|
|
|
|
শনিবারের নিবন্ধ |
মৃতদের রাজ্যপাট |
সেটা জোব চার্নকের শহরেই। কোথায়? কলেজ স্ট্রিট। লিখছেন শংকর |
জন্মস্থান সূত্রে যে লেখকের বিরাট দাপট ছিল আমাদের পরিবারে তাঁর নাম বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর স্ত্রীও বিবাহপূর্বে বনগ্রামনিবাসিনী ছিলেন এবং সেই সূত্রে আমার মায়েরও পরিচিতা ছিলেন।
পথের পাঁচালির লেখককে দূর থেকে অনেক বারই দেখেছি এবং ব্যক্তিগত অনেক কথা শুনেছি তাঁর বিশেষ অনুরাগী আমার বৈমাত্রেয় দাদার কাছ থেকে। যিনি কোনও সময় কলেজ স্ট্রিট বইপাড়ার কাছে একটা মেসে তাঁর সঙ্গে গল্প করতে যেতেন।
যখন নিতান্ত অল্প বয়সে লেখক হওয়ার শিকে ছিঁড়ল, এবং নিজের অধিকারে বইপাড়ায় যাতায়াতের অধিকার মিলল তখন বিভূতিভূষণ ইহলোকে নেই। তাঁর দেহাবসান হয় ১ সেপ্টেম্বর ১৯৫০। সেই সময় বইপাড়ায় যে বিরাট শোকসভা হয়েছিল, সেখানে অবশ্যই উপস্থিত ছিলাম। একজন লেখক হিসেবে নয়, একজন বনগ্রামবাসী হিসেবে।
এর মাস তিনেক পরে বড় সংবাদপত্রের পাতায় আমার হাতেখড়ি। চিৎপুর পাড়ায় বর্মন স্ট্রিটে আনন্দবাজার পত্রিকায় সেই যে সম্পর্কের শুরু, বাষট্টি বছরের দূরত্ব পেরিয়ে আজও তা অব্যাহত। স্বল্পায়ু লেখকদের দেশে সেটা বোধহয় একটা রেকর্ডের মতো!
রবিবারের লেখক হিসেবে সুযোগ-সুবিধে অনেক। রাতারাতি বিনা নোটিশে পত্রিকার হাজার হাজার পাঠকের বৈঠকখানায় পৌঁছে যাওয়া এবং স্মরণে রাখা মিতব্যয়ী মধ্যবিত্ত পাঠকরা গাঁটের কড়ি খরচ করে যা কিনেছেন তার একটি শব্দও বিক্রিওয়ালার কাছে যাবার আগে অপঠিত থাকবে না। বোনাস হিসেবে পাওয়া প্রতি ঘরের গৃহিণীদের। তাঁদের দৈনন্দিন জীবনে তখনও টিভি নামক যন্ত্রটির অনুপ্রবেশ ঘটেনি। টিভি এবং টেলিফোন বাণীর বরপুত্রদের কতখানি ক্ষতি করেছে তা সম্যক বুঝতে এই লেখকেরও ছয় দশক কেটে গেল!
রবিবারের পাতা থেকে কয়েকশো ক্যাজুয়াল পাঠক-পাঠিকাকে টানতে পেরে মাথা ঘুরে যাবার অবস্থা! তখন হাওড়া চৌধুরীবাগান লেনের কানাগলিতে যে বাড়িতে ছিলাম, সেখানে পানীয় জলের বড়ই অভাব পাড়ার সবেধন নীলমণি পাবলিক টিউবওয়েলটির সামনে সারাক্ষণ লম্বা লাইন এবং দু’বালতি জল সংগ্রহ করতে প্রায় চল্লিশ মিনিট লেগে যায়। রবিবারের লেখাটি অবিশ্বাস্য সুযোগ করে দিল।
প্রতিবেশী সুধানন্দবাবু সবিস্ময়ে বললেন, ‘‘তুমি কাগজে লেখো! শোনো, সময় নষ্ট কোরো না। আমাদের বাড়ির প্রাইভেট টিউবওয়েল থেকে যত বার ইচ্ছে জল নিয়ে যাবে।” একটি মাত্র লেখা থেকে এই অবিশ্বাস্য ভাগ্য পরিবর্তন এবং পোস্টাল মানি অর্ডারে দশ টাকা পারিশ্রমিক ভাবা যায় না!
