টুকরো খবর
সরকারি প্রকল্পে শিশু শ্রমিক
শিশু শ্রম নাকি নিষিদ্ধ! তাহলে তেহট্টের হাঁসপুকুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চকবিহারী পশ্চিমপাড়ায় একশো দিনের প্রকল্পে যে কচি মুখগুলোকে কাজ করতে দেখা যাচ্ছে তারা কারা? ওদের কেউ ষষ্ঠ কেউ আবার সপ্তম শ্রেণীতে পড়ে। টানা কয়েকদিন ধরে ওদের মাটি কাটতে দেখার দৃশ্য অবশ্য গা সওয়া হয়ে গিয়েছে গ্রামের অনেকেরই। কেউ কেউ আবার প্রশ্ন তুলছেন, ‘‘সরকার শিশু শ্রম নিষিদ্ধ করেছে। সেখানে সরকারি প্রকল্পেই শিশুদের দিয়ে কাজ করানোটা কি ঠিক হচ্ছে?’’ হাঁসপুকুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিজেপির সন্ধ্যা বিশ্বাস অবশ্য এতে তেমন দোষের কিছু দেখছেন না। তিনি বলছেন, ‘‘শিশু শ্রম আইনত নিষিদ্ধ। কিন্তু আমরাও নিরুপায়। ওদের কারও বাবা অসুস্থ। কারও আবার বাবা মারা গিয়েছেন। তাই মানবিকতার খাতিরেই ওই শিশুদের কাজে নেওয়া হয়েছে।’’ মঙ্গলবার সকালে কাজ করছিল ষষ্ঠ শ্রেণীর সঞ্জিত মণ্ডল, সপ্তম শ্রেণীর অমল বিশ্বাস, গোপাল মণ্ডলরা। তাদের কথায়, ‘‘বাবা কাজে আসতে পারেননি। তাই আমরা কাজ করছি।’’ গ্রামের সুখেন মণ্ডল ও নিমাই বিশ্বাসরা বলছেন, ‘‘বিষয়টা প্রশাসনের দেখা উচিত।’’ তেহট্টের মহকুমাশাসক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য সাফ জানিয়েছেন, ‘‘কোনওভাবেই শিশুদের দিয়ে কাজ করানো যাবে না। পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেব।’’

বাসচালককে মারধরে অভিযুক্ত পুরপ্রধান
এক বাসচালককে মারধরের অভিযোগ উঠল কৃষ্ণনগর পুরসভার পুর প্রধান অসীম সাহার বিরুদ্ধে। কৃষ্ণনগর-বাদকুল্লা রুটের ওই বাস চালক শঙ্কর মালাকার শনিবার এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে অভিযোগও দায়ের করেছেন। তাঁকে গালিগালাজ করা হয়েছে বলে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছেন পুর প্রধান। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল নাগাদ শহরের আনন্দময়ীতলায় ওই বাসটি ও পুরপ্রধানের গাড়ি মুখোমুখি হয়ে যায়। অভিযোগ, এতেই চটে গিয়ে অসীমবাবু ওই চালককে মারধর করেন। অভিযোগ অস্বীকার করে পুরপ্রধান বলেন, ‘‘রাস্তায় ‘সাইড’ দেওয়াকে কেন্দ্র করে আমার গাড়ির চালক এবং ওই বাস চালকের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। থামাতে গেলে আমাকে গালিগালাজ করা হয়। আমি তার প্রতিবাদ করেছি মাত্র।” আইসি অলোকরঞ্জন মুন্সি বলেন, “দু’পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে।”

স্বাভাবিক বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
দিন দু’য়েকের বিক্ষোভ শেষে স্বাভাবিক হয়েছে কল্যাণীর বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যাল। গবেষকদের হাজিরা খাতা বাতিল ও হোস্টেলে রান্নার গ্যাসে ভর্তুকি বজায় রাখার দাবিতে পড়ুয়ারা সোমবার রাতে রেজিস্ট্রার পার্থসারি থ চট্টোপাধ্যায়কে ঘেরাও করেন। পরেরদিন, মঙ্গলবার কর্তৃপক্ষ আলোচনায় বসে ক্ষুব্ধ পড়ুয়াদের সঙ্গে। ছাত্র-ছাত্রীদের আংশিক দাবি মেনে নেওয়ায় ঘেরাও মুক্ত হন রেজিস্ট্রার। তারপরই বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ধরা পড়েছে চেনা ছবি। প্রশাসনিক ভবনে চলছে রোজকারের রুটিন কাজ। পড়ুয়ারা ব্যস্ত শ্রেণিকক্ষে ক্লাস করতে। গবেষকরা গবেষনাগারে নিজ নিজ কাজে রত। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ পরিচালিত ছাত্র সংসদের সভাপতি আনন্দ হাজরা বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি স্বাভাবিক। পঠনপাঠন চলছে স্বাভাবিক ছন্দে।” রেজিস্ট্রার পাথর্সারথিবাবু বলেন, “পঠনপাঠন সহ সমস্ত কাজই স্বাভাবিক রয়েছে। কোথাও কোনও সমস্যা নেই।”


