েতমন্ত্রীর কাছ থেকে বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করলেন, পঞ্চায়েত ভোটটা ঠিক কবে হতে পারে!

ব্যাপার কী
বাজেটের উপরে বক্তৃতায় বলেছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে কী ভাবে টাকা আদায় করতে হয়, দেখিয়ে দিচ্ছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। মুলতবি প্রস্তাবের উপরে বক্তৃতায় বললেন, “সুব্রতদা’র কাছ থেকে রাজনীতি শিখেছি। তখন ছাত্র পরিষদ করতাম। ওই বেঞ্চে (শাসক) যাঁরা আছেন, তাঁদের বেশির ভাগই সুব্রতদা’র কাছে শিখেছেন। মন্ত্রী না, সুব্রতদা বলতেই বেশি ভাল লাগে!” একটু পরে বিধানসভার রীতি-নীতি ভাঙা নিয়ে অভিযোগ করতে গিয়েও উল্লেখ করলেন, সুব্রতবাবুর মতো অভিজ্ঞ সদস্য থাকতেও কী ভাবে এমন হচ্ছে? সভার কাজ মিটে যাওয়ার পরে সুব্রতবাবু সটান কংগ্রেস বেঞ্চে মানস ভুঁইয়ার পাশে! কী ব্যাপার? এত তৈলমর্দন কেন? জানতে চাইলেন স্বভাবসিদ্ধ রসিকতায়। প্রাক্তন নেতাকে ঘিরে কিছু ক্ষণ আড্ডা হল মানস, মহম্মদ সোহরাব, অজয় দে, রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, মনোজ চক্রবর্তীদের।

অনলি শাউটিং
বিধানসভার সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাতে গিয়েই প্রবীণ বাম বিধায়ক প্রবোধচন্দ্র সিংহ সস্নেহে বলেছিলেন, “ডেপুটি স্পিকারকে ধন্যবাদ। তবে ওর খুবই অসুবিধা হচ্ছে পদে বসে। মুখটা বন্ধ হয়ে গিয়েছে তো!” সেখান থেকেই খেই ধরে সোনালি গুহের আক্ষেপ, “প্রবোধদা ঠিকই বলেছেন। আমি শাউটিং ব্রিগেডের মাথা ছিলাম। এখন যে অসীমা পাত্র এত চেঁচায়, ওর চেয়ে বেশি গলার জোর ছিল আমার! তবে শাসক-বিরোধী, দুই পক্ষকেই বলছি, আমি হইচই করতাম। কিন্তু লাইব্রেরিতে গিয়ে পড়াশোনাও করতাম। এখনকার সদস্যেরাও সেটা করতে পারলে বিতর্কের মান বাড়বে।” পাশাপাশিই সাতগাছিয়ার বিধায়কের আরও খেদ, “আমি বিধানসভার প্রথম মহিলা স্পিকার। মহিলাদের জন্য ৫০% আসন সংরক্ষণ নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় আলোচনা চলছে। কিন্তু এখানে আলোচনায় মহিলা সদস্যদের বিশেষ অংশগ্রহণ দেখছি না।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.