রামপুরহাটের গ্রামে যুবতীর উপরে অত্যাচারের ঘটনায় শেষ পর্যন্ত ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হল। শনিবার রামপুরহাট থানায় দীঘলপাহাড়ি গ্রামের পাঁচ যুবকের বিরুদ্ধে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন ওই যুবতীর বাবা। ওই ঘটনায় এ দিন সকালেই রামপুরহাট আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অয়ন মজুমদারের কাছে তাঁর উপরে নির্যাতনের বিষয়ে গোপন জবানবন্দি দেন যুবতী। ধর্ষণের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান বীরভূমের এস মুরলীধর শর্মা। আজ, রবিবার যুবতীর ডাক্তারি পরীক্ষা হবে। এ দিকে, এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত মেয়েকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারেননি যুবতীর বাবা-মা। মেয়ের জন্য দিনভর দৌড়াদৌড়ি করে সন্ধ্যায় তাঁর বাবা-মা বলেন, “আমাদের আশঙ্কা মেয়েকে বাড়ি নিয়ে গেলে সমাজ থেকে জরিমানা করা হবে। সেই টাকা কোথায় পাব?”
|
কংগ্রেসের হাত ধরে নিজের দলের পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেও তা পাশ করাতে পারলেন না তৃণমূলের একাংশ। শনিবার বীরভূমের সিউড়ি পুরসভায় গোপন ভোটাভুটিতে ফল দাঁড়ায় ৯-৯। ফলে পুরপ্রধান হিসাবে টিকে রইলেন দলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, “ওরা ভুল বুঝিয়ে ১১ জন কাউন্সিলরকে অনাস্থা প্রস্তাবে সই করিয়েছিল। সেটা প্রমাণ হয়ে গেল।” গত ৬ মার্চ যাঁরা ওই প্রস্তাবে সই করেন, তাঁদের মধ্যে তৃণমূলের ৬ জন ছাড়াও কংগ্রেসের ৫ কাউন্সিলর ছিলেন। তৃণমূল কাউন্সিলর দীপক দাস বলেন, “দুই কাউন্সিলরকে শেষ মুহূর্তে ভাঙানো হয়েছে।” অনুব্রতবাবু বলেন, “কে কী বলল তাতে কিছু যায় আসে না। সিউড়ি পুরসভায় তৃণমূলের বোর্ড ছিল, তৃণমূলেরই থাকবে।”
|
দুষ্কৃতীরা তাঁর রামপুরহাটের অফিসে ঢুকে জিনিসপত্র লণ্ডভণ্ড করে দিয়ে যাওয়ায় পুলিশের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করলেন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। শুক্রবার রাতের ঘটনায় ক্ষুব্ধ সাংসদ বলেন, “আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি পুলিশ কোনও কাজ করছে না। একজন সাংসদের অফিসে একাধিক বার চুরির ঘটনা ঘটলেও পুলিশ তার কোনও কিনারা করতে পারছে না।” তিনি আরও বলেন, “পুলিশ একজন সাংসদের অফিসে নিরাপত্তা না দিতে পারলে সাধারণ মানুষকে কি নিরাপত্তা দেবে!” যদিও বীরভূমের পুলিশ সুপার মুরলীধর শর্মা বলেন, “পুলিশ নিয়ে কিছু বলার আগে আমরা কী পরিকাঠামো নিয়ে কাজ করছি সেটাও ভেবে দেখা দরকার।” তিনি জানিয়েছেন, তদন্ত শুরু হয়েছে। |