রেলমন্ত্রীর জবাব বয়কট
কংগ্রেসকে আক্রমণে আরও তীব্র তৃণমূল
সন্ন লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে সিপিএম নেতৃত্ব ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছে কংগ্রেস শিবিরের সঙ্গে। আর তৃণমূল বাড়াচ্ছে দূরত্ব। ইউপিএ জোট থেকে বেরিয়ে আসার পরে কেন্দ্রের কংগ্রেস নেতৃত্বকে আক্রমণের নীতি নিয়েছে তৃণমূল। বিশেষ করে পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে সেই আক্রমণ আরও জোরদার করার রাস্তায় হাঁটতে চাইছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। এবং সেই অবস্থান থেকেই বাংলার প্রতি বঞ্চনার প্রশ্নে তাদের সাংসদরা আজ রেল বাজেট নিয়ে বিতর্ক বয়কট করলেন। ওয়াক আউট করলেন রাজ্যসভা থেকে।
তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন তাঁদের অবস্থান ব্যাখ্যায় বলেন, “বাংলার রেল প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ না করে কার্যত প্রতিহিংসার রাজনীতি করছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। তারই প্রতিবাদে তৃণমূল রেলমন্ত্রীর জবাবি ভাষণ বয়কট করেছে।” অনেকেই মনে করছেন, তৃণমূল শিবির এমন একটি সময়ে নিজেদের আক্রমণ তীব্র করছেন যখন লোকসভা নির্বাচনের জোট সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে রাহুল গাঁধী ঘনঘন বৈঠক করছেন সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরির সঙ্গে। কংগ্রেসের একটি সূত্র বলছে, তৃণমূলের চেয়ে বামেদের সঙ্গে নিয়ে চলাই বেশি সুবিধাজনক বলে মনে করছেন দলের একটা অংশ। তাঁদের বক্তব্য, জোটের শরিক না হয়েও স্রেফ সরকারের সমর্থক হিসেবেও বামেরা অতীতে অনেক বেশি নির্ভরযোগ্য ভূমিকা নিয়েছেন। তাঁরা আর যাই হোক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো খামখেয়ালি নন। বামেদের সঙ্গে পরমাণু চুক্তির মতো বিষয়ে মতাদর্শগত বিরোধ হতে পারে, কিন্তু তৃণমূলের মতো তাঁরা এক-এক বার এক-এক রকম অবস্থান নেন না। বিশেষ করে সদ্য সরকার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া তৃণমূল যে ভাবে রেল ও সাধারণ বাজেটের সমালোচনায় মুখর হয়েছে তা ভাল ভাবে নিচ্ছেন না কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশ।
রেল বাজেট পেশ হওয়ার পর থেকেই পশ্চিমবঙ্গের প্রতি বঞ্চনার অভিযোগে সরব হয় তৃণমূল শিবির। আজ রাজ্যসভায় রেল বাজেটের বিতর্কের জবাবে বিশেষ করে জঙ্গলমহল এলাকার রেল প্রকল্পে অতিরিক্ত বরাদ্দ না দেওয়ায় রাজ্যসভা থেকে ওয়াক আউট করেন তৃণমূল সাংসদরা। পরে ডেরেক জানান, “চলতি বাজেটে রাজ্যের প্রকল্পগুলির ক্ষেত্রে সেই ভাবে আর্থিক বরাদ্দ করেননি কেন্দ্র। তাই বাজেট বিতর্কে যাতে রাজ্যের বরাদ্দ বাড়ানো হয় তার জন্য আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু বাজেটে বঞ্চনার চিত্রটার পুনরাবৃত্তি দেখা গেল রেল বাজেটেও। সে কারণে রেলমন্ত্রীর বক্তব্য বয়কট করেছে দল।”
রেল বাজেটে ঘুরপথে যাত্রিভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব রেখেছেন পবন বনশল। যদিও রাজ্যসভৈায় তিনি এ দিন দাবি করেন, আগামী দিনে ডিজেলের দাম বাড়লেও অদূর ভবিষ্যতে যাত্রিভাড়া বাড়ার সম্ভাবনা নেই। অন্য বিরোধী দলগুলির মতোই তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, বনশল যাত্রিভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে স্পষ্ট কিছু না জানালেও যে ভাবে পণ্য মাসুল বাড়ানো হয়েছে, তাতে ফের এক দফা মূল্যবৃদ্ধির মুখে পড়তে হবে সাধারণ মানুষকে। আখেরে সমস্যায় পড়তে হবে আম-আদমিকেই।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.