সাহস খুব বেড়ে গেল। রবিবারের সম্পাদকের মন কী ভাবে জয় করা যায় তার জন্য নানা অনুসন্ধান শুরু হয়ে গেল। রিসার্চ থেকে বেরুল বিখ্যাত ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে সাক্ষাৎকার কাজ দিতে পারে। দুর্ভাগ্যক্রমে একজন বিখ্যাত লেখককেও তখন চিনতাম না। অবশেষে সাহস করে কলকাতার রাজপথের এক সিনিয়র ষাঁড়কে ইন্টারভিউ করলাম। লেখার নাম দিলাম ‘কলকাতার ষণ্ড সংস্কৃতি’। অবাক কাণ্ড, এই লেখাটি প্রকাশিত হল এবং সুরসিক সাংবাদিক পরিমল গোস্বামীর দৃষ্টি আকর্ষণ করল।
একটি পোস্টকার্ড নির্দেশিত হয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গেলাম। তিনি জানতে চাইলেন, আইডিয়াটা মাথায় এল কী করে? বললাম, শিয়ালদহ সুরেন্দ্রনাথ কলেজে যাওয়ার পথে বড়বাজারের প্রতিটি ষাঁড় আমার বিশেষ পরিচিত। এদের ডিসিপ্লিন এবং নিয়মানুবর্তিতা আমাকে মুগ্ধ করে। নোটবই-পেন্সিল হাতে অনেকক্ষণ এদের পিছনে ঘুরে বেড়ালে মোটেই বিরক্ত হয় না। বড়বাজারের অনেক ষাঁড় ট্র্যাফিক সিগনাল মেনে রাস্তা পার হয় শুনে পরিমলবাবু বিশেষ খুশি হলেন। জিজ্ঞেস করলেন, “এর পর আপনি কি কুকুরদের সম্বন্ধে লিখবেন?”
“খুবই লিখতে লোভ হয়। কিন্তু সাহস হয় না। রাস্তার কুকুরদের মেজাজ খুবই খারাপ। কামড়ালে আর রক্ষে নেই। পাব তো দশটা টাকা! কিন্তু নিতে হবে বারোটা ইঞ্জেকশন।”
‘‘লেখার লাইন ছেড়ে দেবেন?”
‘‘অবশ্যই নয়। স্বামী বিবেকানন্দ বলে গিয়েছেন যুব সম্প্রদায়কে হে বীর, সাহস অবলম্বন করো।”
“ওঁর সব কথা একশো শতাংশ সত্য বলে মেনে নেওয়ার প্রয়োজন আছে কি? উনি লিখেছিলেনওঠো, জাগো! ওরে বাবা, ঘুমের ঘোরে উঠে পড়া মোটেই নিরাপদ নয়। আগে তো জাগতে হবে। তার পর তো উঠব!”
আমি বললাম, “স্বামীজির সঙ্গে তর্কাতর্কি করবার কোনও স্কোপ আমাদের বিবেকানন্দ স্কুলে ছিল না। বড় জোর নতমস্তকে পাশ কাটিয়ে গিয়ে যা-ইচ্ছে-তাই করে যাওয়া। এর জন্য প্রয়োজন অবশ্য প্রচণ্ড মাথা খাটানো! আমি তাই করেছি। আমার পকেটে যে ম্যানুস্ক্রিপ্টটি রয়েছে, তার নাম দিয়েছি ‘মেমসায়েবদের কুকুর’। এরা খুব সুইট, অর্ডার না পেলে কামড়ায় না। কামড়ালেও ইঞ্জেকশন নিতে হয় না। বরং কপাল ভাল থাকলে চাকরিও পাওয়া যায় মেমসাহেবের হাজবেন্ডের অফিসে। আমার জানাশোনা একজন এই ভাবে ভাগ্য ফিরিয়ে নিয়েছে।”
লেখাটা পড়ে সম্পাদক বললেন, “আপনি তো বন্ধুর এই চাকরি পাওয়ার কথা লেখেননি?”
