খেলা
পঞ্চাশের ফুটবল
স্কুল শুরু হয়েছিল ১৯৬৩। এগিয়ে এসেছিলেন রামগোপাল রায়, অনিলকুমার লাহিড়ি, ভূবন মোহন সরকার। শেখপাড়া লেনের সেই স্কুল, পদ্মপুকুর রামকৃষ্ণ বিদ্যামন্দির (হাই)-এর, এ বার সুবর্ণজয়ন্তী। এই উপলক্ষেই হল ফুটবল প্রতিযোগিতা। আট দলের এই স্কুল ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হল জগাছা হাইস্কুল। ফাইনালে তারা হারিয়ে দিল শিবপুর শ্রীরামকৃষ্ণ বিদ্যামন্দিরকে।
মন্দিরতলার কাছে ‘সুদীপ চ্যাটার্জি ক্রীড়া কেন্দ্র’-এই ফুটবল প্রতিযোগিতা জমে উঠেছিল। প্রথম সেমিফাইনালে বোটানিক গার্ডেন চিত্তরঞ্জন আদর্শ বিদ্যামন্দিরকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে শিবপুর শ্রীরামকৃষ্ণ বিদ্যালয়। অন্য সেমিফাইনালে জগাছা হাইস্কুল ২-০ গোলে হারায় উনসানি হাইস্কুলকে। আয়োজক স্কুলের প্রধান শিক্ষক অতুলকৃষ্ণ সাহা বলেন, “এই প্রতিযোগিতার লক্ষ্য ছাত্রদের খেলায় উত্‌সাহী করে তোলার পাশাপাশি স্থানীয় স্কুলগুলির মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা।” ফাইনাল ম্যাচটি আক্রমণ প্রতি-আক্রমণে জমে উঠলেও শ্রীরামকৃষ্ণ স্কুলের অর্ধেই বেশি খেলা চলছিল। এই অর্ধে চাপ বাড়ালেও জগাছা গোল করতে ব্যর্থ হয়।
—নিজস্ব চিত্র
শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য ভাবে দুই অর্ধের খেলা শেষ হয়। অতিরিক্ত সময়ে চমত্‌কার একটি গোল করে দলকে জয় এনে দেয় জগাছার শুভঙ্কর সরকার। দশম শ্রেণির ছাত্রটির প্রিয় ফুটবলার লিওনেল মেসি। বাবা ইস্ত্রির কাজ করেন। শুভঙ্করের স্বপ্ন বড় ফুটবলার হওয়া। শুভঙ্করই প্রতিযোগিতার সেরা ফুটবলার হন।
বিজয়ী দলের দুই ক্রীড়াশিক্ষক চপলকান্তি দাস ও তরুণকুমার পাত্র। তাঁরা জানালেন, স্কুলের নিজস্ব মাঠ নেই। অন্য কোনও মাঠে গিয়ে অনুশীলন করতে হয়। তবু গত বছর হাওড়া জেলা চ্যাম্পিয়ন হয়ে সুব্রত কাপের মূলপর্বে গিয়েছিল জগাছা স্কুল। একই সমস্যায় ভুগছে আয়োজক স্কুলও। স্কুলের সম্পাদক শান্তিপদ চৌধুরী বললেন, “খেলার মাঠ না থাকায় ছাত্ররা সে ভাবে খেলতে পারে না।”

ক্রিকেট-লড়াই
—নিজস্ব চিত্র
হাওড়া মেয়র একাদশকে হারিয়ে দিল হাওড়া মিডিয়া অ্যান্ড প্রেস কর্নার একাদশ। সম্প্রতি হাওড়া কর্পোরেশন স্টেডিয়ামে জমে উঠেছিল ক্রিকেট-লড়াই। টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মেয়র একাদশের অধিনায়ক মেয়র পারিষদ আরশাদ জাভেদ। ১২ ওভারের ম্যাচে আট উইকেট খুইয়ে সাংবাদিকদের দল ৮৭ রান করে। ব্যাটে সাফল্য লাভ করেন শুভম জ্যোতি, দেবাশিস চক্রবর্তী প্রমুখ। ছিলেন হাওড়ার মেয়র মমতা জয়সোয়াল।




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.