|
|
|
|
পঞ্চায়েতের আগে দ্বন্দ্ব মিটল ফব-র |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
দ্বন্দ্ব ভুলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে দল ঐক্যবদ্ধ ভাবেই লড়াই করবে। মঙ্গলবার দলের জেলা কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে এই বার্তা দিলেন ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা নেতৃত্ব। ক’দিন আগে দলের জেলা সভাপতির পদ থেকে সুকুমার ভুঁইয়াকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে যিনি ঘোষণা করেছিলেন, সেই দলের জেলা সম্পাদক অশোক ভট্টাচার্যই এ দিন সুকুমারবাবুর পাশে বসে বললেন, “আমাদের মধ্যে কোনও দ্বন্দ নেই। ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। তা মিটে গিয়েছে।” একই বক্তব্য জেলা সভাপতিরও।
পশ্চিম মেদিনীপুরে ফব-র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নতুন নয়। দলের জেলা সম্মেলনেও দ্বন্দ্বের প্রভাব পড়ে। যার জেরে জেলা সম্মেলন থেকে পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি গড়া যায়নি। তা পরে গঠিত হয়। সম্মেলনেও অশোকবাবুর ও সুকুমারবাবুর অনুগামীদের বাদানুবাদ হয়। রাজ্য নেতৃত্ব পরিস্থিতি সামাল দেন। ক’দিন আগে দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে অশোকবাবুরা জেলা সভাপতির পদ থেকে সুকুমারবাবুকে সরিয়ে দেন। দলীয় সূত্রে খবর, জেলা নেতৃত্বের এই পদক্ষেপ রাজ্য নেতৃত্ব সমর্থন করেননি। পরিস্থিতি দেখে দ্বন্দ্ব ভুলে একসঙ্গে কাজ করার তোড়জোড় শুরু হয়। এ দিন ফব নেতৃত্ব জানান, পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে জেলা বামফ্রন্টের বৈঠকে তাঁরা ১০৭টি আসন চাইবেন। গ্রাম পঞ্চায়েতের ৮৯টি, পঞ্চায়েত সমিতির ১৬টি এবং জেলা পরিষদের ২টি। গত নির্বাচনে ফব ১০৬টি আসনের দাবি জানিয়েছিল। তবে নেতৃত্বের দাবি, সে বার দেওয়া হয়েছিল মাত্র ১৬টি। এরমধ্যে গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৬টি, পঞ্চায়েত সমিতির ৩টি। রাজ্যে পালাবদলের পর পরিস্থিতি ভিন্ন। পরিবর্তীত পরিস্থিতিতে ফব’র জন্য ঠিক কতগুলো আসন বরাদ্দ হয়, সেটাই দেখার। দাবি মতো আসন বরাদ্দ না- হলে কয়েকটি আসনে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই’ হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন ফব’র জেলা নেতৃত্ব। |
|
|
|
|
|