ফের দলছুট দাঁতালের হানায় বিধ্বস্ত হল আরামবাগের ফসলি জমি। বৃহস্পতিবার রাতেই পূর্ণবয়স্ক হাতি দু’টি গোঘাট সীমান্ত এলাকা দিয়ে ঢুকে পড়ে। বন দফতরের অনুমান, বাঁকুড়ার জয়পুর বা পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা থেকে ঢুকেছে সে দু’টি।
শুক্রবার ভোরে খানাকুলের কলিম্বা, গৌরান, হেলান গ্রামে তাদের অস্তিত্ব টের পান বাসিন্দারা। বেশ কিছু ফসলি জমিতে তছনছ চালিয়েছে হাতিরা। সকালের দিকে দেখা যায়, কলিম্বা গ্রামের মাঠে ঘোরাফেরা করছে তারা। কলিম্বা গ্রামের প্রত্যক্ষদর্শী চাষি ভরত দাসের কথায়, “খেত দেখলে মনে হবে যেন রোলার চালানো হয়েছে।” হাতির পিছনে তাড়া করেন গ্রামবাসীদের কেউ কেউ। হাতিরা এগোতে থাকে আরামবাগ থানা এলাকার কাপসিটের দিকে। তত ক্ষণে খানাকুল ও আরামবাগের পুলিশ পৌঁছেছে। এসেছেন বন দফতরের কর্মীরাও। গোঘাটের শ্যাওড়া, নতুন্ডা, বালি প্রভৃতি এলাকাতেও তাণ্ডব চালিয়েছে হাতিরা। আরামবাগ শহর থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দূরে গির্জাতলার মাঠ, বৃন্দাবনপুর মাঠ, ডিহিবয়রার মাঠেও ফসল নষ্ট করে তারা। পরে আরামবাগের কাপসিট, রতনপুর হয়ে মানিকপাট পৌঁছয় দুই দাঁতাল। |
মানিকপাট থেকে দ্বারকেশ্বর নদ পেরিয়ে দুপুরের দিকে হাতিরা চলে আসে গোঘাট থানা এলাকার শ্যাওড়া পঞ্চায়েতে। বিকেল ৫টা নাগাদ নকুন্ডা পঞ্চায়েত এলাকার শেষ প্রান্তে পশ্চিম মেদিনীপুর-সংলগ্ন কোটা মাঠে ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছে তাদের। বন দফতরের আরামবাগের রেঞ্জ অফিসার দিব্যেন্দু রাউত বলেন, “আমরা ভাবছি হাতি দু’টিকে গড়বেতার জঙ্গলের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে।” খাবারের সন্ধানেই হাতিরা এলাকায় ঢুকে পড়েছে বলে অনুমান বনাধিকারিকের। বন দফতরের কাছে খবর ছিল, চারটি হাতি ঢুকতে পারে। শেষ মুহূর্তে দু’টি ফিরে যায়।
গত ৭ জানুয়ারি একই ভাবে একটি দলছুট হাতি খানাকুল, আরামবাগের গ্রামে ঢুকে তছনছ চালায়। ডহরকুণ্ড গ্রামে এক বৃদ্ধাকেও পিষে মারে। স্থানীয় মানুষ যাতে হাতি দু’টিকে বিরক্ত করে আরও খেপিয়ে না তোলেন, সে জন্য তাঁরা বাড়তি সতর্ক বলে জানিয়েছেন বন দফতরের কর্তারা। |