|
|
|
|
ভিড় না হওয়ার কারণ খুঁজতে বৈঠক, ছায়া গোষ্ঠী কোন্দলের |
কিংশুক গুপ্ত • ঝাড়গ্রাম |
মুখ্যমন্ত্রীর বিনপুরের সভায় ভিড় না হওয়ার কারণ খুঁজতে তৃণমূলের ডাকা জরুরি বৈঠকেও পড়েছে গোষ্ঠী-দ্বন্দ্বের ছায়া। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক সভায় মাঠ সে ভাবে ভরেনি। সে দৃশ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে ভাবনায় ফেলেছে তৃণমূল নেতৃত্বকে। তড়িঘড়ি পঞ্চায়েত নির্বাচন তদারকির জন্য গঠিত দলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা টাস্ক ফোর্সের প্রথম বৈঠকটি ডাকা হয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় মেদিনীপুরে ওই বৈঠক হবে। তাতে থাকছেন না শুভেন্দু অধিকারী। যদিও তাঁকে মাথায় রেখেই গত জানুয়ারিতে এই টাস্ক ফোর্স গড়ে দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী।
তৃণমূলের দুই সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী ও মুকুল রায় গোষ্ঠীর লড়াই জঙ্গলমহলে দলের ভাবমূর্তিতে প্রভাব ফেলেছে। মঙ্গলবারের সভায় লোক না হওয়ার পেছনে মুকুল-শুভেন্দু গোষ্ঠীর কাজিয়া অন্যতম কারণ বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। দলের অন্দরের খবর, ওই সভা আয়োজনে শুভেন্দু কার্যত নিজেকে গুটিয়ে রেখেছিলেন। দলও সে ভাবে তাঁর সাহায্য চায়নি। এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দুর সঙ্গে আলোচনা না করেই বৈঠক ডেকেছেন তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা নেতৃত্ব। |
|
বাঁকুড়া থেকে ঝাড়গ্রাম হয়ে ফিরলেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার দেবরাজ ঘোষের ছবি। |
শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ নেতা-কর্মীদের ক্ষোভ, জেলা সভাপতি দীনেন রায় মুকুল-অনুগামী। তাই এমন দিনে বৈঠক ডাকা হয়েছে, যে দিন শুভেন্দু হাজির থাকতে পারবেন না। শুভেন্দু অবশ্য এ নিয়ে মন্তব্য করেননি। তিনি শুধু বলেন, ‘‘লোকসভার অধিবেশনে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার দিল্লিতে থাকব।’’
‘‘দলীয় বৈঠকে ব্যস্ত’’ বলে বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায়। তবে দলের জেলা কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোৎ ঘোষ বলেন, “বৃহস্পতিবার টাস্ক ফোর্সের বৈঠকের কথা শুভেন্দু অধিকারীকেও জানানো হয়েছে।” জেলা তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বড় অংশের বক্তব্য, গোষ্ঠী-দ্বন্দ্বের জেরেই গত দু’মাসে তৃণমূলের জেলা কমিটির বৈঠক হয়নি। বড় নেতারা টাস্ক ফোর্সের প্রথম বৈঠকে না থাকলে ভিতরের সমস্যা মিটবে কী করে, তা নিয়ে তাঁদের ধন্দ রয়েই যাচ্ছে। তাঁদের কথায়, “পঞ্চায়েত ভোটেও এই ঝামেলার প্রভাব না পড়ে!” আজ, বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর ফেডারেশন হলে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে আর একটা বৈঠক আছে। সেখানে থাকার কথা দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর। যে প্রসঙ্গ তুলে জেলা তৃণমূলের প্রবীণ নেতারা বলছেন, “সব পক্ষের বক্তব্য সেখানেও শোনা হবে।” |
|
|
|
|
|