১-১ করে। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস |
তা ছাড়া তার আগে ম্যাচের মধ্যে ওডাফার ফ্রিকিক অমন দুর্দান্ত সেভ করে টাইব্রেকারে বাড়তি আত্মবিশ্বাসীও ছিল গুরপ্রীত। এই মুহূর্তে মনে পড়ছে, বিরাশি নেহরু কাপে দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচে ওদের ক্যাপ্টেনের এ রকমই একটা দুর্দান্ত ফ্রিকিক বাঁচানোর পর ওর একটা পেনাল্টিও সেভ করেছিলাম। তবে সেটা দু’টোই ম্যাচের মধ্যে। টাইব্রেকারে নয়।
রবিবারের বড় ম্যাচে দু’দলের দুই বিদেশি কোচের গেম-রিডিং যেন দুই মেরু! মর্গ্যানের দু’টো বদলের মধ্যেই চতুর ফুটবল-বুদ্ধির ছাপ দেখলাম। ডিকাকে বসিয়ে নওবা। পেনের জায়গায় বরিসিচ। নওবা নামায় ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্স থেকে আক্রমণের সংখ্যা অনেক বেড়েছিল। সঞ্জু-পেন-ডিকা, তিন জন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার একসঙ্গে খেলায় মাঝমাঠে বিপক্ষকে ট্যাকলের কাজটা সঠিক হচ্ছিল না। নওবাকে নামিয়ে সেই ভুলটা ঠিক সময় শুধরে নিয়েছে ইস্টবেঙ্গল কোচ।
মোহনবাগান কোচ যেটা পারেনি। করিম যে কেন শেষ দশ মিনিট ডিফেন্সে আরও লোক বাড়াল না। পরিবর্ত হিসেবে আরও বেশি ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার মাঠে আনল না, বুঝলাম না। বিশ্ব ফুটবলে সর্বত্র পিছিয়ে থাকা দল শেষ দশ মিনিট মরিয়া হয়ে মুহুর্মুহু উঁচু বল ফেলবেই বিপক্ষ বক্সে। প্রচুর থ্রু পাস বাড়াবে। যা কাউন্টার করতে এগিয়ে থাকা দল ডিপ ডিফেন্সের সামনে বাড়তি ডিফেন্সিভ স্ক্রিন রাখে লুজ বল কাড়ার জন্য। করিম শেষ দশ-বারো মিনিট সেই পথ পুরোপুরি নিল কই?
অবশ্য এটাও ঠিক যে, বরিসিচের গোলটা বিশ্বমানের। ওয়ান টাচে করা। যার সামনে ডিফেন্সের বেশির ভাগ সময়ই কার্যত কিছু করার থাকে না। তা হলেও বলব, মোহনবাগানের উচিত ছিল, শেষ দু’-তিন মিনিট লিড ধরে রাখা। বড় ম্যাচে এ রকম সুযোগ বারবার আসে না! |