লক্ষ্মী
আজব ধাঁধা
যিনি বেশি সঞ্চয়ী, যুক্তি বলে, সম্পদও বেশি তৈরি করা উচিত তাঁরই। কারণ, সঞ্চয়ের টাকাই তো বিভিন্ন স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদি প্রকল্পে খেটে মোটা অঙ্কের সম্পদের জন্ম দেয়। তা হলে মেয়েদের ক্ষেত্রে এই সহজ সূত্র খাটে না কেন?
উত্তর হল, মেয়েদের সঞ্চয়ের ইচ্ছে ষোলো আনা। কিন্তু সেই সঞ্চয়ের টাকা যত্ন করে বাছা বিভিন্ন প্রকল্পে রেখে কেন সম্পদ তৈরি করা উচিত, সে সম্পর্কে তাঁদের অধিকাংশেরই ধারণা অস্পষ্ট। বাজারে কী কী প্রকল্প রয়েছে, কিংবা সে সবের মধ্যে কোনগুলি তাঁদের নিজেদের জন্য উপযুক্ত, ধোঁয়াশা রয়েছে তা নিয়েও। সব মিলিয়ে, সম্পদ তৈরির প্রয়োজনীয়তা ও উপায় নিয়ে সচেতনতার স্পষ্ট অভাব রয়েছে তাঁদের মধ্যে।

সমীক্ষায় প্রমাণ
সঞ্চয়কে সম্পদে পরিণত করার বিষয়ে মেয়েদের এই সচেতনতার অভাব আজ এই ২০১৩ সালে দাঁড়িয়ে শুনতে হয়তো একটু অদ্ভুত ঠেকতে পারে। কিন্তু এ নিয়ে সম্প্রতি দেশের ১১টি প্রথম ও দ্বিতীয় স্তরের (টিয়ার ওয়ান ও টু) শহরে একটি সমীক্ষা করেছিলাম আমরা। তাতে পাওয়া তথ্য থেকে কিন্তু এই সচেতনতার অভাব স্পষ্ট।
পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, জীবনে কখন কী ধরনের আর্থিক প্রয়োজন হতে পারে, এবং কোন ধরনের প্রকল্পে লগ্নি করলে তা মেটানো যায়, তা তেমন ভাল করে জানেন না অধিকাংশ শহুরে মহিলাও। তা হলে গ্রামের অবস্থা তো সহজেই অনুমেয়।
সমীক্ষায় মাত্র ২২% মহিলা জানিয়েছেন যে, জীবনের বিভিন্ন সময়ে ধেয়ে আসা আর্থিক প্রয়োজন সামাল দিতে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। সেখানে ৪২ শতাংশ মহিলাই মনে করেন, এ নিয়ে তাঁদের জ্ঞানের পরিধি স্রেফ প্রাথমিক ধারণাটুকু। তার বেশি কিছু সত্যিই তাঁদের জানা নেই।

চলো পাল্টাই
আজ দুনিয়া ঢুঁড়েও এমন কাজ খুঁজে পাওয়া শক্ত, যেখানে ছেলেদের সঙ্গে দক্ষতার দাঁড়িপাল্লায় পিছিয়ে রয়েছেন মেয়েরা। তা হলে সঞ্চয়কে সম্পদে বদলে দেওয়ার দৌড়েই বা তার অন্যথা হবে কেন? অফিসে-বাড়িতে যে দায়-দায়িত্ব মেয়েরা নিত্যদিন সামলান, এই চ্যালেঞ্জ তো তার তুলনায় নস্যি। আর সমস্যাটাকে যখন এক বার পড়ে ফেলা গিয়েছে, তখন জানবেন, তার সমাধানও আর দূরে নয়।
তাই চলো বদলাই। দেখি, কী ভাবে ধাপে ধাপে পরিকল্পনা সাজালে সম্পদ তৈরিতে দক্ষ হয়ে উঠবেন স্বভাব-সঞ্চয়ী মেয়েরা।

আলাদা না কি?
মেয়েদের জন্য সঞ্চয়ের গুরুত্ব আলাদা ভাবে বললেই অনেকে প্রশ্ন করেন, এ বিষয়ে তাঁরা ছেলেদের থেকে আলাদা না কি?
এর উত্তর, না। আবার হ্যাঁ-ও। কারণ, ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে পুরুষ-মহিলা সকলকেই আয়ের একটি অংশ সঞ্চয় হিসেবে তুলে রাখতে হয়, এ কথা একশো বার সত্যি। কিন্তু তেমনই এ-ও ঠিক যে, মহিলাদের একেবারে নিজস্ব কিছু আর্থিক প্রয়োজন আছে। রয়েছে বিশেষ কিছু ঝুঁকি। জমানো টাকা বিভিন্ন প্রকল্পে ছড়িয়ে দেওয়ার সময়ে যা মাথায় রাখা জরুরি।

