টুকরো খবর
বিরোধী দলনেতার পদ দাবি কংগ্রেসের
রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতার পদ ফের দাবি করল কংগ্রেস। তৃণমূলের বিরোধী হিসাবে নিজেদের তুলে ধরতেই এই সিদ্ধান্ত। শুক্রবার কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, বিরোধী দলনেতা পদের জন্য স্পিকারকে চিঠি দেওয়া হবে। অনুমতি চাওয়া হবে হাইকম্যান্ডেরও। কংগ্রেস পরিষদীয় দলের নেতা মহম্মদ সোহরাব বলেন, “বিধানসভায় তৃণমূলের পরেই আমরা একক বিরোধী দল। বিরোধী দলনেতার পদ আমাদেরই প্রাপ্য।” তৃণমূলের সঙ্গে বিচ্ছেদের পরে গত অধিবেশনেও একই দাবি তুলেছিল কংগ্রেস। কিন্তু বাম বিধায়কদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় স্পিকার দাবি নাকচ করে দেন। সম্প্রতি তিনটি উপ-নির্বাচনের পর ফের দাবি তুলল কংগ্রেস। পঞ্চায়েত ভোটে বহু আসনেই তৃণমূল-বাম-কংগ্রেসের মধ্যে ত্রিমুখী লড়াই হবে। প্রধান বিরোধী হিসাবে বামেদের বদলে নিজেদের তুলে ধরতে পারলে লাভ হবে কংগ্রেসের। বিধানসভায় বামফ্রন্টের আসন সংখ্যা (৬২) কংগ্রেসের থেকে বেশি হলেও দল হিসাবে কংগ্রেসের বিধায়ক (৪০) সিপিএমের (৩৯) থেকে এক বেশি। বিরোধী নেতার মর্যাদা পেতে ৩০ জন বিধায়ক দরকার। বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রর অবশ্য পাল্টা যুক্তি, “তৃণমূলের সঙ্গে জোট করে কংগ্রেস ভোট লড়ে। মানুষ জোটের পক্ষে বা বিপক্ষে ভোট দেয়। সরকার থেকে বেরিয়ে এসে কী করে ওঁরা নিজেদের প্রধান বিরোধী বলে দাবি করেন?” তিনি আরও বলেন, “সিপিএমের আসন সংখ্যা কংগ্রেসের থেকে কম। কিন্তু আমরা একযোগে বামফ্রন্ট হিসাবে লড়েছিলাম।”

লড়াকু ললনাদের কুর্নিশ রাজ্যের
প্রতিবন্ধকতা এসেছে নানা ভাবে। ওঁরা হার মানেননি। বরং উজান ঠেলে মাথা উঁচু করে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন। কেউ কেউ নিজের জীবন বিপন্ন করেও প্রতিবাদ করতে পিছু হটেননি। শুক্রবার নারী দিবসে রবীন্দ্র সদনের একটি অনুষ্ঠানে এমন বেশ কয়েক জন বিজয়িনীকে কুর্নিশ জানাল রাজ্য সরকার। ৪৮ বছরে সাক্ষর হওয়া বাঘমুন্ডির সোমবারি মাঝি, দৃষ্টিহীন আইনজীবী কাঞ্চন গাবা বা বেসরকারি বিমান-কর্তৃপক্ষের অমানবিক আচরণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো জিজা ঘোষদের আগেই মিষ্টিমুখ করিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এ বার রবীন্দ্র সদনের অনুষ্ঠানে দেখা গেল পূর্ব মেদিনীপুরের অখ্যাত গাঁয়ের পঞ্চমী বর্মন, নাদিয়ালের শবনম, লিলুয়ার চন্দ্রা রাজভড়, কৃষ্ণা রায়দের। ৭৫ শতাংশ মানসিক প্রতিবন্ধী পঞ্চমী বিশেষ অলিম্পিক হকির সোনার মেয়ে। শবনম তাঁর ননদ নিলোফারকে ‘সম্মান-রক্ষা’র জন্য খুনের সময়ে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর আহত হন। যে-দুষ্কৃতী শ্লীলতাহানি করতে এসেছিল, চন্দ্রা তাকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন। শারীরিক প্রতিবন্ধী কৃষ্ণা স্বামীর কাছে অপমানিত হয়েও এমএ পাশ করে সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছেন। সরকার ও রাজ্য মহিলা কমিশনের তরফে তাঁদের প্রত্যেককে ১৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে বলে সরকারি সূত্রের খবর। এ ছাড়া রাজ্যের কলেজে কলেজে অধ্যক্ষা ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষাদের এ দিন ফুল-মিষ্টি দিয়ে সম্মাননা জ্ঞাপন করা হয়েছে। অধ্যক্ষ পরিষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগে আমরা সকলেই আপ্লুত।”

আংশিক সময়ের শিক্ষকেরা পথে
শিক্ষকের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করেও তাঁরা শিক্ষকের মর্যাদা পান না। শুক্রবার এই অভিযোগ নিয়ে কলেজের আংশিক সময়ের শিক্ষকেরা বিধানসভার সামনে জড়ো হন। তাঁদের সমস্যার কথা সরকার ও বিরোধী দলের কাছে তুলে ধরতে চান তাঁরা। কিন্তু বিধানসভার সামনে ১৪৪ ধারা ভাঙার অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। শিক্ষকদের পাল্টা অভিযোগ, পুলিশ তাঁদের উপরে লাঠি চালিয়েছে। পুলিশ অভিযোগ অস্বীকার করে। এ দিন বাজেট অধিবেশনের শুরুতে, বেলা ১২টা নাগাদ শিক্ষকেরা বিধানসভার সামনে আসেন। আংশিক সময়ের শিক্ষকদের সংগঠন সিইউটিএবি (কলেজ ও ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন, বেঙ্গল)-র সদস্যা মধুঋতা সেনগুপ্ত বলেন, “চেয়েছিলাম, আমাদের সমস্যা নিয়ে বাজেট অধিবেশনে আলোচনা হোক। কিন্তু লাঠি চালিয়ে, টেনেহিঁচড়ে বিধানসভার গেট থেকে শিক্ষকদের সরিয়ে দিল পুলিশ।” অভিযোগ, ন’হাজার টাকার বিনিময়ে পূর্ণ সময়ের শিক্ষকদের মতোই তাঁদের সমস্ত কাজ করতে হয়। অন্তত ২০টি কলেজে আংশিক সময়ের শিক্ষকেরাই টিচার-ইনচার্জ হিসেবে কাজ করছেন বলে সংগঠনের দাবি।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.