উত্তর কলকাতা
বাগবাজার
অনিশ্চিত প্রকল্প
শৌচাগার না কমিউনিটি হল। বস্তিবাসীরা এই নিয়ে দু’ভাগ। ছিল মালিকানার প্রশ্নও। ফলে বাগবাজারের এক নম্বর বস্তিতে কমিউনিটি সেন্টার কবে তৈরি হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। যদিও পুরকর্তৃপক্ষের দাবি, দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে।
কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (বস্তি) স্বপন সমাদ্দার বলেন, “এই দফতরের দায়িত্ব নেওয়ার পরে পুরসভার সার্ভে দফতরের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি এই জমি পুরসভারই। কী ভাবে দ্রুত রূপায়ণ করা যায় তা নিয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করব। বস্তিবাসীদের সম্মতি পেলে তবেই কাজ শুরু হবে।”
শহরে নানা এলাকায় বস্তিবাসীদের স্বল্প খরচে নানা সামাজিক অনুষ্ঠান করার জন্য কমিউনিটি হল তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় বর্তমান পুরবোর্ড। কমিউনিটি হল তৈরির জন্য কাউন্সিলরদের জায়গা দেখতে বলা হয়। পুরসভার বস্তি দফতরের এক আধিকারিক জানান, যেখানে পুরসভার নিজস্ব জমি রয়েছে সেখানে দ্রুত কাজ হয়েছে। অন্য কোনও দফতরের জমি হলে সেই সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে অনুমতি নিতে কিছু সময় লাগে। সব চেয়ে বেশি সমস্যা হয় জমি ‘ঠিকা টেনান্সি’র আওতায় থাকলে। এতে নানা আইনি জট থাকে। তা কাটাতে বেশি সময় লাগে। পুরসভা সাধারণত এই ধরনের জমি এড়িয়ে চলে। এই জমিটি ঠিকা টেনান্সির আওতায় পড়ে বলে অভিযোগ ওঠে।
পুরসভা সূত্রের খবর, বাগবাজারের এক নম্বর বস্তির মধ্যে অনেক দিন আগেই পুরসভা একটি শৌচাগার তৈরি করেছিল। এই জায়গাটিই কমিউনিটি হল তৈরির জন্য স্থানীয় কাউন্সিলর চিহ্নিত করেন। এর পর, পুরকর্তৃপক্ষকে এখানে কমিউনিটি হল করার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
এ নিয়েই বস্তিবাসীদের মধ্যে বিতর্ক শুরু হয়। বস্তিবাসীদের একাংশ কমিউনিটি হল চাইলেও অন্য অংশ এখানে শৌচাগার থাকারই পক্ষে।
পুরসভার এক আধিকারিক জানান, বস্তিবাসীদের দু’পক্ষকেই খুশি করতে এক তলায় শৌচাগার রেখে উপরের তলায় কমিউনিটি সেন্টার করার কথাও চিন্তা করা যেতে পারে। স্থানীয় কাউন্সিলর তৃণমূলের মঞ্জুশ্রী চৌধুরী বলেন, “এক বছর আগে আমি বস্তির ওই জমি কমিউনিটি সেন্টার তৈরির জন্য চিহ্নিত করেছিলাম। জমির মালিকানা জানার জন্য পুরসভাকে বলি। পুরসভা আমায় কিছু জানায়নি। নতুন মেয়র পারিষদকেও ফের অনুরোধ করেছি। তবে বস্তিবাসীদের সম্মতি ছাড়া কাজ শুরু হবে না।”

ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.