|
|
|
|
|
|
উত্তর কলকাতা |
উদ্যোগী মেয়র |
সবুজ বাঁচিয়ে নির্মাণ |
কৌশিক ঘোষ |
টালা-পলতা জল সরবরাহের নতুন পাইপলাইন বসানো নিয়ে সমস্যা ছিল অনেক দিন ধরে। তবে সে সমস্যা মেটার পরেও কনভেন্ট রোডে পুরসভার উদ্যানে সবুজ ধ্বংস করে পার্কের মধ্যে বুস্টার পাম্পিং স্টেশন তৈরি নিয়ে নতুন বিতর্ক উঠেছিল। অবশেষে মেয়রের হস্তক্ষেপে এই প্রকল্পের জট কাটল। বিকল্প জায়গা না থাকায় অবশেষে পার্কের একাংশে জলাধারের উপর পার্ক নির্মাণ করেই বুস্টার পাম্পিং স্টেশন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিলেন পুর-কর্তৃপক্ষ। কনভেন্ট পার্কে মাস দুয়েকের মধ্যে কাজ শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে পুরসভা-সূত্রে।
মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বিকল্প জায়গা না থাকায় কনভেন্ট রোডে পুরসভার উদ্যানের মধ্যেই বুস্টার পাম্পিং স্টেশন নির্মাণ করা হবে। এই প্রকল্প নির্মাণের পরেই জলাধারের উপর পার্ক নির্মাণ করা হবে। সবুজায়ন বহাল রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শহরের অনেক জায়গায় বুস্টার পাম্পিং স্টেশনের জলাধারের ওপর এই ধরনের উদ্যান তৈরির প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।” |
|
পুরসভার মেয়র পারিষদ (উদ্যান) দেবাশিস কুমার বলেন, “শহরে পানীয় জলের প্রয়োজনীয়তা সব সময় বেশি। সে কথা মাথায় রেখেই উদ্যান বিভাগ পুরসভার উদ্যানেই এই প্রকল্পে অনুমতি দিয়েছে। তবে, উদ্যান বিভাগ পাম্পিং স্টেশন-সহ জলাধার নির্মাণের পরে জলাধারের ওপর পুরসভা একটি উদ্যান করবে।”
পুরসভা এই প্রকল্পের জন্য মৌলালির কাছে ‘রামলীলা উদ্যান’-এ জলাধার নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। তখনই শুরু হয় বিতর্ক। জল সরবরাহ দফতরের ডিরেক্টর জেনারেল বিভাস মাইতি বলেন, “রামলীলা ময়দান হেরিটেজ হওয়ায় নির্মাণে প্রথমে বাধা আসে। এ ছাড়াও এখানে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ জমায়েত হন। এই জায়গায় নির্মাণ হলে জায়গাটি ছোট হয়ে যাবে। সেই কারণেই এই উদ্যানে এ প্রকল্প নির্মাণ সম্ভব হয়নি। এই উদ্যানের কাছেই কনভেন্ট রোডে পুরসভার একটি উদ্যানে নার্শারির জায়গাতেই এই প্রকল্প নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছে।” পুরসভা সূত্রে বলা হয়েছে, এই প্রকল্প নির্মাণে খরচ হবে প্রায় ২১ কোটি টাকা। পুরসভাই অর্থ বরাদ্দ করবে।
|
|
পুরসভার জল দফতর একটি সমীক্ষা করে দেখেছে, পার্ক সার্কাস বুস্টার পাম্পিং স্টেশন থেকে জল সরবরাহ হলেও পার্ক সার্কাসের আশেপাশে পানীয় জল সরবরাহে কিছু খামতি থেকেই যাচ্ছে। সেই কারণে এই অঞ্চলে আরও একটি বুস্টার পাম্পিং স্টেশন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঠিক হয়, ওই স্টেশন থেকে দিনে ৩০ লক্ষ গ্যালন জল সরবরাহ করা হবে। তার ফলে দক্ষিণ ও পূর্ব কলকাতার বিস্তীর্ণ অঞ্চল উপকৃত হবে। এই প্রকল্পের সুবিধা পাবে আনন্দ পালিত রোড, রিপন স্ট্রিট, ইলিয়ট রোড, কনভেন্ট রোড এবং তপসিয়া-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। কলকাতা পুরসভার ৫৩, ৫৪, ৬০, ৬১ এবং ৬২ নম্বর ওয়ার্ডের এই এলাকাগুলিতে পানীয় জল সরবরাহের জন্য বুস্টার পাম্পিং স্টেশন নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছিল গত
পুর বাজেটেই।
কিন্তু গত এক বছরেও প্রকল্পের কাজ শুরু করতে পারল না কেন পুরসভা?
বিভাসবাবু বলেন, “এই বুস্টার পাম্পিং স্টেশনে টালা থেকে জল আনা হবে। ফলে যত ক্ষণ না এখানে নতুন লাইন বসানো হচ্ছে তত ক্ষণ এই পাম্পিং স্টেশন নির্মাণ করেও লাভ হত না। পরে, জমি-জটেও সামান্য সমস্যা হয়েছিল। সেই কারণেই এই দেরি।”
|
|
|
|
|
|