সমবায়-কর্তাকে হাইকার্টে তলব |
কেন তিনি কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অগ্রাহ্য করেছেন, রাজ্যের যুগ্ম সমবায় রেজিস্ট্রারকে ২৫ মার্চ আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে তা জানাতে হবে। বিচারপতি প্রণব চট্টোপাধ্যায় ও বিচারপতি মুরারি শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার এই নির্দেশ দিয়েছে। হাইকোর্ট ওই সমবায়-কর্তাকে হাওড়ার রামকৃষ্ণপুর সমবায় ব্যাঙ্কের চাবি সংগ্রহ করে ব্যাঙ্ক খুলে কাজ শুরুর নির্দেশ দিয়েছিল। একটি রিপোর্টও দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু তিনি নির্দেশমাফিক কাজ করেননি। এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে গ্রাহক-আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ওই সমবায় ব্যাঙ্কে ৮০ কোটি টাকা তছরুপ হয়েছে। ব্যাঙ্ক বন্ধ হয়ে গিয়েছে। হাজার হাজার গ্রাহক সর্বস্ব খুইয়েছেন। তার পরেও দোষীদের চিহ্নিত করতে আগ্রহ দেখায়নি রাজ্যের সমবায় দফতর। হাইকোর্ট ব্যাঙ্ক চালু করতে চাইলেও সমবায় দফতরের অনীহায় তা করা যাচ্ছে না। তার পরেই যুগ্ম সমবায় রেজিস্ট্রারকে হাজির হয়ে বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।
|
শিল্প-বিষয়ে তাঁর দফতরের উপদেষ্টার পরামর্শ তিনি মেনে চলছেন কি না, বিধানসভায় বিরোধীদের কাছ থেকে এই প্রশ্ন শুনতে হল শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। অধিবেশন চলাকালীন বুধবার এক বাম বিধায়কের এই প্রশ্ন অবশ্য কার্যত এড়িয়ে গিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী। তিনি বলেন, “বিধানসভার সদস্য নন এমন কারও প্রসঙ্গ কেন সভায় টেনে আনছেন? এ বিষয়ে কিছু বলব না।” সম্প্রতি রাজ্যে শিল্প গঠনে জমির অভাবের কথা কার্যত মেনে নিয়ে সৌগতবাবু মুখ্যমন্ত্রীর বিরাগভাজন হন বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। সরকারি উপদেষ্টার পদ থেকে ইস্তফাও দেন সৌগতবাবু। শিল্প নিয়ে সৌগতবাবু ও পার্থবাবুর মতানৈক্যও বেশ কয়েক বার প্রকাশ্যে এসেছে। সৌগতবাবু এ জমি-পরিস্থিতির জন্য মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের জন্য সওয়াল করলেও তাঁর সঙ্গে দ্বিমত ব্যক্ত করেছেন শিল্পমন্ত্রী। এই পটভূমিতেই বিধানসভার আলোচনা চলাকালীন শিল্পমন্ত্রীর সামনে তাঁর উপদেষ্টা-প্রসঙ্গ পাড়তে কসুর করেনি বাম শিবির।
|
কেন তিনি কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অগ্রাহ্য করেছেন, রাজ্যের যুগ্ম সমবায় রেজিস্ট্রারকে ২৫ মার্চ আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে তা জানাতে হবে। বিচারপতি প্রণব চট্টোপাধ্যায় ও বিচারপতি মুরারি শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার এই নির্দেশ দিয়েছে। হাইকোর্ট ওই সমবায়-কর্তাকে হাওড়ার রামকৃষ্ণপুর সমবায় ব্যাঙ্কের চাবি সংগ্রহ করে ব্যাঙ্ক খুলে কাজ শুরুর নির্দেশ দিয়েছিল। একটি রিপোর্টও দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু তিনি নির্দেশমাফিক কাজ করেননি। এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে গ্রাহক-আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ওই সমবায় ব্যাঙ্কে ৮০ কোটি টাকা তছরুপ হয়েছে। ব্যাঙ্ক বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তার পরেও দোষীদের চিহ্নিত করতে আগ্রহ দেখায়নি রাজ্যের সমবায় দফতর। হাইকোর্ট ব্যাঙ্ক চালু করতে চাইলেও সমবায় দফতরের অনীহায় তা করা যাচ্ছে না। তার পরেই যুগ্ম সমবায় রেজিস্ট্রারকে হাজির হয়ে বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।
