অধরা পানীয়
বিলম্বিত প্রকল্প
চার বছর হয়ে গিয়েছে। এখনও শেষ হয়নি হাওড়া পুরসভার সংযোজিত ওয়ার্ডগুলিতে পদ্মপুকুরের পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহের প্রকল্পের কাজ। রূপায়ণের দায়িত্ব কেএমডব্লিউএসএ-র। তাঁদের দাবি, রেল কর্তৃপক্ষ লাইনের তলা দিয়ে পাইপ বসানোর অনুমতি দিতে দেরি করায় এই বিলম্ব।
হাওড়া পুরসভার ৪৫ থেকে ৫০ নম্বর ওয়ার্ডে পানীয় জলসঙ্কট দীর্ঘ দিনের।
বালিটিকুরি
এখানে জল সরবরাহের দায়িত্ব কেএমডব্লিউএসএ-র। বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই জল নিম্নমানের। জল সরবরাহের জন্য মাসে ৩০ টাকা দিতে হয়। তাও আবার মাঝেমধ্যেই পাম্প খারাপ থাকায় জল সরবরাহ বন্ধ থাকে। পাইপলাইন প্রায়ই ফুটো হয়ে নোংরা মিশে যায়। দুর্গন্ধযুক্ত, দূষিত জল বেরোয়। বাধ্য হয়ে অনেকেই পানীয় জল কিনে খান।
এই সঙ্কট কাটাতে জেএনএনইউআরএম প্রকল্পের আওতায় পদ্মপুকুরের পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহের সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। খরচ ধরা হয় প্রায় ৯০ কোটি টাকা। ২০০৮-এ কাজ শুরু হয়। কথা ছিল ২০১০-এর মধ্যেই কাজ শেষ হবে। কেএমডব্লিউএসএ-র দাবি, প্রকল্পটি প্রায় শেষের মুখে। পদ্মপুকুর দ্বিতীয় জলপ্রকল্প থেকে সংযোজিত এলাকায় জল সরবরাহের জন্য পদ্মপুকুর, গড়ফা ও দাশনগরে তিনটি ভূগর্ভস্থ জলাধার তৈরি করা হয়েছে।
কোনা দাসনগর
এই জলাধারগুলি থেকে পাম্পে ১১টি ওভারহেড ট্যাঙ্কে জল তোলা হবে। ওভারহেড ট্যাঙ্কগুলিও তৈরি হয়ে গিয়েছে। পাইপ বসানোর কাজও সম্পূর্ণ। তবে বেশ কিছু জায়গায় রেললাইনের তলা দিয়ে পাইপ বসানোর প্রয়োজন। রেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি পেতে দেরি হওয়াতেই কাজ শেষ হচ্ছে না।
কেএমডব্লিউএসএ-র চিফ ইঞ্জিনিয়ার আশিস মজুমদার বলেন, “কাজ প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে। দশটি জায়গায় রেললাইনের তলা দিয়ে পাইপলাইন নিয়ে যেতে হবে।রেলের কাছে অনুমতি চাওয়া হচ্ছে। রেল কর্তৃপক্ষ অনুমতি দিতে টালবাহানা করছিলেন। সম্প্রতি তিনটি জায়গায় পাইপ বসানোর অনুমতি পাওয়া গিয়েছে। বাকি জায়গাগুলিতে অনুমতি পেলে কাজ শেষ হয়ে যাবে।”
কাশীপুর জলাধার
মেয়র মমতা জয়সওয়াল বলেন, “রেলের অনুমতির উপরে সব কিছু নির্ভর করছে।” পাশাপাশি, দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সৌমিত্র মজুমদার বলেন, “কেএমডব্লিউএসএ পাইপ নিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়েছিল। রেল ইতিমধ্যেই তিনটি জায়গায় অনুমতি দিয়েছে। বাকি জায়গাগুলি নিয়ে রেলের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ কিছু শর্ত দিয়েছে। শর্ত মানলে অনুমতি পাওয়া যাবে। কেএমডব্লিউএসএ ‘জ্যাক পুশিং’ এবং ‘নন জ্যাক পুশিং’ পদ্ধতিতে পাইপ বসাবে বলেছে। এই সময়ে ট্রেন বন্ধ করতে বা গতি কমাতে হতে পারে।”

ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার।




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.