স্বতন্ত্র দুনিয়া
কয়েকটি উদাহরণ দিলে হয়তো উপরের বিষয়টি সকলের কাছে একটু খোলসা হতে পারে—
প্রথমে মাতৃত্বের কথাই ধরুন। সন্তানের জন্ম দেওয়া প্রায় সব মেয়েরই সব থেকে কাঙ্ক্ষিত, ভাল লাগার মুহূর্ত। কিন্তু তেমনই এটাও সত্যি যে, এর জন্য পেশাদারি জীবনে অনেকখানি ত্যাগও করতে হয় তাঁদের। কারণ, সেই সন্তানের যত্ন-আত্তি থেকে শুরু করে তাকে পড়িয়ে-লিখিয়ে বড় করার মূল দায়িত্ব অধিকাংশ ক্ষেত্রেই গিয়ে পড়ে মায়ের উপর। তখন অফিস আর পরিবারের মধ্যে নতুন করে ভারসাম্য খুঁজতে হয় তাঁকে।
অনেক সময়েই দেখা যায়, বাচ্চার জন্য যথেষ্ট সময় বার করতে গিয়ে নিজের কেরিয়ারের সঙ্গে আপস করছেন তিনি। বেছে নিচ্ছেন কম সম্ভাবনাময় কিন্তু তুলনায় কম চাপের চাকরিকে। যেখানে কাজের চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি কমে যাচ্ছে বেতনের অঙ্কও। এই একই ঘটনা ঘটে বাড়ির বয়স্কদের দেখাশোনার জন্যও।
কোনও কারণে স্বামীর মৃত্যু হলে অথবা তাঁর সঙ্গে সম্পর্কে দাঁড়ি পড়লেও (ডিভোর্স), হঠাৎ করে জীবন বদলে যেতে পারে। দুই ক্ষেত্রেই যে মানসিক যন্ত্রণা বইতে হয়, তার কথা তো বাদই দিলাম। তার বাইরেও ঢেলে সাজতে হয় আর্থিক পরিকল্পনা। বিশেষত কেউ যদি গৃহবধূ হন এবং পায়ের তলায় মাটি পাওয়ার মতো সঞ্চয় তাঁর হাতে মজুত না-থাকে, তা হলে নতুন করে বাঁচার লড়াই শুরু করতে হয় তাঁকে। এক জন মহিলা হিসেবে সঞ্চয় পরিকল্পনার সময়ে এই অপ্রিয় অথচ বাস্তব সম্ভাবনাগুলো মাথায় রাখা জরুরি।
শুধু তা-ই নয়। বিয়ে না-করে এখন একা জীবন কাটানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন অনেক মেয়েই। আয় এবং সঞ্চয়ে কিন্তু একেবারে প্রথম থেকেই স্বাবলম্বী
হতে হবে এঁদের।
আজকের দিনে চিকিৎসার যা খরচ, তাতে স্বাস্থ্য বিমা করা উচিত সকলেরই। কিন্তু মনে রাখবেন, ব্রেস্ট ক্যান্সার কিংবা সার্ভাইকাল ক্যান্সারের মতো অসুখ কিন্তু হয় শুধু মেয়েদেরই। এখনকার উন্নত চিকিৎসায় হয়তো অনেক ক্ষেত্রেই তা নিরাময়যোগ্য। কিন্তু আপনার যাবতীয় সঞ্চয় নিংড়ে নিতে পারে এ ধরনের অসুখের চিকিৎসার খরচ। টাকা জমানোর পরিকল্পনার সময় এই সম্ভাবনাগুলোকেও ফেলে দেবেন না।

