বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের টিবি ওয়ার্ড থেকে এক কলেজ ছাত্রের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ উঠল শুক্রবার। তাঁর নাম সৌমেন বাগ। বাড়ি মেমারি থানার কবিরপুরে। তিনি মেমারি কলেজের বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্র। টানা দেড় বছর ধরেই টিবি রোগে ভুগছিলেন তিনি। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায়ই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হত। নিখোঁজ ওই ছাত্রের বাবা সন্তোষ বাগ এ দিন হাসপাতাল সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন, ১১ মার্চ তিনি তাঁর ছেলেকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের টিবি ওয়ার্ডে ভর্তি করিয়েছিলেন। পর দিন বিকলে ছেলেকে ওয়ার্ডে রেখে তিনি মুড়ি কিনতে যান। ফিরে এসে দেখেন ছেলে ‘বেডে’ নেই। কর্তব্যরত নার্সকে জিজ্ঞাসা করেন তিনি। নার্স তাঁকে জানান, ওই ছাত্র বাড়ি চলে গিয়েছে। ছেলেকে সঙ্গে সঙ্গে বর্ধমান স্টেশনে খুঁজতে যান তিনি। পরে বাড়ি ফিরে গিয়ে দেখেন, ছেলে ফেরেনি। ফের হাসপাতালে ফিরে এসে তিনি সংশ্লিষ্ট নার্সকে ঘটনাটির কথা জানিয়ে ভর্তি সংক্রান্ত নথিপত্র ফেরত চান। কিন্তু ওই ওয়ার্ডের নার্সেরা তা ফেরত দিতে চাননি বলে অভিযোগ। এমনকী, হাসপাতাল থেকে কোনও রোগী নিখোঁজ হলে যে, নিখোঁজ ডায়েরি করানো হয়, তাও সময়ে করানো হয়নি বলে সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি। হাসপাতালের সুপার অসিতবরণ সামন্ত বলেন, “নিখোঁজ ওই যুবকের বছর কুড়ি বয়স। তিনি সম্ভবত বাড়িতে বা ওয়ার্ডের কাউকে কিছু না জানিয়েই চলে গিয়েছেন। আমরা সঙ্গে সঙ্গে বর্ধমান থানায় নিখোঁজ সংক্রান্ত ডায়েরি করিয়েছি।” পুলিশ জানায়, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
|
শিশু ও মহিলা বিভাগকে এক ছাদের তলায় নিয়ে আসার উদ্যোগ শুরু হয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এর জন্য মা ও শিশু সুরক্ষা কেন্দ্র তৈরি হবে। প্রস্তাবিত কেন্দ্রের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শুক্রবার বিকেলে মেদিনীপুরে এলেন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। হাসপাতাল চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠান মঞ্চে তিনি ‘স্বাস্থ্য-শিক্ষার মতো ক্ষেত্রে রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে কাজ করার’ পরামর্শ দিলেন। উপস্থিত ছিলেন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ শুদ্ধদন বটব্যাল, জেলার ভারপ্রাপ্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ত্রিদিব দাস, হাসপাতাল সুপার যুগল কর প্রমুখ। হাসপাতাল সূত্রে খবর, পরিকল্পনা অনুযায়ী মা ও শিশু সুরক্ষা কেন্দ্রের নতুন ভবনটি আট তলার হবে। ব্যয় ধরা হয়েছে ৪০ কোটি টাকা। আপাতত বরাদ্দ হয়েছে ১৬ কোটি টাকা। বরাদ্দ অর্থে চারতলা ভবন তৈরি হবে। নতুন ভবনে একশোটিরও বেশি শয্যা থাকবে। থাকবে আরও কয়েকটি বিভাগ। এখন হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ৮০-৮৫ করে শিশু ভর্তি থাকে। শয্যার অভাবে মাঝে-মধ্যে একটি শয্যায় দুই শিশুকে রাখতে হয়। নতুন ভবন তৈরি হলে শয্যা সংখ্যা বাড়বে। ফলে, সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শিলান্যাস অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, “মা ও শিশু একে অপরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত। দু’টি বিভাগ এক জায়গায় এলে সুবিধে হবে।” পাশাপাশি, চিকিৎসকদেরও রোগী এবং রোগীর পরিবারের লোকেদের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করার পরামর্শ দেন মন্ত্রী। রাজ্যের মধ্যে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই প্রথম মা ও শিশু সুরক্ষা কেন্দ্র তৈরির কাজ শুরু হল বলে মন্ত্রী জানান।
|
স্কুলে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর। পুর এলাকায় থাকা স্কুলগুলিতে সাপ্তাহিকভাবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে। মূলত হোমিওপ্যাথিক ও আর্য়ুবেদিক চিকিৎসা করা হবে। প্রয়োজন অনুযায়ী আয়রন ও ফোলিক অ্যাসিড দেওয়া হবে পড়ুয়াদের, জানান দার্জিলিং জেলার ডেপুটি সি এম ও এইচ অশোক বিশ্বাস। স্কুল হেলথ প্রোগ্রাম নামে এই প্রকল্পের মাধ্যমে ৯ থেকে ১৯ বছরের পড়ুয়াদের জন্য এই শিবিরের আয়োজন। ওষুধ দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কেন্দ্র খোলা হবে। শিলিগুড়ির স্কুলগুলির জন্য থাকছে চারজন চিকিৎসক ও দুজন ফার্মাসিস্ট। মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত জানান, যেহেতু ৫টি বোরো রয়েছে, তাই বোরো অনুযায়ী একজন করে চিকিৎসক দরকার। ২৬ মার্চ মহকুমা এই প্রকল্পের শুরু হবে।
|
এশীয় উন্নয়ন ব্যাঙ্ক বা এডিবি থেকে ২০০০ কোটি টাকার ঋণ পাচ্ছে রাজ্য। এই টাকা স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় খরচ করা হবে। শুক্রবার বিধানসভায় এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। তাঁর বক্তব্য, এই ধরনের ঋণ পাওয়ার জন্য যে-কোনও আন্তর্জাতিক অর্থ সংস্থা ঋণগ্রহীতা দেশ বা রাজ্যের কিছু আর্থিক সংস্কারের শর্ত দেয়। অমিতবাবুর দাবি, তাঁরা শর্ত পূরণ করায় এডিবি ঋণ মঞ্জুর করেছে। |