ক্ষিপ্ত টোলগে চেয়ার ছুড়লেন
মাঠে ঝড় তুলতে না পারলেও মোহনবাগান ড্রেসিংরুমে সুনামি বয়ে গেল টোলগে ওজবের হাত ধরে!
বাগানের অস্ট্রেলীয় স্ট্রাইকার ম্যাচের সময় ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণ ভাঙতে পারলেন না। তবে ম্যাচের পর ভাঙার চেষ্টা করলেন জলের বোতল আর চেয়ার।
টোলগের নাম পেনাল্টি শু্যটারদের তালিকায় রাখেননি করিম। আর সে জন্যই করিমের উপর নিজের যাবতীয় ক্ষোভ ড্রেসিংরুমে ফিরে উগড়ে দিতে থাকেন টোলগে। ছুঁড়ে ফেলেন জলের বোতল, চেয়ারও। এর পরই করিম ক্ষুব্ধ হয়ে টোলগেকে পালটা কথা শোনালে দু’জনই তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন।
আই এফ এ শিল্ডের সেমিফাইনালে চিরশত্রু দলের কাছে টাই ব্রেকারে হারের পর সবুজ-মেরুন ড্রেসিংরুমের বাইরে ছিল শ্মশানের নিঃস্তব্ধতা। হঠাৎই ড্রেসিংরুমের ভেতর থেকে ভেসে আসে চেয়ার, জলের বোতল ছোঁড়ার শব্দ। শোনা যায় করিমের সঙ্গে টোলগের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়। টোলগে আর করিমের উত্তপ্ত কথা কাটাকাটি যখন চলছে সে সময় উপস্থিত ছিলেন মোহনবাগানের অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত। তাঁর চেষ্টাতেই কোনও রকমে করিম-টোলগের ঝামেলা থামে।

রিজার্ভ বেঞ্চে টোলগে। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস
এই ঘটনায় হতভম্ব দলের বাকি ফুটবলাররা। একেই ম্যাচ হারার ক্লান্তি, তার উপর টোলগের সুনামি সব দেখে বিধ্বস্ত নির্মল, ওডাফা, জুয়েলরা কথা বলার মত অবস্থাতে ছিলেন না। মোহন-কর্তারা চেষ্টাও করেছিলেন পুরো ঘটনাটা ধামাচাপা দিতে। তবে দেবাশিস দত্তকে পরে জিজ্ঞেস করা হলে অস্বীকার করতে পারেননি। বললেন, “এটা আমাদের দলের ভেতরের ব্যাপার। এই নিয়ে কোনও কথা বলব না।” ফুটবলাররা এড়িয়ে যাওয়ার ভঙ্গিতে বলেন, “কোচ একটু বকাবকি করছিলেন আমাদের।”
এমনিতেই টোলগের পারফরম্যান্স নেই। তার উপর তাঁর এই ধরনের উদ্ধত আচরণে চটেছেন মোহন কর্তারা। সামনা সামনি না বললেও আড়ালে তাঁদের বলতে শোনা যাচ্ছে, “ইস্টবেঙ্গল থেকে ওকে জামাই আদরে আনাটাই আমাদের কাল হয়েছে। পারফরম্যান্স নেই, তার উপর ওর জন্য শুরু থেকেই আমাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।”
করিম অবশ্য পরে সাংবাদিক সম্মেলনে এসে টোলগে প্রসঙ্গ এড়িয়ে যাওয়ারই চেষ্টা করলেন। শুধু টোলগের খারাপ পারফরম্যান্স প্রসঙ্গে বললেন, “খারাপ সময় চলছে ওর। আশা করি ও তাড়াতাড়ি এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসবে।”
এক দিকে টোলগেকে ঘিরে অশান্তি। অন্য দিকে পেনাল্টি থেকে গোল করতে না পারায় মানসিকভাবে বিধ্বস্ত মোহন-অধিনায়ক ওডাফা ওকোলি। যুবভারতী ছাড়ার আগে বলছিলেন, “পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারলাম না এটা বিশ্বাস করতে পারছি না এখনও। আমার কাছে এর কোনও ব্যাখ্যা নেই।” নির্মল শুধু বললেন, “ব্যাড লাক।” জীবনের প্রথম ডার্বিতে গোল করার পরও হতাশ সাবিথ বলছিলেন, “এই গোলের আর কোনও মূল্যই রইল না আমার কাছে।” ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’ করতে আপাতত দু’দিন প্র্যাক্টিস বন্ধ মোহনবাগানে।
এমনিতেই আই লিগে অবনমনের খাঁড়া ঝুলছে। তার উপর করিম-টোলগেকে নিয়ে অশান্তির আগুন। সব মিলিয়ে বাগান যেন ছারখার।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.