রাঢ় বাংলার প্রায় সব গৃহস্থের ঘরে তিনখণ্ড লক্ষ্মীপুজো প্রচলিত। পৌষ, চৈত্র ও ভাদ্র মাসে। কেউ ওই তিন মাসের বিশেষ দিনে, আবার কেউ সংক্রান্তিতে লক্ষ্মীপুজো করেন। পুজোর বিশেষ বৈশিষ্ট হল, পুজোর জায়গার ঠিক উপরের দেওয়ালে আঁকা এক বিচিত্র আলপনা। খড়ি মাটি গুলে, ছাগলের লোম দিয়ে তৈরি তুলির সাহয্যে ওই আলপনা আঁকা হত। সরু, মোটা নানা তুলি নিজেরাই তৈরি করে নিতেন। প্যাঁচা-পেঁচি, ধানের ‘বাখার’ ওই আলপনায় থাকবেই। বাকি নানান নকশা, ফুল ও লতাপাতা। যেমন ভাবেই আঁকা হোক না কেন, রীতি বা শৈলী একই রকম। কারও বাড়িতে আবার তিন মাসে তিন রকম আলপনা দেওয়া হত। বাড়ির মহিলারাই সে সব আঁকতেন। আজ আলপনা শিল্প লুপ্তপ্রায়। এখনও পুজো হয়, কিন্তু আলপনা দেওয়ার মতো শিল্পে নিপুণ প্রবীণ মহিলা কোথায়! পরম্পরটা নষ্ট হতে বসেছে। একদিন হয়তো আলপনার মতো তিনখণ্ড লক্ষ্মীপুজোও বন্ধ হয়ে যাবে।
কৃত্তিকারঞ্জন সিংহ, বহরমপুর
|
দিনে অনেক গুলি ট্রেন আজিমগঞ্জ থেকে কাটোয়া যাতায়াত করে। কিন্তু ট্রেনগুলির সঙ্গে ফরাক্কা-আজিমগঞ্জ শাখার কোনও লিঙ্ক ট্রেন নেই। ফলে ফরাক্কা, ধুলিয়ান, অরাঙ্গাবাদের মানুষ ১০৫ কিলোমিটার রেলপথ কি ভাবে পাড়ি দিয়ে কাটোয়া-আজিমগঞ্জের ট্রেন ধরবে? একটি ট্রেন জঙ্গিপুর থেকে শিয়ালদহ যায়। আরও একটি ডেমু ট্রেন চলতি রেল বাজেটে জঙ্গিপুর থেকে কাটোয়া পর্যন্ত বরাদ্দ করা হয়েছে। ওই দু’টি ট্রেনের যাত্রাপথ ফরাক্কা পর্যন্ত করা হলে ওই সমস্যার সামাধান হয়ে যেত না কি? অথচ লালগোলা থেকে কলকাতাগামী প্রচুর ট্রেন থাকা সত্ত্বেও ‘ধনধ্যন্য এক্সপ্রেস’-এর যাত্রাপথ বহরমপুর থেকে সম্প্রসারিত করা হল লালগোলা পর্যন্ত। বহরমপুর-কৃষ্ণনগর মেমু ট্রেনটির যাত্রাপথও সম্প্রসারিত হয়েছে রাণাঘাট-কাশিমবাজার পর্যন্ত। জঙ্গিপুর থেকে ফরাক্কার মধ্যে কয়েক হাজার যাত্রী ওঠানামা করেন। অফিস টাইমে তাঁরা কি খাগড়াঘাট স্টেশনের সঙ্গে একটি লিঙ্ক ট্রেন আশা করতে পারেন না? আজিমগঞ্জ-ফরাক্কা রেলপথের বয়স একশো বছর পার হয়ে গিয়েছে। তারপরেও বঞ্চনার অবসান হবে না?
সাধন দাস, ভৈরবটোলা, লবনচোঁয়া
|
চলতি রেল বাজেটেও ভোরের দিকে জঙ্গিপুর থেকে কলকাতা যাওয়ার দ্রুতগামী একটি ট্রেনের দাবি উপেক্ষিতই থেকে গেল। স্বাধীনতার ৬৬ বছর পরেও হল না। মুর্শিদাবাদ জেলার একজন সাংসদ রেলের প্রতিমন্ত্রী হওয়ায় জঙ্গিপুর মহকুমার মানুষ আশায় বুক বেঁধেছিল। কিন্তু প্রত্যাশা অপূর্ণই রয়ে গেল।
কাশীনাথ ভকত, জঙ্গিপুর
|
ম্যাকেঞ্জি পার্কের ময়দানে চলতি বছরের জঙ্গিপুর বইমেলা সম্প্রতি সমাপ্ত হয়েছে। বইয়ের বিপুল সম্ভার নিয়ে হাজির হওয়া ওই মেলা প্রথম কয়েক বছর জঙ্গিপুর মহকুমায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। সেই তুলনায় এ বারের বইমেলা বেশ ম্লান। উদ্যোক্তাদের উদ্যোগের খামতির জন্যই কি এ বারের বইমেলা এ রকম দীনহীন দশার শিকার? না কি নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে?
শান্তনু রায়, রঘুনাথগঞ্জ |