এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজিত জনতার হাতে মার খেলেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে সোনামুখী ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। মৃত রোগীর নাম রোকিয়া বিবি (৩৫)। প্রহৃত চিকিৎসক সন্দীপ কণ্ডু জানান, ওই দিন সন্ধ্যায় খিঁচুনি নিয়ে ভর্তি হন রোকিয়া বিবি। কিছু পরেই শুরু হয় বুকে যন্ত্রণা। রাত সাড়ে নটা নাগাদ ‘হার্ট অ্যাটাকে’ মারা যান তিনি। সন্দীপবাবুর দাবি, “এ ক্ষেত্রে আমার কোনও গাফিলতি ছিল না। তবু একদল লোক চড়াও হয়ে আমাকে মারধর করে। গলার চেন ছিঁড়ে নেয়। আমি ব্লক স্বাস্থ্য অধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি।” ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রতাপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “রোগীর আত্মীয়দের কোনও অভিযোগ থাকলে আমাকে জানাতে পারতেন। সেটা না করে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ঢুকে কর্তব্যরত চিকিৎসককে মারধর করাটা অন্যায়। ঘটনাটি থানায় জানানো হবে।” বিস্ফোরক উদ্ধার। একটি বাগান থেকে ৫০টি ডিটোনেটর-সহ সাড়ে ৯ বস্তা বিস্ফোরক উদ্ধার করল পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বীরভূমের মুরারই থানার আসমানপুর গ্রাম লাগোয়া একটি বাগানে ওই বিস্ফোরক রাখা ছিল। পুলিশ ওই এলাকা থেকে তিনটি মোটরবাইকও উদ্ধার করে। |
খেলতে গিয়ে জখম পড়ুয়াদের প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা স্কুলেই করতে উদ্যোগী হয়েছে কোচবিহার প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ। এ জন্য জেলার প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা সামগ্রীর ফার্স্ট এইড বক্স রাখা হবে। ওই প্রকল্পে খরচ হবে ১০ লক্ষাধিক টাকা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরে স্কুলগুলিতে ওই বক্স পাঠিয়ে দেওয়া হবে। জেলা প্রাথমিক স্কুল সংসদের চেয়ারপার্সন কল্যাণী পোদ্দার বলেন, “বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে দেখেছি সামান্য রক্তপাতে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হচ্ছে। তাই জেলার সমস্ত স্কুলে ফার্স্ট এইড বক্স দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।” তিনি বলেন, “স্বাস্থ্য দফতরের বরাদ্দ ৬ লক্ষ টাকা হাতে থাকায় পরিকল্পনা নিতে কিছু সুবিধে হয়েছে। সর্ব্বশিক্ষা প্রকল্প থেকে বাকি চার লক্ষ টাকা তোলার চেষ্টা চলছে।” কোচবিহারে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৮১৯। ছাত্র ছাত্রী ২ লক্ষের বেশি।
|
রামনগর-১ ব্লকের হলদিয়া-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের রানিসাইতে মঙ্গলবার নতুন একটি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের উদ্বোধন করলেন বিধায়ক অখিল গিরি। উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক গণেশ কর্মকার, স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ গৌরীশঙ্কর পাণি, জেলা পরিষদ সদস্য অশোক বিশাল প্রমুখ। ১৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে সমস্ত রকমের প্রাথমিক চিকিৎসার সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে বলে জানান স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ গৌরীশঙ্করবাবু।
|
সামগ্রিক মানের বিচারে রাজ্যের তিনটি সরকারি হাসপাতাল আইএসও শংসাপত্র পেয়েছে। সেগুলি হল এম আর বাঙুর, হাওড়া জেলা হাসপাতাল এবং চুঁচুড়ার ইমামবাড়া হাসপাতাল। স্বাস্থ্য অধিকর্তা বিশ্বরঞ্জন শতপথী জানান, এই প্রথম রাজ্যের কোনও সরকারি হাসপাতাল এই শংসাপত্র পেল। তিনি বলেন, “জেলা স্তরের আটটি হাসপাতালের ব্যাপারে আবেদন জানানো হয়েছিল। তিনটির ক্ষেত্রে অনুমোদন এসেছে। বাকিগুলির বিষয়ে ধাপে ধাপে জানানো হবে।” |
বিনা খরচে চক্ষু পরীক্ষা শিবির হল জামুড়িয়ার নিঘা এমপিআই বিদ্যালয়ে। বুধবার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে এই শিবিরে ১৫০ জনের চোখ পরীক্ষা করা হয়। ২৫ জনকে ছানি অপারেশনের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। ২৫ মার্চ আসানসোলের একটি হাসপাতালে বিনা খরচে তাঁদের চোখের অপারেশন করা হবে। |