মারা গেলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ জিল্লুর রহমান। বুধবার সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে বাংলাদেশের সময় বিকেল ৪টে ৪৫ মিনিটে মারা যান তিনি। বয়স হয়েছিল ৮৪। রাষ্ট্রপতির মৃত্যুতে বাংলাদেশে তিন দিন জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। তাঁর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিরোধী বিএনপি দলের নেত্রী খালেদা জিয়া। বাংলাদেশের হাই কমিশনার শোক প্রকাশ করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে জিল্লুর রহমানের দেহ ঢাকায় নিয়ে আসা হবে বলে জানা গিয়েছে। ২০০৯ সালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন জিল্লুর রহমান। বেশ কিছু দিন ধরেই তিনি শ্বাসকষ্ট এবং কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। গত ৯ মার্চ তাঁকে ঢাকা সেনানিবাসের সম্মিলিত সামরিক (সিএমএইচ) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১১ মার্চ তাঁকে ভর্তি করা হয় মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে। মৃত্যুর সময় রাষ্ট্রপতির কাছে ছিলেন তাঁর ছেলে, দুই মেয়ে-সহ ঘনিষ্ঠজনেরা। ১৯২৯ সালের ৯ মার্চ কিশোরগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন জিল্লুর রহমান। পেশায় আইনজীবী জিল্লুর রহমান বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। ১৯৭২ সালে মুজিবর রহমান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি। বেশ কয়েক বার জাতীয় সংসদের সদস্যও নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৭-এর ১১ জানুয়ারি দেশে জরুরি অবস্থা জারি হলে গ্রেফতার করা হয় আওয়ামি লিগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে। তখন দক্ষতার সঙ্গে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জিল্লুর রহমান।
|
দীর্ঘ লড়াই শেষে ফের স্কুলে পা রাখল সোয়াটের সাহসিনী মালালা ইউসুফজাই। তবে এ বার আর পাকিস্তানে নয়। বাবা জিয়াউদ্দিন ইউসুফজাই ব্রিটেনে পাকিস্তান কনস্যুলেটে কাজ পাওয়ার পরই মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল মালালা ও তার পরিবারের ব্রিটেন বাস। তাই ব্রিটেনেরই এক স্কুলে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হল মালালা। মঙ্গলবারই ছিল ব্রিটেনের বার্মিংহাম এজবাস্টন গার্লস হাইস্কুলে মালালার প্রথম দিন। পিঠে গোলাপি ব্যাগ, মাথায় কালো স্কার্ফ, ও গায়ে সবুজ সোয়েটার চাপিয়ে বাবার হাত ধরে স্কুলে এল মালালা। ফের স্কুলে আসতে পেরে স্বপ্ন সত্যি হল তার। স্কুলের পাঠ্যক্রমের পাশাপাশি এখানে জিসিএসইএস পরীক্ষার প্রস্তুতিও শুরু করতে পারবে সে। তবে একটাই আক্ষেপ, স্কুলে দেখা মিলবে না ছোট বেলার বন্ধুদের।
|
গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণের মুখে পাকিস্তান। পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্মের পর থেকে এই প্রথম গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত কোনও সরকারের হাত থেকে ক্ষমতা যাবে আরও একটি নির্বাচিত সরকারের হাতে। প্রধানমন্ত্রী রাজা পারভেজ আশরফের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রস্তাব পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি বুধবার ঘোষণা করেন। আগামী ১১ মে সে দেশের সাধারণ নির্বাচন। মুশারফ জমানা শেষ হওয়ার পর পিপিপি-র যে সরকার ক্ষমতায় আসে, সেটিই এ দেশে মেয়াদ পূর্ণ করা প্রথম সরকার। |