|
|
|
|
টাটা-এয়ার এশিয়া জোটে সায় কেন্দ্রের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
টাটা গোষ্ঠীর হাত ধরে ভারতের আকাশে ওড়ার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের চূড়ান্ত ছাড়পত্র পেয়ে গেল মালয়েশিয়ার বিমান সংস্থা এয়ার এশিয়া। সব কিছু ঠিকঠাক চললে চলতি বছরের শেষেই এ দেশের আকাশে ডানা মেলবে নতুন সংস্থার বিমান। ইতিহাসের পাতা থেকে উঠে আবার বিমান পরিবহণে ফিরবে টাটাদের নাম। গোষ্ঠীর প্রাক্তন কর্তা রতন টাটা এ দিন রাতে টুইট করে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
কিন্তু, ইতিমধ্যেই উঠে গিয়েছে অন্য এক প্রশ্ন। কেন্দ্র যখন ভারতের বিমান ক্ষেত্রে বিদেশি লগ্নির ছাড়পত্র দিয়েছিল,
|
রতন টাটা |
তখন বলেছিল ভারতীয় কোনও বিমান সংস্থায় বিদেশি সংস্থা সর্বোচ্চ ৪৯% বিনিয়োগ করতে পারবে। সেখানে কোথাও বলা হয়নি, বিদেশি সংস্থা, ভারতীয় কোনও সংস্থার (যারা বিমান চালায় না) সঙ্গে জোট বেঁধে বিমান সংস্থা তৈরি করে ভারতে চালাতে পারবে। আর এখানেই দেখা দিয়েছে সমস্যা।
যে টাটা গোষ্ঠীর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছে এয়ার এশিয়া, সেই গোষ্ঠী বিমান চালায় না। ফলে, সে অর্থে এয়ার এশিয়ার লগ্নি কোনও বিমান সংস্থায় হচ্ছে না। এই গাঁটছড়ায় দ্বিতীয় যে সংস্থাকে নেওয়া হয়েছে সেই ‘হিন্দুস্তান অ্যাভিয়েশন’-ও বিমান চালায় না। তাদের ব্যবসা বিমানের যন্ত্রাংশ নিয়ে। ফলে, প্রশ্ন উঠেছে, যদি বিদেশি লগ্নির নিয়ম ষোলো আনা মানা হয়, তা হলে অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে টনি ফার্নান্ডেজ (এয়ার এশিয়ার কর্ণধার)-এর এই পরিকল্পনা। যদিও নতুন এই সংস্থাকে স্বাগত জানাতে যে কেন্দ্রের কোনও আপত্তি নেই, সে বিষয়টি পরিষ্কার করে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় বিমানমন্ত্রী অজিত সিংহ। বুধবার দিল্লিতে এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দরকার হলে বাণিজ্য মন্ত্রকের উচিত নিয়মের অদলবদল করা। নতুন এই সংস্থা বিমান মন্ত্রকের নিয়ম মেনে চললে আমাদের তরফে সবুজ সঙ্কেত দিয়ে দেওয়া হবে।”
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, নিয়মের ফাঁসে পড়ে এয়ার এশিয়ার এই প্রচেষ্টা যদি বানচালই হয়ে যাবে, তা হলে বুধবার অর্থ মন্ত্রক কেন সবুজ সঙ্কেত দেবে? কেন্দ্রের ফরেন ইনভেস্টমেন্ট প্রোমোশন বোর্ড-এরও সবুজ সঙ্কেত পেয়েছে নতুন এই সংস্থা। তাহলে তাও পাওয়ার কথা ছিল না। ওড়ার ক্ষেত্রে এখন শুধু বাকি ভারতে বিমান পরিবহণের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন-এর লাইসেন্স।
নতুন এই সংস্থা যে তৈরি হতে চলেছে সে বিষয়ে নিশ্চিত রতন টাটা-ও। এ দিন রাতে টুইট করে তিনি বলেন, “কেন্দ্র যে বিনিয়োগ-বন্ধু, তা প্রমাণিত হল। এ বার আরও সংস্থা ভারতে লগ্নি করতে উৎসাহিত হবে।” নতুন সংস্থাটি তৈরি হচ্ছে ৮০ কোটি টাকায়। সস্তার পরিষেবা সংস্থা এয়ার এশিয়ার থাকবে ৪৯% শেয়ার। টাটা ও হিন্দুস্তান অ্যাভিয়েশনের থাকবে যথাক্রমে ৩০ ও ২১%। চেন্নাই থেকে বছরের শেষে ৩-৪টি বিমান দিয়ে যাত্রা শুরু হওয়ার কথা। প্রধানত দক্ষিণ ও উত্তর ভারতের দ্বিতীয় শ্রেণির শহরে উড়ান চালাতে চায় তারা।
১৯৩২ সালে এ দেশের প্রথম বিমান পরিবহণ সংস্থা টাটা এয়ারলাইন্স চালু করেন জে আর ডি টাটা। ১৯৪৬ সালে শেয়ার বাজারে নথিভুক্তির সময়ে নাম হয় এয়ার ইন্ডিয়া। স্বাধীনতার পর ৫৩ সালে জাতীয়করণ হয় এয়ার ইন্ডিয়ার। |
|
|
|
|
|