দূষিত জল সরবরাহের অভিযোগ রানিগঞ্জে
নিজস্ব সংবাদদাতা • রানিগঞ্জ |
খনির জল মিশছে দামোদরে। তারপরে তা জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের পাম্পে গিয়ে মিশছে। ফলে এলাকায় দূষিত জল সরবরাহ হচ্ছে বলে অভিযোগ তুললেন বাসিন্দারা। সমস্যার প্রতিকার চেয়ে মঙ্গলবার দীর্ঘক্ষণ তিরাট গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে তৃণমূলের নেতৃত্বে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা।
তৃণমূল নেতা ধরম মণ্ডল জানান, দামোদরে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের একটি গভীর কুয়ো আছে। সেখান থেকে পাম্পের মাধ্যমে এলাকায় জল সরবরাহ করা হয়। বেশ কিছুদিন ধরে ইসিএলের তিরাট এবং কুমারডি খনির জল বের করে বাইরে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। ওই জল দামোদরে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের কুয়োর পাশেই পড়ছে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই নদী ও খনির জল মিশে যাচ্ছে। ওই জলই তিরাট, চেলোদ, গড়গড়ডাঙা সংলগ্ন এলাকায় পাইপ লাইনের মাধ্যমে পৌঁছে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। বাসিন্দারা জানান, খনির জল মেশার পর থেকেই পাইপ লাইনের জলের রঙ পাল্টে লাল হয়ে গিয়েছে। বারবার বিডিও ও খনি কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েও লাভ হয়নি। তাই এ দিন কর্মীদের বের করে কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। আসানসোলের মহকুমাশাসক শিল্পাগৌরী সেরিয়া বলেন, “জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর জলের নমুনা পরীক্ষা করে কোনও গলদ পায়নি। দূষণ নিয়ন্ত্রন পর্ষদকে ওই জলের নমুনা পরীক্ষা করে রির্পোট দিতে বলেছি।”
|
বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মা ও শিশুদের উন্নতমানের চিকিৎসার জন্য নতুন ভবনের শিলান্যাস হল মঙ্গলবার। শিলান্যাস করেন রাজ্যের শিশুকল্যান মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। এই ভবন গড়ার জন্য জাতীয় গ্রামীন স্বাস্থ্য মিশন প্রায় ১৩ কোটি ১৭ লক্ষ টাকা ও বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য আরও ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। আপাতত চার তলার ভবন হলেও, পরে ১০ তলা করার পরিকল্পনা রয়েছে। হাসপাতাল সুপার পঞ্চানন কুণ্ডু বলেন, “এই নতুন ভবনটি গড়ে উঠলে রোগীদের শয্যা নিয়ে সমস্যা অনেকটাই মিটে যাবে। বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ পরিচালন কমিটির সদস্য জয়মাল্য ঘর জানান, চার তলার এই নতুন ভবনে প্রায় ৫০০টি শয্যা থাকবে। শিশুদের জন্য এসএনসিইউ এবং নিওনেটাল ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটও থাকবে। মন্ত্রীর স্বীকারোক্তি, “বাঁকুড়া মেডিক্যাল রাজ্যের অন্যতম বড় হাসপাতাল হলেও পরিকাঠামোগত নানা সমস্যা রয়েছে। এই নতুন ভবনটি চালু হলে রোগীদের সমস্যা মিটবে।”
|
পড়ুয়াকে পতঙ্গবিদের প্রশিক্ষণ |
পতঙ্গবিদ নিয়োগের ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে। তাই জীববিদ্যার স্নাতক স্তরের কোনও ছাত্রকে প্রশিক্ষণ দেবে কলকাতা পুরসভা। তিনিই বিধাননগর পুরসভায় পতঙ্গবিদ হিসেবে কাজ করবেন। মঙ্গলবার বিধাননগর পুরভবনে কলকাতা ও বিধাননগর পুরসভা ও স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধিরা সল্টলেকে মশা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে চূড়ান্ত নকশা তৈরি করতে গিয়ে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। কলকাতা পুরসভার পতঙ্গবিদ দেবাশিস