পঞ্চায়েত বন্ধ রেখে বিডিওর কাছে স্মারকলিপি দিতে যাওয়া নিয়ে চাপান উতোর দেখা দিয়েছে পঞ্চায়েতের কর্তা ও কর্মীদের মধ্যে।
গত শুক্রবার বিকেলে কাটোয়া ২ ব্লকের শ্রীবাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের দফতরে স্থানীয় এক বাসিন্দার সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন পঞ্চায়েত কর্মী দিলীপ শেখ। খবর পেয়ে ওই দিন পঞ্চায়েত অফিসে যান বিডিও স্বপনকুমার পাত্র। বিডিওর সামনেই বিষয়টির মীমাংসা হয়। সোমবার ওই পঞ্চায়েতের সাত জন কর্মী এক সঙ্গে কাটোয়া ২ ব্লক অফিস (দাঁইহাট) যান। আর ‘নিরাপত্তা’র দাবি করে স্মারকলিপি দেন।
কংগ্রেস ও তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত কর্তাদের অভিযোগ, এ দিন বিকেল পর্যন্ত পঞ্চায়েত দফতর তালা বন্ধ অবস্থায় ছিল। কোনও কর্মীও আসেননি। প্রধান ও উপপ্রধানকে এই ব্যাপারে কিছু জানানোরও প্রয়োজন বোধ করেননি ওই কর্মীরা। পঞ্চায়েত উপপ্রধান আলাউদ্দিন মোল্লা কাটোয়া ২ বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে জানান, এ দিন দুপুর ১টা পর্যন্ত শ্রীবাটি গ্রাম পঞ্চায়েতে কোনও কর্মী আসেননি। বিডিওকে ওই কর্মীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। |
বাকসা গ্রামে অবস্থিত শ্রীবাটি গ্রাম পঞ্চায়েত। ওই গ্রামের কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য জগন্নাথ রুদ্রের অভিযোগ, “পড়ুয়ারা তফসিলি জাতি ও উপজাতি বিষয়ক শংসাপত্র নিতে পঞ্চায়েতে এসেছিল। কিন্তু তালা বন্ধ থাকায় ফিরে গিয়েছেন।” যদিও ওই পঞ্চায়েতের কর্মীদের দাবি, পঞ্চায়েত তালা বন্ধ ছিল না। তাঁরা পঞ্চায়েত দফতর খুলে রেখে বিডিওর কাছে গিয়েছিলেন। পঞ্চায়েত কর্মী দিলীপ ঘোষ বলেন, “কে কী বলল জানি না, আমরা পঞ্চায়েত দফতর খোলা রেখেই বিডিওর কাছে গিয়েছিলাম। বিডিওর কাছে ওই কর্মীরা জানান, তাঁরা পঞ্চায়েত প্রধানের অনুমতি নিয়েই স্মারকলিপি দিতে এসেছেন। তবে কাটোয়া ২ বিডিও স্বপন কুমার পাত্র বলেন, “ওই কর্মীরা প্রধানের অনুমতি নিয়ে স্মারকলিপি দিতে এসেছিলেন বলে আমাকে জানিয়েছিলেন। স্মারকলিপি দিতে আসার সময়ে পঞ্চায়েত অফিস বন্ধ ছিল বলে আমাকে জানিয়েছিলেন। স্মারকলিপি দিতে আসার সময়ে পঞ্চায়েত দফতরও বন্ধ ছিল।” কংগ্রেসের পঞ্চায়েত প্রধান শেফালি পালেরও বক্তব্য, “আমার বাড়ি চাণ্ডুলি। পঞ্চায়েত দফতরে যাব বলে বাস ধরতে গিয়েছিলাম আমি। বাসস্টপে গিয়ে শুনি, দফতরই খোলেনি। আমার কাছে কেউ কোনও অনুমতি নেয়নি। পঞ্চায়েত দফতর বন্ধ রাখার অনুমতি কি আমি দিতে পারি?” আলাউদ্দিন মোল্লা জানান, ব্লক অফিস থেকে ফিরে গিয়ে বিকেল চারটের পরে পঞ্চায়েত দফতর খুলেছিলেন কর্মীরা।
বিডিও জানিয়েছেন, ঠিক কী হয়েছে তা সবিস্তারে জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |