চার সপ্তাহের ‘ক্র্যাশ কোর্স’। তাতেই কেল্লা ফতে। মরাঠি গৃহবধূ শশী গডবোলে ঝরঝরে ইংরেজি বলে নিজের পরিবার ও খোদ ইংরেজির মাস্টারমশাইকে চমকে দিয়েছিলেন। ঠিক যেমন সিনেমায় হয়, ‘ইংলিশ ভিংলিশ’ ছবিতেও তাই হয়েছে।
পর্দার এই সাফল্য বাস্তবেও অধরা নয়। আমজনতার এই স্বপ্নকে পুঁজি করেই ইংরেজি শেখার বাজার ধরতে ঝাঁপাচ্ছে দেশি-বিদেশি সংস্থা। ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোনের দৌলতে এই বাজার ক্রমশ বাড়ছে বলে দাবি সংশ্লিষ্ট মহলের।
এই দৌড়ে সামিল হয়েছে মাইক্রোসফট-এর মতো তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা। সঙ্গী ইংরেজি শিক্ষায় ৭০ বছরের বেশি অভিজ্ঞ ব্রিটিশ কাউন্সিল। কর্পোরেট জগতে ইংরেজি শিক্ষা দিতে দেশে প্রথম পা রাখছে ব্রিটেনের সংস্থা প্রায়াস-ও।
প্রযুক্তির হাত ধরেই এই ব্যবসায় নেমেছে মাইক্রোসফট। বিশ্ব জুড়ে বাড়তে থাকা মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন-এর বাজারে নতুন সংযোজন ইংরেজি শেখার অ্যাপ্লিকেশন ‘ইংলিশ ক্লাব’। সংস্থার দাবি, এটি শশী গডবোলের মতো ন্যূনতম ইংরেজি জানা ব্যক্তির জন্যই উপযোগী। ব্রিটিশ কাউন্সিলের তৈরি এই অ্যাপ্লিকেশনে রয়েছে বাস্তব জীবনে ব্যবহৃত শব্দগুচ্ছ। কোন শব্দের কেমন উচ্চারণ, তাও অডিও-র মাধ্যমে জানা যাবে। দৈনন্দিন জীবনে শব্দের ব্যবহার বোঝাতে ভিডিওতে থাকছে সেই ধরনের পরিস্থিতির ছবি। সংস্থার দাবি, ইতিমধ্যেই ১.২৫ লক্ষ বার এটি ডাউনলোড হয়েছে। বাজার ধরতে যা বিনামূল্যে দিচ্ছে সংস্থা।
মাইক্রোসফটের মতো আমজনতা নয়। প্রায়াস-এর লক্ষ্য কর্পোরেট দুনিয়া। সংস্থার দুই প্রধান পিটার রস ও অরুন্ধতী সান্যালের মতে, বিশ্ব বাজারে পাল্লা দিতে ‘বিজনেস ইংলিশ’ জানা জরুরি। আর এই ইংরেজি শেখার তাগিদ কাজে লাগিয়েই ভারতে ব্যবসা শুরু করছেন তাঁরা। বিশ্বায়নের পরে চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে বলে দাবি তাঁদের। পশ্চিমবঙ্গ থেকেই এই ব্যবসা শুরু করছে প্রায়াস। পিটার রস জানান, সংস্থার চাহিদা বুঝে তৈরি হবে পাঠ্যক্রম। তাঁর দাবি, ইতিমধ্যেই কয়েকটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তাঁর মতে, শুধু প্রযুক্তির জ্ঞানই যথেষ্ট নয়। সেই তথ্য অন্যদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা।
ইংরেজি শিক্ষার দিকে নজর দিচ্ছে সরকারও। সম্প্রতি ডব্লিউবিসিএস অফিসারদের ইংরেজি ভাষা ঝালিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমলাদের ইংরেজি শিক্ষার ভার নিচ্ছে ব্রিটিশ কাউন্সিল। |