বিশ্বাসের প্রস্তাব মেনে ওই সিদ্ধান্ত হয়। বোট কিনে সল্টলেকের দু’দিকে খালে মশার তেল স্প্রে করা, বাড়ি বাড়ি ঘুরে মশার উৎসস্থল চিহ্নিতকরণের মতো পরিকল্পনাও গৃহীত হয়। ইতিমধ্যেই বিধাননগর পুরসভার মশক কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে কলকাতা পুরসভা। কলকাতার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ ও বিধাননগর পুরসভার চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তীর দাবি, “অনেক আগেই কাজ শুরু হয়েছে। গতবারের পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সে দিকেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।”
|
আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে চালু হল ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান।
চুঁচুড়ার পরে হুগলি জেলায় দ্বিতীয়। মঙ্গলবার ছবিটি তুলেছেন মোহন দাস। |
|
প্রসবকালীন সমস্ত পরিষেবা দেওয়ার জন্য তৈরি হতে চলেছে ‘মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাব’। মঙ্গলবার বিকেলে এই হাবের শিলান্যাস করেন কৃষিমন্ত্রী মলয় ঘটক। অনুষ্ঠানে ছিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথও। অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে জানানো হয়, ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বর্ধমানের নার্স হষ্টেলের উল্টো দিকে ২.২ একর জায়গায় উপর তৈরি হবে নয় তলার এই হাব। তবে আপাতত তিনটি তলা তৈরি হবে, থাকবে প্রায় ৫০০টি শয্যা। এ মাসের মধ্যে ওই ভবন তৈরির কাজ শুরু হয়ে যাবে। ন্যাশনাল রুরাল হেল্থ মিশন এই মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাব নির্মাণের খরচ বহন করছে। আপাতাত দেড় কোটি টাকা মিলেছে বলে জানা গিয়েছে।
|
থ্যালাসেমিয়া নির্ণয় ও রক্তদান শিবির হল পটাশপুরের মথুরা ব্রাহ্মণপল্লি সবুজ সঙ্ঘের উদ্যোগে। মঙ্গলবার মথুরা প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শিবির হয়।
|
আর্সেনিক মোকাবিলায় নতুন পুকুর ৪৭ হাজার |
সারা রাজ্যেই ভূগর্ভস্থ জলে আর্সেনিকের প্রাদুর্ভাব নিয়ে বিজ্ঞানীরা শঙ্কিত। এই অবস্থায় সেচের জন্য ভূগর্ভের জলের উপরে নির্ভরতা কমাতে ১৮টি জেলায় ৪৭ হাজার ৪৫৯টি পুকুর খোঁড়া হয়েছে বলে মঙ্গলবার বিধানসভায় জানান জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। তিনি জানান, দু’বছরের মধ্যে ৫০ হাজার পুকুর খোঁড়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মহাত্মা গাঁধী জাতীয় গ্রামাঞ্চল রোজগার নিশ্চিতকরণ আইন (রেগা) অনুসারে কেন্দ্রের টাকায় রাজ্যের ‘জল ধরো জল ভরো’ প্রকল্পের আওতায় পুকুর খোঁড়ার কাজ চলছে। বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে নদীর জল শোধন করে ব্যবহারের উপরে জোর দিচ্ছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর। তবু যে সেচের কাজে এখনও প্রধানত ভূগর্ভের জলই ব্যবহার করা হচ্ছে, তা স্বীকার করে নেন মন্ত্রী। একটি অতিরিক্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ভূগর্ভস্থ জলের অপচয় বন্ধে রাজ্যের নিজস্ব যে-আইন রয়েছে, তা যথেষ্ট কড়া নয়। তাই কেন্দ্রীয় আইনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নতুন আইন তৈরি করা হচ্ছে। মালদহ-সহ বেশ কয়েকটি জেলায় ভূগর্ভস্থ জল ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে কেন্দ্র। রাজ্যও ওই সব জেলায় ভূপৃষ্ঠের জল ব্যবহারের ব্যাপারে সচেতনতা বাড়ানোর কাজ করছে।
|
নিরাপত্তার দাবিতে কাটোয়ার মহকুমাশাসকের দফতরের
বিক্ষোভ দেখালেন নোয়াপাড়ার স্বাস্থ্যকর্মীরা। |
|