তা হলে?
এত ক্ষণের আলোচনা থেকে অন্তত একটি বিষয় স্পষ্ট। তা হল, সঞ্চয়কে বুড়ো বয়সের জন্য ফেলে রেখে কোনও লাভ নেই। বরং তা শুরু করতে হবে বয়স কম থাকতে। শুধু টাকা জমালেও হবে না। বুদ্ধি করে সেই টাকা ছড়িয়ে দিতে হবে বিভিন্ন প্রকল্পে। যাতে দীর্ঘ মেয়াদে তা একটি মোটা অঙ্কের তহবিল তৈরি করতে পারে। আবার প্রয়োজন মেটাতে পারে স্বল্প মেয়াদেরও।
যাঁরা নিজেরা আয় করেন, তাঁরা তো সঞ্চয় করবেনই। সম্পদ তৈরিতে মন দিতে হবে গৃহবধূদেরও। সে ভাবে নিজস্ব আয়ের উৎস যাঁদের নেই। তাঁদের প্রতি আমার পরামর্শ, বেশ কিছু টাকা যদি জমিয়ে থাকেন, তা হলে তার পুরোটা নগদে ধরে রেখে লাভ নেই। বরং তার একটা অংশ লগ্নি করুন বুদ্ধি করে বাছাই করা প্রকল্পে। বিন্দু থেকে সিন্ধু তৈরির উদাহরণ ভুলবেন না।
আসুন দেখা যাক, কী ভাবে ধাপে ধাপে সঞ্চয়কে সম্পদে রূপান্তরিত করতে পারি আমরা।
(১) লক্ষ্য স্থির
আপনার প্রথম কাজ নিজের জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ। শুরুতেই ভেবে নিন, ঠিক কী কী কাজের জন্য টাকা জমাতে চান আপনি। বাড়ি কেনা, বিদেশে বেড়ানো, সন্তানের বিয়ে, তাদের উচ্চশিক্ষা থেকে শুরু করে নিজের শখ-আহ্লাদ মেটানো। ইচ্ছে যা-ই হোক, তা মেটাতে অর্থের সংস্থান প্রয়োজন। সুতরাং ভেবে ফেলুন, কোনটা করতে কখন কত টাকা প্রয়োজন হবে। এক বার এটা করে ফেলতে পারলে, লগ্নির জন্য প্রকল্প বাছা অনেক সহজ হয়ে যাবে।
(২) প্রকল্প পরিকল্পনা
কীসের জন্য টাকা জমাতে চান, এতক্ষণে তা আপনার কাছে পরিষ্কার। এ বার প্রয়োজন সুপরিকল্পিত পরিকল্পনার মাধ্যমে প্রকল্প বাছাই। তা করার ভাল উপায় হল—
নিজের বর্তমান আয় এবং ব্যয়ের খতিয়ান নিন। আন্দাজ করার চেষ্টা করুন ভবিষ্যৎ আয় এবং খরচের পরিমাণও। তা হলে বুঝতে পারবেন সম্পদ তৈরির জন্য বিভিন্ন প্রকল্পে কত টাকা সঞ্চয় করতে পারবেন আপনি।
ভেবে দেখুন, কেন, কত টাকা, কত দিনের জন্য জমাতে চাইছেন। সব টাকা যেমন ৩০ বছর আটকে রাখলে চলবে না, তেমনই সঞ্চয়ের পুরোটা পাঁচ বছরের জন্য লগ্নি করাও বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
সঞ্চয়কে এমন ভাবে বিভিন্ন প্রকল্পে ছড়িয়ে দিতে হবে, যাতে সব লক্ষ্যই পূরণ হয়। বিমার নিরাপত্তা, করছাড়ের সুবিধা আদায়, চড়া রিটার্ন, লগ্নির সুরক্ষা এই সমস্ত ধরনের চাহিদার মধ্যে সঠিক ভারসাম্য রেখেই লগ্নির কথা ভাবতে হবে আপনাকে। কোন লক্ষ্য পূরণের জন্য কোন প্রকল্প উপযুক্ত, তা বুঝতে এক বার চোখ বোলাতে পারেন পাশের সারণিতে।
মনে রাখবেন, সব টাকা শেয়ারে ঢাললে যেমন তা ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে, তেমনই পুরোটাই ব্যাঙ্ক-ডাক ঘরে আটকে থাকলে আবার আরও ভাল রিটার্ন থেকে বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা। তাই টাকা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখতেই হবে আপনাকে।
মনে রাখবেন, সকলের ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা কিন্তু সমান নয়। তাই এ ক্ষেত্রে নিজের মানসিকতা, আর্থিক সঙ্গতি, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা সব বিষয় মাথায় রেখে তবেই প্রকল্প বাছুন।
কোনও প্রকল্পে (বিশেষত দীর্ঘ মেয়াদি) লগ্নি করার আগে ভেবে দেখুন, শেষ পর্যন্ত আপনি তা টানতে পারবেন কি না। খরচে রাশ টেনে দু’পয়সা বেশি সঞ্চয় করা প্রশংসাযোগ্য। কিন্তু নিজের ক্ষমতার বাইরে গিয়ে এক গুচ্ছ প্রকল্পে লগ্নি করে খাবি খাওয়া কাজের কথা নয়। মাথায় রাখুন, জীবনে হঠাৎ আসতে পারে, এমন বিপদের কথাও। বর্ষার জন্য আগে থেকেই খাবার সঞ্চয়ে রাখা ভাল।
শুধু ২০-২৫ বছর পর কত টাকা হাতে পাবেন, সেই অঙ্ক গুনবেন না। দেখুন, আসলে সেই প্রকল্পের বার্ষিক রিটার্ন কত। আদৌ কি আপনার টাকা বাড়ছে? না কি সেই বৃদ্ধির পুরোটাই খেয়ে যাচ্ছে মূল্যবৃদ্ধি?
মনে রাখবেন, মেয়েদের গড় আয়ু এখন আগের থেকে অনেক বেশি। তাই শুধু কালকের কথা না- ভেবে দীর্ঘ মেয়াদে টাকা রাখুন।
প্রয়োজনে বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
(৩) শুরু আর শৃঙ্খলা
সঞ্চয়কে বড় সম্পদে পরিণত করার প্রথম দুই শর্ত হল দ্রুত টাকা জমানো শুরু করা আর পরে লগ্নির ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা বজায় রাখা। লগ্নির অঙ্ক কম হলেও সেটি যদি দীর্ঘ দিন নিরবচ্ছিন্ন ভাবে ধরে রাখা সম্ভব হয়, তা হলে বেশি বয়সের জন্য বড় তহবিলের আরাম-কেদারা তৈরি হতে পারে।
এখন অধিকাংশ প্রকল্পেই লগ্নি করা যায় ইন্টারনেট মারফত। আপনি অনলাইনেই টাকা রাখুন বা এজেন্টের সঙ্গে বসে, কখনও প্রকল্পের খুঁটিনাটি পড়ে নিতে ভুলবেন না। খতিয়ে দেখুন প্রকল্পের সব রকম ঝুঁকিও।
(৪) সময়ের সঙ্গে বদলান
চাকরি জীবনের শুরুতে আপনি সঞ্চয়ের যে ‘প্রেসক্রিপশন’ হাতে সম্পদ তৈরির দৌড় শুরু করবেন, তা কিন্তু বদলে ফেলতে হবে মাঝে-মধ্যেই। কারণ, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আপনার আয়, ব্যয়, চাহিদা সব কিছুই বদলে যাবে। সেই অনুযায়ী বদলে ফেলতে হবে সঞ্চয়ের কৌশলও।
ধরুন, শেয়ার বাজারের অবস্থা তেমন ভাল ঠেকছে না, সে ক্ষেত্রে লগ্নির একটা অংশ সরিয়ে নিতে হতে পারে তুলনায় নিরাপদ প্রকল্পে। বাড়ি কেনার ধার শুধতে গিয়ে কিছুটা কাটছাঁট করতে হতে পারে অন্য কোনও প্রকল্পে ঢালা টাকায়। তাই সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রকল্প বাছাই ও সেখানে লগ্নির অঙ্ক বদলাতে তৈরি থাকুন।

