বছরে পঞ্চাশ শতাংশ ক্লাস না করলেও দ্বিতীয় বর্ষের ফর্ম ফিল আপ করতে দিতে হবে। এমনই ‘আবদার’ জানিয়ে প্রায় চার ঘন্টা অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন চাপড়া বাঙালঝি কলেজের ছাত্ররা। শুধু তাই নয়, বিক্ষোভকারীদের আবদার, বছরে মাত্র দু’টো ক্লাস করেছে এমন ছাত্রকেও অভিভাবকের সঙ্গে কথা না বলে ফর্ম ফিল আপ করার সুযোগ দিতে হবে। খবর পেয়ে চাপড়া থানা থেকে পুলিশ যায় কলেজে। পুলিশের মধ্যস্থতায় সন্ধ্যে সাড়ে ৬টা নাগাদ অবরোধমুক্ত হন অধ্যক্ষ।
কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, চাপড়ার ওই কলেজে দ্বিতীয় বর্ষে সাতটি সাম্মানিক বিষয়ে অন্তত ২৮০ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। তাঁদের মধ্যে ষাট শতাংশ ছাত্রছাত্রী বছরে পঞ্চাশ শতাংশ ক্লাস করেনি। দিন কয়েক আগে কলেজ কর্তৃপক্ষ নোটিশ দিয়ে জানায়, দ্বিতীয় বর্ষে যে সব ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতির হার পঞ্চাশ শতাংশের কম, ফর্ম ফিল আপের আগে তাঁদের অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলবেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। সোমবার ছিল ফর্ম ফিল আপের দিন। ছাত্রছাত্রীরা কলেজে এসে বিষয়টি জানতে পেরে অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে। বিক্ষোভকারী ইন্তেয়াজ খান, আসলাম সর্দারের বক্তব্য, “অধ্যক্ষ যেটা করেছেন তা ছাত্র স্বার্থ বিরোধী। তাঁর এই সিদ্ধান্ত তিনি অনেক আগেই জানাতে পারতেন। তা হলে আরও বেশি সতর্ক হতে পারত ছাত্রছাত্রীরা। কিন্তু তিনি তা করেননি।” ছাত্রছাত্রীদের দাবি, এ বারের মতো ‘ছাড়’ দিক কলেজ কর্তৃপক্ষ।
কেন এমন সিদ্ধান্ত নিল কলেজ কর্তৃপক্ষ? অধ্যক্ষ কৃষ্ণগোপাল রায় বলেন, “এমনও ছাত্র আছে যে বছরে দু’দিনও ক্লাস করেনি। তাই বিষয়টি নিয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা করাটা দরকার। অনেক আগেই তা ক্লাসে জানিয়েছিলাম।’’ তিনি বলেন, “কোনও অভিভাবক কলেজে আসতে না পারলে আমি নিজে গিয়ে ওই অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলব।” |