|
বেশি নম্বর সত্ত্বেও বঞ্চনা, দ্রুত নিয়োগের নির্দেশ |
তথ্য জানার অধিকার আইন অনুসারে আবেদন করে স্কুল সার্ভিস কমিশন-এর পরীক্ষার উত্তরপত্র পাওয়ার পরেই ঝুলি থেকে বিড়াল বেরিয়ে পড়ল। দেখা গেল, আবেদনকারী বিপ্লব মুখোপাধ্যায় বেশি নম্বর পেলেও তাঁকে নিয়োগপত্র না-দিয়ে কম নম্বর পাওয়া প্রার্থীকে শিক্ষক-পদে নিয়োগ করা হয়েছে। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানির পরে বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত অবিলম্বে আবেদনকারীকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগপত্র দেওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি জানান, চাকরির সিনিয়রিটিও দিতে হবে ওই প্রার্থীকে। আবেদনকারীর আইনজীবী বলেন, ২০১০ সালে ইতিহাসের শিক্ষক-পদে আবেদন করেন বিপ্লববাবু। কিন্তু তিনি নিয়োগপত্র পাননি। উত্তরপত্র ও সংশ্লিষ্ট তথ্য জানতে চান তিনি। তার পরেই মামলা করেন। এসএসসি-র পরীক্ষার কাগজপত্র দেখে বিচারপতি সংশ্লিষ্ট আইনজীবীর কাছে এর ব্যাখ্যা চান। আইনজীবী বলেন, এটা কমিশনের ভুল। কমিশন ভুল সংশোধন করবে। বিচারপতি বলেন, আগে নিয়োগপত্র পাওয়া ব্যক্তি এ-পর্যন্ত চাকরিতে যে-সব সুযোগ-সুবিধা পেয়েছেন, আবেদনকারীকেও তা দিতে হবে। নিয়োগে দু’বছর দেরি হলেও ওই সময়ের অভিজ্ঞতা এবং বার্ষিক বৃদ্ধি ধরেই তাঁর বেতন নির্ধারণ করতে হবে।
|
সভায় যিনি নেই, তাঁর নামোল্লেখ চলবে না। বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে এই নিয়মের জাঁতাকলে পড়ে রাজ্য বা দেশের প্রাক্তন বা বর্তমান কোনও নেতানেত্রীরই নাম করতে পারছেন না বিধায়কেরা। বুধবার কংগ্রেসের মনোজ চক্রবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিটি প্রতিশ্রুতি ও কাজ হয়ে যাওয়ার দাবি ‘মিথ্যা’ প্রমাণ করতে গিয়ে গাঁধী পদবিধারী দুই প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ও ইউপিএ সরকারের চেয়ারপার্সনের নামোল্লেখের সঙ্গে সঙ্গে বর্তমান রেল প্রতিমন্ত্রীর নামও বলতে থাকেন। সরকার পক্ষের হট্টগোলের মধ্যেই ডেপুটি স্পিকার সোনালী গুহের ঘোষণা, নামগুলো বাদ যাবে। ওঁরা কেউ এ সভার সদস্য নন। পরে বাইরে মনোজবাবু ছাড়াও তৃণমূল ও বামপন্থীদের বলেন, “মুশকিল হয়েছে যে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, এমনকী লেনিন, স্তালিন, উগো চাভেসের নাম নিলেও ছেঁটে দেওয়ার ভয় পাচ্ছি।”
|
বিধানসভায় তৃণমূল বিধায়ক জ্যোতির্ময় করকে মহা ফাঁপরে ফেলে দিল গরু! বুধবার বিরোধীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “গরুর ছবি এঁকে নীচে গরু বলে লিখে না-দিলে ওঁরা বুঝতে পারেন না। এমনই ওঁদের বোধবুদ্ধি!” বামপন্থীরা উঠে দাঁড়িয়ে হইচই জুড়ে দেন। ক্ষুব্ধ বিরোধী নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র স্পিকারের কাছে অভিযোগ করতে থাকেন, “উনি আমাদের গরু বলেছেন।” জ্যোতির্ময়বাবু তো বটেই, মন্ত্রী অমিত মিত্র, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, মুখ্য সচেতক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ও দাঁড়িয়ে বিরোধী নেতাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, ওই প্রাণীর সঙ্গে বিরোধীদের তুলনা করা হয়নি। |