টুকরো খবর
অবৈধ করাতকল দু’মাসে বন্ধের নির্দেশ
সুপ্রিম কোর্টের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বহু অবৈধ করাতকল রমরম করে চলছে রাজ্যে। এই ধরনের ১১০৬টি বেআইনি করাতকলের বিদ্যুৎ-সংযোগ অবিলম্বে ছিন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের নির্দেশ, শুধু বিদ্যুৎ বন্ধ করলেই দায়িত্ব শেষ হবে না। দু’মাসের মধ্যে ওই সব করাতকল পুরোপুরি বন্ধ করে হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গে বৈধ করাতকল রয়েছে ৭৬৫টি। বাকি সবই অবৈধ। ওই সব বেআইনি করাতকলের অধিকাংশই উত্তরবঙ্গে। নদিয়া, বীরভূম, বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়াতেও অবশ্য কিছু বেআইনি করাতকল রয়েছে। বেআইনি করাতকলের জন্য বৃক্ষ নিধন চলছে এবং পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে বলে অরূপ বসু নামে এক ব্যক্তি হাইকোর্টে জনস্বার্থের মামলা করেন। বুধবার সেই মামলার রায় দিয়ে প্রধান বিচারপতি অরুণ মিশ্র ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, সুপ্রিম কোর্ট দীর্ঘদিন আগেই পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১১টি রাজ্যে নতুন করাতকল ও প্লাইউড কারখানা করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে। তার পরে বেআইনি করাতকল এক দিনও চালু রাখা যায় না। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী রাজ্যের বনপাল এম এস সুলতান ক্ষমতা পেয়েই উত্তরবঙ্গে বেআইনি করাতকল বন্ধ করতে অভিযানে নামেন। কিন্তু অভিযান শুরু হতেই বনমন্ত্রী হিতেন বর্মনের সঙ্গে তাঁর সংঘাত বেধে যায়। বনমন্ত্রী জানান, বেআইনি করাতকল বন্ধ করা যাবে না। বনপাল সুলতান জানিয়ে দেন, তিনি যা করছেন, তা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার পরেই বনমন্ত্রীকে মহাকরণে ডেকে পাঠান। মুখ্যমন্ত্রী ও বনমন্ত্রীর আলোচনার পরে দেখা যায়, নামে বনপাল থাকলেও সুলতানের সব ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়। তার পরই বেআইনি করাতকল বন্ধের অভিযান স্তব্ধ হয়ে যায়।

ভাষা ছাড়া অন্য বিষয়ে বানান ভুল হলেও নম্বর
নিজেদের প্রশ্নপত্রে বানান ভুলের জন্য বিব্রত হওয়া দূরের কথা। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ জানাল, বাংলা, ইংরেজির মতো ভাষার পরীক্ষা ছাড়া অন্যান্য বিষয়ে বানানের গুরুত্ব নেই। তাই ভাষা ছাড়া অন্য বিষয়ে ভুল বানানের জন্য নম্বর কাটা হবে না। পরীক্ষকদের এই মর্মে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও বুধবার জানান মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রশাসক কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। যদিও পর্ষদের সব প্রশ্নপত্রের উপরেই লেখা আছে, ভুল বানানের জন্য নম্বর কাটা যাবে। মাধ্যমিকে জীবনবিজ্ঞানের প্রশ্নপত্রে স্বাস্থ্য, ক্ষতিগ্রস্ত, উৎপত্তিস্থল ইত্যাদি বানান ভুল ছাপা হয়েছে। মাধ্যমিকের প্রস্তুতির জন্য এক বছর সময় পেলেও মধ্যশিক্ষা পর্ষদ কেন নির্ভুল প্রশ্নপত্র ছাপতে পারে না, তার সদুত্তর নেই পর্ষদকর্তাদের কাছে। প্রবীণ শিক্ষক সুনন্দ সান্যাল মনে করেন, ভুল বানান লিখেও নম্বর পেলে পড়ুয়ারা ঠিক বানান শিখতে আগ্রহী হবে না। তিনি বলেন, “এমন নিয়ম হলে সব রকম বানানকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে।” পবিত্র সরকারের মতে, “ভাষাশিক্ষার গুরুত্ব থাকা উচিত। তবে অন্যান্য বিষয়ে শুধু বানান ভুলের জন্য নম্বর কাটার পক্ষপাতী আমি নই। কিন্তু প্রশ্নপত্রে বানান ভুল ক্ষমাহীন অপদার্থতা।” মাধ্যমিকের ইতিহাসে ভুল বানানের জন্য নম্বর না-কাটার নির্দেশ দেওয়ার নজির বিরল।

