পার্ক স্ট্রিটের একটি বহুতলে মোবাইল টাওয়ার নিয়ে বৃহস্পতিবার দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে তদন্তের নির্দেশ দিল রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। তিন সপ্তাহের মধ্যে ওই রিপোর্ট জমা দিতে হবে। কমিশন সূত্রের খবর, সম্প্রতি কারনানি ম্যানসন নামে ওই বহুতলের ছাদে বসানো চল্লিশের বেশি মোবাইল টাওয়ার নিয়ে কমিশনে অভিযোগ জানান বাসিন্দারা। তার প্রেক্ষিতেই কমিশনের তদন্তকারী দল ওই বহুতলে সরেজমিন পরিদর্শন করে।
বহুতলটির বাসিন্দা প্রাণ দে জানান, ছাদে ওই মোবাইল টাওয়ার বসানোয় বাসিন্দাদের শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হচ্ছে। অল্পবয়সীদের মাথাব্যথা, বমি হচ্ছে। বয়স্কদের হৃদ্রোগ, মস্তিষ্কে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাঁরা দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে জানিয়েছিলেন। |
কমিশনের যুগ্ম সচিব সুজয়কুমার হালদার জানান, কমিশনের রেজিস্ট্রারের সামনেও বাসিন্দারা সমস্যা জানান। বিষয়টি খতিয়ে দেখে রেজিস্ট্রার যে রিপোর্ট দেন, তার ভিত্তিতেই পর্ষদের সদস্য-সচিবকে বিশেষজ্ঞ অফিসারকে দিয়ে তদন্ত করাতে বলা হয়েছে। পর্ষদ সূত্রের খবর, রাজ্যে মোবাইল টাওয়ার বসানোর ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ আছে। সেগুলি মানা হচ্ছে কি না দেখা হবে।
মোবাইল টাওয়ারের বিকিরণ নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন অচ্যুত সেনগুপ্ত। তিনি বলেন, “কারনানি ম্যানসনে প্রচুর মোবাইল টাওয়ার রয়েছে। এই ধরনের টাওয়ারের বিকিরণ থেকে অসুস্থতা হতেই পারে।” একই মত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রনিক্স ও টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ভাস্কর গুপ্তেরও। তিনি বলেন, “টাওয়ারের বিকিরণ থেকে নানা ধরনের অসুখ হতেই পারে।”
|
বিজ্ঞানীদের সংশয় অনেকটাই মুছে দিয়ে সার্ন গবেষণাগারের বিজ্ঞানীরা জানালেন, গত বছর ৪ জুলাই যে কণাটির আবিষ্কারের কথা তাঁরা ঘোষণা করেছিলেন, সেটি বহু বিখ্যাত ঈশ্বর কণাই। ইতালির লা থুইল-এ এক সম্মেলনে ওই গবেষণাগারের বিজ্ঞানীরা পেশ করলেন তাঁদের গত সাত মাসের পরীক্ষার ফলাফল। জানালেন, পদার্থবিদ্যার বড় তত্ত্ব স্ট্যান্ডার্ড মডেলে ঈশ্বর কণার যে সব চরিত্রের পূর্বাভাস দিয়েছিল সেগুলির সঙ্গে প্রায় হুবহু মিলে যাচ্ছে ওঁদের আবিষ্কৃত কণার চরিত্র। যে কণা ভর জোগায় বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের অন্য কণাদের, যে কণা না থাকলে থাকত না গ্রহ-নক্ষত্র, গাছ পালা, মানুষ, তার চরিত্রের পূর্বাভাস দিয়ে বিখ্যাত হয়েছেন এডিনবরার বিজ্ঞানী স্যার পিটার হিগস্। কিন্তু সেই কণা স্ট্যান্ডার্ড মডেল অনুসারি কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই গিয়েছিল। এমনকী, এই কণার সন্ধান মিললে ওই মডেল সংশোধন করা হবে কি না, তা নিয়েও ছিল বিতর্ক। ইতালির সম্মেলনে গবেষকেরা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন গত বছর আবিষ্কৃত কণাটি স্যার পিটারের কল্পিত কণারই খুব কাছাকাছি। এবং তাঁর আবিষ্কারের স্ট্যান্ডার্ড মডেল সংশোধনের আর কোনও প্রয়োজন নেই। |