“লিখব কী করে? স্বামীজি বলে গিয়েছেন বাঙালির মস্ত দোষ পরশ্রীকাতরতা। তিনি বারে বারে বলেছেন হিংসুটে হোয়ো না।”
“একটু নেগেটিভ ভাব না থাকলে ব্যঙ্গ লেখক হওয়া যায় না।”
“আমি তো ওই লাইনে যাব না বলে প্রতিজ্ঞা করেছি।”
“কার কাছে?”
“শিব্রাম চকরবরতির কাছে।”
“ওঁকে তুমি চেনো?”
“চিনি না। সাহস করে একজনের সঙ্গে ওঁর বিখ্যাত মেসে গিয়েছিলাম। উনিই তো বললেন, ‘‘খবরদার এই লাইনে আসবে না! সবাইকে বলে দেবে, যে যত হাসাবে, তাকে তত কাঁদতে হবে!” বললাম, “একটা পথ বাতলে দিন না স্যার। নেক্সট ফাইভ ইয়ার্স আপনার হর্ষবর্ধন-গোবর্ধন ছাড়া আমি আর কিছুই পড়ব না।”
“রবীন্দ্রনাথ?”
“গোমাংসবৎ এড়িয়ে যাব ওঁকে। পড়ে লাভ নেই। নকল করা অসম্ভব!”
শিব্রাম একটু ভাবলেন। তার পর মুখ খুললেন। “আমার প্রত্যেকটা কথার কদর্থ করে লোকে। তাই উপদেশ দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। কিন্তু তুমি হাওড়ার সিটিজেন। সম্পাদকের পাঠানো দশটা টাকা তোমার এতই প্রয়োজন যে কাজিনের সঙ্গে প্রেমট্রেম না করে তুমি লেখায় আত্মবিসর্জন করতে চাইছ! শোনো, যত পারো পাঠক পাঠিকাকে কাঁদাবে। তারাই তোমার মুখে হাসি ফুটিয়ে দেবে। তারা সম্পাদককে এত পোস্ট-কার্ড পাঠাবে যে এক বছরের মধ্যে লেখার জন্য তোমার রেট টোয়েন্টি পার্সেন্ট বেড়ে বারো টাকা হয়ে যাবে!”
এ সব কত দিন আগেকার কথা। পরিমল গোস্বামী ক্ষমা করে দিলেন, আমার লেখায় পোষা কুকুরের নির্বিষ কামড় থেকে চাকরির উৎপত্তি হওয়ার ব্যাপারটা চেপে যাওয়ায়। বললেন, “এই হচ্ছে আমাদের দেশে সাহিত্যসৃষ্টির অন্তরায়! পারিপার্শ্বিকের তাগিদে অনেক কথা চেপে যেতে হয়। যুগজয়ী মহাপুরুষ হলে, কুকুরে কামড়ানো মানুষটির ভাগ্য পরিবর্তনের কথাটা হৃদয়গ্রাহী ভাষায় লিখে ইঙ্গিত দিতেন। সব আনন্দের পিছনেই খুঁজে পাওয়া যায় কিছু নিরানন্দকে।”
ফরিদপুরের পরিমল গোস্বামী এর পরেও প্রায় পঁচিশ বছর বেঁচেছিলেন। সেই সময় কে যেন আমার সাহিত্যের প্রাঙ্গণে প্রবেশকে ‘বিনা-টিকিটের’ যাত্রী বলে বর্ণনা করেছিলেন। তখন পরিমলবাবু উৎসাহ জুগিয়েছিলেন। কেউ কার্ডে নিমন্ত্রিত হয়, কেউ টিকিট কেটে ঢোকে! |
|
লেখক হয়ে বইপাড়ায় যাতায়াত বেড়ে গিয়েছিল। শিব্রামবাবু প্রায়ই ঘুরে বেড়াতেন। সস্নেহে বলতেন, “সময় অমূল্য কাজিনের সঙ্গে আনন্দ সংসর্গ না করে, এ পাড়ায় সময় নষ্ট করা কেন! এখানে অচিন্ত্য, মানিক, তারাশঙ্কর এটসেটরা পাহাড়, পর্বত এবং বৃহদারণ্য বনস্পতি ছাড়া আর কী দেখবে?”