ফসল ঘরে তুলুন
এত দিন ধরে যে টাকা জমালেন, ‘ম্যাচিওর’ করার সময় তা তুলতে দেরি করবেন না। ফেলে রাখলে, সুদ হারাবেন আপনিই।
কোনও প্রকল্প ম্যাচিওর করার পর ফের সেই টাকা রাখার আগে করছাড়ের বিষয়ে বিস্তারিত খবর নিন। জেনে নিন, এর পর কোন প্রকল্পে ওই টাকা রাখা যুক্তিযুক্ত। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলুন।
জীবন বিমা থেকে জাতীয় সঞ্চয়পত্র (এনএসসি) যে কোনও প্রকল্পের টাকা দেওয়ার সময়েই তার কাগজপত্র দেখতে চাইবে সংস্থা। তাই গোড়া থেকেই সে-সব যত্ন করে রাখুন।
মেয়েরা সঞ্চয়ী। কিন্তু সেই সঞ্চয়কে সম্পদে বদলে ফেলায় পারদর্শী নয়। এ বার এই ‘বদনাম’ ঘোচানোর সময় এসেছে। চলুন কোমর বাঁধি।

দরকার বুঝে প্রকল্প বাছাই
প্রয়োজন লাভজনক লগ্নি আর্থিক সুরক্ষা কর ছাড়
প্রকল্প শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড, ইউলিপ, সাধারণ বিমা, পেনশন প্রকল্প, ঋণপত্র নির্ভর প্রকল্প (বন্ড), পিপিএফ, সরকারি ঋণপত্র জীবন বিমা প্রকল্প,
স্বাস্থ্য বিমা
বিমা প্রকল্প, ইএলএসএস,
পিপিএফ, মিউচুয়াল ফান্ড,
করছাড়যুক্ত বন্ড ইত্যাদি

লেখক এইচডিএফসি লাইফের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর এবং চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.