|
|
|
|
এ বার বেহালা |
খাবারের লোভ দেখিয়ে ‘ধর্ষণ’ প্রতিবন্ধী তরুণীকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
মহারাষ্ট্রের ভাণ্ডারার ধর্ষণ-কাণ্ডের ছায়া এ বার কলকাতার বুকে। মহারাষ্ট্রের গণ্ডিয়া জেলার প্রত্যন্ত মারমাডি গ্রামের ওই ঘটনায় তিন বোনকে খাবারের লোভ দেখিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ধর্ষণের পরে তিন জনকেই ফেলে দেওয়া হয়
একটি কুয়োয়।
বেহালা থানার এক বস্তি এলাকাতেও খাবারের লোভ দেখিয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধী এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। ওই তরুণীর পরিবারের অভিযোগ, সোমবার রাত আটটা নাগাদ ওই তরুণীকে কিছু খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে প্রতিবেশী এক প্রৌঢ় এলাকার একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছে। বুধবার থানায় অভিযোগ জানাতে এসে মেয়েটির বড়বৌদি জানান, প্রতিদিনই সকাল থেকে বাড়ির সকলে বেরিয়ে যান কাজে। ওই তরুণীর বাবা আগে ভ্যান চালালেও, এখন আর কিছু করেন না। মা এবং বড়বৌদি পরিচারিকার কাজ করেন। দুই দাদার এক জন বাসের হেল্পার এবং ছোট জন পাথর ভাঙার কাজ করেন। সারা দিন বাড়ি থাকে মেয়েটির ছোটবৌদি এবং বাবা। সব সময়েই সামলে রাখতে হয় ওই তরুণীকে। কিন্তু প্রায়ই তিনি প্রতিবেশীদের বাড়িতে কোনও
রকমে পা টেনে টেনে একটু আধটু যাতায়াত করতেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিবেশী বিকাশের বাড়িতে ওই তরুণী মাঝেমধ্যে যেতেন। বিকাশের বাড়িতে স্ত্রী ছাড়াও রয়েছেন এক ছেলে এবং মেয়ে। সোমবার রাত আটটা নাগাদ ওই তরুণীকে বিকাশ নিজের বাড়ি নিয়ে যেতে চাইলে তাই সন্দেহ হয়নি কারও। কিন্তু নিজের বাড়িতে না নিয়ে গিয়ে তাঁকে এলাকার অন্য একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে যায় বিকাশ। সেখানে তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, বাড়ি গিয়ে ধর্ষণের বিষয়ে কাউকে কিছু না বলার জন্য মেয়েটিকে হুমকি দেয় বিকাশ। ভয়ে বাড়ি ফিরে কিছু না জানালেও, পরের দিন অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই তরুণী।
বাড়ির লোকজন অসুস্থতার কারণ জিজ্ঞাসা করলে সব কিছু খুলে বলেন তিনি। আর এর পরেই পাড়ার লোকজনের সহায়তায় বুধবার সকালে বেহালা থানায় গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে তরুণীর পরিবার। স্থানীয় বাসিন্দা তারক বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন বলেন, “মেয়েটির বাড়ির লোকজন ঘটনায় খুবই ভয় পেয়ে গিয়েছেন। আমরাই ওঁদের বলি, থানায় পুরো ঘটনাটি জানাতে।” পরে মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। ওই তরুণীর বাবা বলেন, “যে আমার মেয়ের সঙ্গে এ রকমের কাজ করল, তার কড়া শাস্তি চাই।”
এ দিকে, অভিযুক্ত ব্যক্তি পলাতক বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বুধবার দুপুরে বেহালা থানায় মহিলা অফিসার ওই তরুণী এবং তাঁর পরিবারের সকলের সঙ্গে কথা বলে অভিযোগ নেন। ডিসি (এসএসডি) সুব্রত মিত্র বলেন, “আমরা মেয়েটির বাড়ির লোকের অভিযোগের ভিত্তিতে যৌনহেনস্থার অভিযোগ দায়ের করেছি। তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে।” পুলিশ সূত্রের খবর, এই ঘটনায় ৩৭৬ (২) (কে) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। |
|
|
|
|
|