সত্যিই, বাংলার বইপাড়ায় সে এক দুর্লভ স্বর্ণযুগ! বঙ্গবাণীর এতগুলো বরপুত্রকে দু’শ বছরের ইতিহাসে আর কখনও একত্রিত দেখা যায়নি। বাংলা কথাসাহিত্যে, প্রবন্ধসাহিত্যে, রসসাহিত্যে, ভ্রমণসাহিত্যে কলেজ স্ট্রিট তখন প্রয়াগের মহাকুম্ভ। আশ্চর্য একটাই, শরৎচন্দ্র-রবীন্দ্রনাথের দেহাবসানের পর এমন যুগ যে আর আসেনি তা কারও খেয়াল হয়নি।
কিছু নাম করা যেতে পারে। দাপুটে ব্যানার্জিদের মধ্যে মানিক, তারাশঙ্কর, শরদিন্দু; মুখুজ্জেদের মধ্যে শৈলজানন্দ, বনফুল, যাযাবর, বিভূতি ও আশুতোষ; মিত্রদের মধ্যে প্রেমেন্দ্র, বিমল, নরেন্দ্রনাথ; বসুদের মধ্যে রাজশেখর (পরশুরাম), বুদ্ধদেব, সমরেশ; গাঙ্গুলিদের মধ্যে নারায়ণ ও সুনীল; ঘোষদের মধ্যে সুবোধ, সন্তোষকুমার। আরও আছেন অনেকে। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, আশাপূর্ণা দেবী, সতীনাথ ভাদুড়ি, প্রমথনাথ বিশী, জরাসন্ধ, প্রবোধকুমার স্যান্যাল এবং অবশ্যই সৈয়দ মুজতবা আলী যাঁকে কুতব মিনারের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। অর্থাৎ যাঁর লিখনশৈলীর আগেও কিছু নেই, পরেও কিছু নেই। প্রবন্ধ সাহিত্যের কথা উঠলে ভক্তি-শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে আসে সুনীতিকুমার, কালিদাস নাগ, নীহাররঞ্জন রায়, সুকুমার সেন, নীরোদচন্দ্র চৌধুরী। লাস্ট বাট নট দ্য লিস্ট, সত্যজিৎ রায় স্বপ্নযুগের শেষ প্রান্তে ব্যাটিং করতে নেমে সবাইকে বিস্মিত করে গেলেন।
এই তালিকা অবশ্যই পূর্ণ হয়নি। চারটে টেস্ট টিমের জন্য আটচল্লিশটা নাম সরবরাহ করাটা বঙ্গজননীর কাছে কোনও ব্যাপারই নয়। আমি এখানে স্রেফ গদ্যসাহিত্যের কথা বলছি, কবিদের জন্য সংরক্ষিত আসনের উল্লেখই করছি না।
ভাবতে আশ্চর্য লাগে প্রায় একই সময়ে এই ক্ষণজন্মা লেখকরা তাঁদের অবিস্মরণীয় কীর্তিগুলি পত্রস্থ করছেন, অথচ কেউ বলছেন না বঙ্গবাণীর সুবর্ণযুগোৎসব শুরু হয়ে গিয়েছে। সাহিত্যের মূল্যায়নে এমন অবহেলা কেমন করে ঘটল, কেন ঘটল এবং এই আওতার ফলে আমাদের সাহিত্য কী ভাবে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতির মুখোমুখি হল, তার হিসেবপত্তর আজও নেওয়া হয়নি। রোগের ইতিহাস সংগ্রহ না করে কেউ কেউ দুঃখ করে চলেছেন, বাংলায় ‘কিস্সু’ হচ্ছে না।
এক এক সময় বলতে লোভ হয় পরশ্রীকাতর, হিংসুটে জাতের এটাই তো লক্ষণ। সব কিছু পেয়েও কোনও কিছু না পাওয়ার দুঃখে সবাই ডুবে থাকে। কারও মনে থাকে না। কিন্তু না পেলেও শিল্পী-সাহিত্যিকরা যাকে প্রাণবায়ু মনে করেন তা হল তারিফ। এই তারিফের খোঁজেই শিল্পী সত্যজিৎ রায় বিজ্ঞাপন এজেন্সির মায়াবন ছেড়ে চলচ্চিত্রের দুর্গম অরণ্যে প্রবেশ করেছিলেন।
