দেখতে দেখতে শিলিগুড়ির টেগোর অ্যাপ্রিসিয়েশন সোসাইটির বয়স হল দেড় বছর। শুরু থেকে রবীন্দ্রনাথকে কেন্দ্র করে একের পর এক ব্যতিক্রমী প্রযোজনা উপহার দিয়েছে ট্যাস। কখনও রবীন্দ্রসৃষ্ট নারী চরিত্রকে তুলে এনেছে মঞ্চে। কখনও রবীন্দ্রজীবনদর্শন, আবার কখনও ওদের রবীন্দ্রকৃত অনুবাদ ‘সংস অফ কবীর’ বিষয় হয়ে এসেছে। বাংলা ছাড়াও হিন্দি ও ইংরেজি ভাষাতেও কাজ করেছে এই সংস্থা। বৈচিত্রপূর্ণ কাজের সুবাদেই সাফল্য এসেছে। প্রথম প্রযোজনা ‘ন হন্যতে’ শুরুতেই সাড়া ফেলেছিল। শ্রীমতী, চিত্রাঙ্গদা, মৃণাল, বিনোদিনী বা নন্দিনীর মতো রবীন্দ্রসৃষ্ট নাট্যচরিত্রগুলি কী ভাবে সমকালকে ছুঁয়ে আছে, তাই তুলে ধরেছে ‘ন হন্যতে’। সোহিনী গুপ্তর এই চিত্রনাট্যটিতে অংশগ্রহণ করেছিল শিলিগুড়ির ৬৭টি জন কলাকুশলী। অমিতাভ ঘোষের মঞ্চসজ্জায় পাখা, গ্রামাফোন, রবীন্দ্রনাথের আঁকা ছবির ব্যবহারে গীতিনৃত্যনাট্যটি ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। পাঁচ মাসের ব্যবধানে মঞ্চে এসেছিল রবীন্দ্রনাথ ও লালন ফকিরের জীবনদর্শনের ওপর ভিত্তি করে লেখা ‘অচিনপাখি’। অপেরাধর্মী প্রযোজনায় খোকন মুখার্জির অভিনয় এবং অনির্বাণ দাসের পরিচালনায় সঙ্গীতের ব্যবহার দর্শকদের প্রভূত প্রশংসা আদায় করে নেয়। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ উৎসবে ‘হাজার কণ্ঠে লক্ষ স্বপ্ন’তে সমন্বায়কের ভূমিকা পালন করেছে ট্যাস। কলকাতার কলামন্দিরে তাদের সাম্প্রতিক প্রযোজনা ‘ফ্রম কবীর টু কবি’ সাড়া ফেলেছে। রবীন্দ্রকৃত অনুবাদ ‘সংস অফ কবীর’ অবলম্বনে প্রযোজনার পরিকল্পনা ও চিত্রনাট্য তৈরি করেছেন প্রণয় গুপ্ত। আমন্ত্রণমূলক অনুষ্ঠানটিতে অংশ নেন উত্তরবঙ্গ ও কলকাতার শিল্পীবৃন্দ। অপেরাধর্মী নাটকটিতে আঙ্গিক হিসাবে নৃত্যের ব্যবহার মনোগ্রাহী হয়ে ওঠে। সহেলি বসু, সংগীতা চাকী থেকে অদিতি, দৃপ্তা, মিঠুনের নৃত্যপরিবেশনায় ছিল মুন্সিয়ানার ছাপ। সঙ্গীতাংশে রাজশ্রী, কোয়েল, ও হেমশ্রীর মতো শিলিগুড়ির শিল্পীরা। যন্ত্রাংশে কলকাতার শিল্পীরা। সঙ্গীত পরিচালনায় ছিলেন পুলক সরকার। অভিজিত দাসের মঞ্চসজ্জা ছিল উল্লেখ করার মতো। সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সোহিনী ও প্রণয় এ ভাবেই তাদের যাত্রাপথ প্রসারিত করেছে নতুন দিগন্তের দিকে।
|
চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন বহু বছর আগে। জলপাইগুড়ির পূর্ব অরবিন্দনগরের নকুল বসু অবসর জীবন কাটাচ্ছেন কী ভাবে? ২০১১-র জুন থেকে ১০০ বছরের ক্যালেন্ডার তৈরির কাজ শুরু করেন। কম্পিউটার নয়, স্রেফ অঙ্কের হিসাব। তাতেই তৈরি হয়েছে এই অদ্ভুত ক্যালেন্ডার। একটা ডায়েরি জুড়ে তৈরি হয়েছে এই অদ্ভুত সৃষ্টি। পাতা উল্টিয়ে অনায়াসে পৌঁছে যাওয়া যায় চল্লিশ পঞ্চাশ ষাট বছর পরের যে কোনও মাসে। সৃষ্টির মতোই অদ্ভুত তাঁর শখজোক্স সংগ্রহ করা। সংগ্রহও অদ্ভুতব্রিটিশ আমল থেকে পুর কর্মচারীদের বেতন তালিকা ও সংস্থার প্রথম বাজেট। তাঁর রম্যরচনা প্রকাশিত হয়েছে নানা পত্র-পত্রিকায়। তৈরি করেছেন বিশ্ব জ্ঞান সাধক সোসাইটির লোগো, এতেই শেষ নয়। স্প্রে-র মাধ্যমে তৈরি করেছেন ফুল লতাপাতা হরিণ পাখি থেকে রবীন্দ্রনাথ নজরুল বিবেকানন্দ। কোথায় থামবেন, জানেন নকুলবাবুই।
|