আর মাসখানেক। তার পরেই পঞ্জাবের ওয়াঘা-সীমান্তের দৃশ্য ফুটে উঠবে পশ্চিমবঙ্গের পেট্রাপোলে।
ওয়াঘার ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত যেমন প্রতিদিন সন্ধ্যায় দু’দেশের সেনাবাহিনী আনুষ্ঠানিক ভাবে কুচকাওয়াজ করে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তেও তার ব্যবস্থা হতে চলেছে। ওয়াঘায় যে ভাবে জাতীয় পতাকা নামিয়ে আনা হয়, দু’দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর বুটের আওয়াজে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা, বাংলাদেশ সীমান্তেও তেমনটি হবে। তবে পাকিস্তান সীমান্তে দু’দেশের জওয়ানদের শরীরী ভাষায় যে আগ্রাসী মনোভাব দেখা যায়, বাংলাদেশ সীমান্তে সেটা থাকবে না। সেখানে বরঞ্চ দু’দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কেরই প্রতিফলন ঘটবে।
প্রথমে পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্ত। তার পর পশ্চিমবঙ্গের ফুলবাড়ি-বাংলাবান্ধা এবং চ্যাংরাবান্ধা-বুড়িমারি সীমান্তেও একই ধরনের ‘রিট্রিট সেরিমনি’ আয়োজনের পরিকল্পনা নিচ্ছে বিএসএফ ও বর্ডার গার্ডস বাংলাদেশ (বিজিবি)। দু’বছর আগে থেকেই এ বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল। আজ দিল্লিতে দুই বাহিনীর বৈঠকের পর বিএসএফের ডিজি সুভাষ জোশী বলেন, “এক মাসের মধ্যেই পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্তের অনুষ্ঠান চালু হচ্ছে। দর্শকদের জন্য সীমান্তের দু’দিকে পরিকাঠামোও গড়া হচ্ছে।” ফুলবাড়ি, চ্যাংরাবান্ধা, ত্রিপুরার আখাউড়া সীমান্তেও অনুষ্ঠান শুরু হবে। বিএসএফ সূত্রের খবর, বাহিনীর মহিলা-কর্মীরাও অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
দু’দেশের মধ্যে সুসম্পর্কের এই আমেজ ধরে রাখতে সীমান্তে সাধারণ মানুষের গুলিতে মৃত্যুর ঘটনা আরও কমাতে চাইছে বিএসএফ ও বিজিবি। গত দু’বছর ধরেই বিএসএফ জওয়ানদের রাবার-বুলেট দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। একেবারে বাধ্য হলে তবেই গুলি চালাতে বলেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তবে বিএসএফ-কর্তাদের বক্তব্য, তাঁরা গুলি ছুড়বেন না বুঝতে পেরে দুষ্কৃতীরা ভোজালি-দা নিয়ে হামলা চালাচ্ছে। তাই জওয়ানদের আহত হওয়ার ঘটনা বেড়েছে। রাবার-বুলেটের পাশাপাশি তাই এ বার টেজার গান, স্টান গ্রেনেড, পাম্প অ্যাকশন গান, কাঁদানে গ্যাসও ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। |