বঙ্গীয় পাঠকদের সাম্প্রতিক মৃত লেখকপ্রীতির কারণগুলি খুঁটিয়ে দেখার সময় এসেছে। বাঙালিকে যাঁরা আত্মবিস্মৃত বলে চিহ্নিত করেছিলেন, তাঁরা একটু সাবধানে কথা বলছেন। আত্মবিস্মৃতরাই যে আত্মঘাতী হন এমন কথা আর জোর করে বলা যাচ্ছে না। অনেকেই বলছেন, জীবিতরা তেমন ভাবে প্রত্যাশা পূরণ করছেন না বলেই পাঠকরা মৃতজনদের খোঁজখবর করছেন। আরও একটা নির্মম সত্য বেরিয়ে আসছে বই নিয়েই যত মাথাব্যথা, তার লেখক মৃত না জীবিত, বাঙালিরা মাথা ঘামাতে রাজি নন।
আবার কেউ কেউ বলছেন, বাঙালি লেখকদের কাজটা জীবনবিমা কোম্পানির হোললাইফ পলিসির মতো। মরার আগে ফাইলের খোঁজই পড়বে না। আমার একজন প্রিয় ও প্রয়াত লেখক জীবিতকালে বলতেন, মরার আগে আমরা ‘খোরাকি’ ছাড়া আর কিছুই পেতে পারি না। সম্প্রতি বাংলার বইপাড়া সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের দিকে তাকিয়ে আছে, মরণোত্তর সুনীলের জনপ্রিয়তা জীবিতকালের সুনীলের থেকে অনেক এগিয়ে যায় কি না। এটাই দূরদর্শী বাঙালি লেখকদের প্রত্যাশা। এ পারের প্রাপ্তি থেকে পরপারের প্রাপ্তি অনেক বেশি হওয়ার সম্ভাবনাই তাঁদের সৃষ্টিকর্মকে অব্যাহত রাখে।
নিজের কথাতেই এ বার ফেরা আবশ্যক। শিব্রাম চকরবরতি একবার আমাকে মস্ত এক প্রকাশকের দোকানের প্রবেশ পথে অবিস্মরণীয় অচিন্ত্যকুমারের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন। বাইশ বছর বয়সে আমার লেখক হওয়াটা অচিন্ত্যকুমারকে উদ্বিগ্ন করে তুলল। তিনি বললেন, “বড্ড তাড়াতাড়ি লাইনে এলে ভায়া। সারা জন্ম লিখতে লিখতে শরীর-স্বাস্থ্য, মন এবং কলম বেঁকে যাবে। ঠাকুর তোমার মঙ্গল করুন।’’
|
বেস্ট সেলার |
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ প্রথম আলো সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ সরস্বতীর পায়ের কাছে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
২ মার্চ ২০১৩ প্রথম আলো সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
৯ মার্চ ২০১৩ সরস্বতীর পায়ের কাছে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় |
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা |
|
মডেল: শ্রীলেখা মিত্র
ছবি: সুব্রত কুমার মণ্ডল
সৌজন্য: ক্রসওয়ার্ড |
|
|
|
|
|