সুপ্রিম কোর্টে কাল শপথ বিচারপতি পিনাকী ঘোষের
কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি ও অন্ধ্র হাইকোর্টের বর্তমান প্রধান বিচারপতি পিনাকীচন্দ্র ঘোষ কাল, শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির দায়িত্ব নিতে চলেছেন। সকাল ১০টায় তিনি শপথ নেবেন। তাঁর বাবা শম্ভুচন্দ্র ঘোষ কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। রামকৃষ্ণ মিশনের স্কুলের ছাত্র পিনাকীবাবু সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে স্নাতক হন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন পাশ করে ১৯৭৬ সালে হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন। ’৯৭ সালে হাইকোর্টের বিচারপতি হন। রাজ্যের আনা সিঙ্গুরের জমি অধিগ্রহণ বিল অবৈধ বলে রায় দেন তিনি। তা নিয়ে বিতর্কও হয়। ওই রায়ে অস্বস্তিতে পড়ে যায় শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁর সিঙ্গুর রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে পাল্টা মামলা করেছে রাজ্য। মে মাসে তার শুনানি। সিঙ্গুর নিয়ে রায়ের কিছু দিন পরেই বিচারপতি ঘোষ অন্ধ্র হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হন। সেই দায়িত্ব পালনের আট মাসের মধ্যেই তিনি শীর্ষ আদালতের বিচারপতির দায়িত্ব নিচ্ছেন।

প্রার্থী ৯১ হাজার, নিয়োগ ৩৬
চাকরির আবেদন জানিয়েছিলেন ৯১ হাজার যুবক-যুবতী। কেটে গিয়েছে সাত মাস। চাকরি পেয়েছেন ৩৬ জন। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এই গতিতে চাকরি হলে বেকারের সংখ্যা ভীষণ ভাবে বেড়ে যাবে। শিল্প-বাণিজ্য ক্ষেত্রে যে-খরা চলছে, তার ফলে এত কম প্রার্থী চাকরি পাচ্ছেন বলে মনে করছে শিল্পমহল। আবেদন জানিয়ে অপেক্ষা করছিলেন ৯১ হাজার প্রার্থী। এত দিন পরে, বুধবার দু’টি বেসরকারি সংস্থা এক অনুষ্ঠানে তাঁদের মধ্যে ৩৬ জনকে নিয়োগপত্র দেয়। রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু অনুষ্ঠানে বলেন, যে-সব বেসরকারি সংস্থা চাকরি দেয়, তাদের মধ্যে ৬৭টি সংস্থা নাম নথিভুক্ত করেছে। কিন্তু সাত মাসের মধ্যে এগিয়ে এল মাত্র দু’টি সংস্থা। রাজ্যে বেকারের সংখ্যা এখন ঠিক কত, তা জানতে সমীক্ষা চলছে। বাম আমলে রাজ্যে নথিভুক্ত বেকারের সংখ্যা ছিল প্রায় ৭৫ লক্ষ। ২০১২ সালের ২৬ জুলাই তৈরি হয়েছিল এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্ক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বোধন করেন সেই ওয়েবপোর্টালের। কিন্তু চাকরির বাজারে মন্দা কাটেনি।

মমতাকে আর্জি
গ্রুপ-সি করণিক নিয়োগে নয়া নির্দেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিল সিপিএম প্রভাবিত সরকারি কর্মী সংগঠন কো-অর্ডিনেশন কমিটি। অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ী কর্মীদের সমান বেতন ও ভাতা এবং তিন বছর পরে স্থায়ী করার দাবিও জানিয়েছে তারা। সংগঠনের নেতা অনন্ত বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, নির্দেশ প্রত্যাহার না-হলে বৃহত্তর আন্দোলন হবে।

ইমাম ভাতা
ইমামদের ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্তটি মোটেই জনস্বার্থে নেওয়া হয়নি বলে হাইকোর্টে সওয়াল করলেন এই সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলার অন্যতম আবেদনকারী আচার্য যোগেশ শাস্ত্রীর আইনজীবী আশিস সান্যাল।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.