মদ খাওয়া নিয়ে গোলমালে মামার হাঁসুয়ার কোপে ভাগ্নের ডান হাতের তিনটি আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল। বৃহস্পতিবার রাত দশটা নাগাদ বৈষ্ণবনগর থানার শবদলপুরের বাজারপাড়ায় ঘটনাটি ঘটে। আঙুল কাটা নিয়ে জখম ভাগ্নে পল্টু সিংহকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। অভিযুক্ত মামা তপন সরকার সিপিএমের সমর্থক ও জখম ভাগ্নে পল্টু সিংহ তৃণমূল সমর্থক। দুই দলের জেলা নেতৃত্ব সাফ জানিয়েছেন, পারিবারিক বিবাদের ঘটনা। জেলা পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দোপাধ্যায় বলেন, “কেউ থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি। থানায় অভিযোগ জানালেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হবে।”
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মামা ও ভাগ্নের বাড়ি পাশাপাশি। অভিযোগ মামা প্রায় মদ খেয়ে বাড়িতে ঢুকে মাতলামো করেন। ভাগ্নে মামার মদ খাওয়ার প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওই রাতে হাঁসুয়া নিয়ে ভাগ্নের উপর চড়াও হন মামা। মামার সঙ্গে ভাগ্নের হাতাহাতি দেখে আরেক মামা ও আরও দুই ভাগ্নে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হতে হাঁসুয়ার কোপে ভাগ্নে পল্টুর ডান হাতের শেষ তিনটি আঙুল কেটে যায়। পল্টু সিংহের পাশাপাশি জখম হয়ে পঞ্চানন সিংহ ও নিখিল সিংহ মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের নারী ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী জানান, জখম যুবক তাঁদের দলের সমর্থক। কিন্তু এই গোলমালের পিছনে কোন রাজনীতি নেই বলে সাবিত্রী দেবী দাবি করেন। সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, মামা ভাগ্নের পারিবারিক গোলমালের মধ্যে রাজনীতি জড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। বৈষ্ণবনগরের কংগ্রেস বিধায়ক ঈশা খান চৌধুরী বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই।” |