জোড়া বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল। প্রথম বিস্ফোরণটি ঘটে শনিবার সকাল ন’টা নাগাদ। আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দফতরে ঢোকার মুখে একটি সাইকেলে বিস্ফোরক নিয়ে এসেছিল এক জঙ্গি। এই বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন কম পক্ষে ১৮ জন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয় প্রশাসন। আহত হয়েছেন ১৩ জন। এর ঠিক আধ ঘন্টা পর পূর্ব আফগানিস্তানের খোস্তে পুলিশের চেক পোস্টের কাছেই দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি ঘটেছে। এই বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন আট জন। তাদের
মধ্যে বেশির ভাগই শিশু। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে ঘটনাস্থলের আশপাশের অনেক বাড়িতে ফাটলও দেখা দিয়েছে। |
বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত গাড়ি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সেনা ট্রাকে। কাবুলে। ছবি: এএফপি |
দু’টি বিস্ফোরণেরই দায় স্বীকার করে নিয়েছে তালিবান। শুক্রবার কাবুলের মাটিতে পা রেখেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব চাক হেগেল। তার ঠিক এক দিনের মধ্যেই তালিবান জঙ্গিরা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বুঝিয়ে দিল যে আফগানিস্তানে এখনও তারা কতটা সক্রিয়। তালিবান মুখপাত্র জাবিবুল্লাহ মুজাহিদ সাংবাদিকদের বলেন, “হেগেলের জন্য এই বিস্ফোরণ ঘটাইনি। তবে এর মাধ্যমে একটি বার্তা দিতে চাই যে হেগেল যতই কড়া নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে থাকুন, আমরা তা ভেদ করতে সক্ষম।”
অন্য দিকে পেন্টাগনের মুখপাত্র জর্জ লিটিল জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের সময় হেগেল ঘটনাস্থল থেকে বেশ খানিকটা দূরে মার্কিন যৌথ বাহিনীর দফতরে ছিলেন। তাই হেগেলের কাজের কোনও ক্ষতি হয়নি।
প্রসঙ্গত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা যখন ২০১৪ সালের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের কথা ভাবছেন, ঠিক তখনই রাজধানী কাবুলের বুকে জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনা চিন্তার ভাঁজ ফেলছে বিশেষজ্ঞদের কপালে। |
অল্পের জন্য বাঁচল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান
সংবাদসংস্থা • নিউইয়র্ক |
ছোট দুর্ঘটনার মুখে পড়ল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। শনিবার আমেরিকার জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরের ঘটনা। নয়াদিল্লিতে এয়ার ইন্ডিয়ার এক মুখপাত্র জানান, নামার মুহূর্তে বিমানটির ডানার সঙ্গে ধাক্কা লেগে যায় রানওয়েতে থাকা অন্য একটি বিমানের। ঘটনার সময় ২৫০ জন যাত্রী ছিলেন এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটিতে। বিমানটির সামান্য ক্ষতি হলেও, যাত্রীদের কোনও বিপদ হয়নি। দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে তদন্ত শুরু করেছে ফেডেরাল অ্যাভিয়েশন অথরিটি। |