মাঠ থেকে তোলা হচ্ছে পেঁয়াজ। কৃষ্ণগঞ্জের চৌগাছায়। ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য।


বাংলাদেশের আন্দোলনের প্রতি সহমর্মিতা। বহরমপুরে তোলা নিজস্ব চিত্র।

প্ররোচনা, ধৃত
আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার দায়ে মৃতার শাশুড়ি, দেওর ও স্বামীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার ফরাক্কার উত্তর রামরামপুর গ্রামের বাসিন্দা নাজিমা বিবি (৩৫) গ্রামেরই আইসিডিএস কেন্দ্রে রান্না করার সময় গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যা করেন। মৃতার দাদা মতিউর রহমান বলেন, “সকাল ৯টা নাগাদ বোনের মৃত্যুর খবর জানতে পারি। বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে শ্বশুরবাড়ির লোকজন বোনকে নিগ্রহ করত। এ দিন সেই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী হয় বোন। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।” পুলিশ মৃতার শাশুড়ি নুরনেহার বিবি, স্বামী জোকারিয়া ইসলাম ও দেওর আনিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে।

পথবাতির দাবি, বিক্ষোভ বগুলায়
সন্ধ্যায় নামলেই অন্ধকার ঘনিয়ে আসে বগুলা-১ পঞ্চায়েত এলাকায়। গোটা তল্লাটে পথবাতির কোনও চিহ্ন নেই। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, সেই সুযোগে দৌরাত্ম বাড়ছে দুষ্কৃতীদের। মঙ্গলবার ভর সন্ধ্যায় বগুলার পূর্বপাড়ায় দুষ্কৃতীরা হানা দিয়ে অন্ধকারে নিরাপদে চম্পট দেয়। তাই পথবাতির দাবিতে স্থানীয় বাসিন্দারা বুধবার বিকেলে পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। সমস্যার কথা স্বীকার করে কংগ্রেস-তৃণমূল চালিত ওই পঞ্চায়েতের প্রধান কংগ্রেসের চঞ্চলা বিশ্বাস বলেন, “রাস্তায় আলো দিতে গেলে প্রতি মাসে মোটা অঙ্কের বিদ্যুতের বিল গুনতে হবে। ওই পরিমান টাকা কর আদায় হয় না এলাকায়। তৃণমূলের লোকজন এই বিক্ষোভ করছে।” উপপ্রধান তৃণমূলের দিলীপ বিশ্বাসের বক্তব্য, “আলোর ব্যবস্থা করার টাকা নেই পঞ্চায়েতের। তবে বিক্ষোভকারীরা নেহাতই গ্রামবাসী।”

চালককে মারধর
এক বাস চালককে মারধরের অভিযোগ উঠল কান্দির মহকুমা শাসকের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে আচমকা বাস বন্ধ করে দেন বাসকর্মীরা। বুধবার সকালে সালিন্দা বাসস্ট্যান্ডে একই রুটের দুটি বাস আড়াআড়িভাবে দাঁড়িয়ে পাল্লা দিয়ে যাত্রী তুলতে থাকে। আটকে পড়ে পিছনে থাকা এসডিও-এর গাড়ি। এতেই চটে গিয়ে এসডিও দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য এক বাসচালককে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। বাসকর্মীরা বাসের চাকা থামিয়ে দেন। পরে বাসশ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনার পরে স্বাভাবিক হয় বাস যাত্রা। কান্দি মহকুমা শ্রমিক সংগঠনের নেতা শ্রীনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এসডিও তাঁর ভুল বুঝতে পেরেছেন। আলোচনায় সব মিটে গেছে।” আর মহকুমা শাসকের বক্তব্য, “রাগের মাথায় সামান্য মারধর করেছিলাম ওই বাসকর্মীরা। পরে বিষয়টি অবশ্য মিটেও গিয়েছে।”

দুর্ঘটনায় মৃত্যু
কর্মস্থলে যাওয়ার পথে ট্রেকার উল্টে মারা গেলেন এক স্বাস্থ্যকর্মী। নাম আলপনা রায় বিশ্বাস (৪২)। বাড়ি মুর্শিদাবাদ পুর এলাকায়। বুধবার সকালের ওই ঘটনায় জখম হন আরও ১৫ জন। তাঁদের মধ্যে ১০ জন লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মধ্যে এক জনকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.