টুকরো খবর
ফলক বসল স্বাস্থ্যকেন্দ্রে
সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর ফলক স্থাপন হল পুরুলিয়া ২ ব্লকের হাতোয়াড়াতে। শনিবার পুরুলিয়া-বরাকর রাজ্য সড়কের পাশে কৃষি দফতরের জমিতে এই অনুষ্ঠান হয়। ফলক স্থাপন করেন স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্বনিযুক্তি মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো। ছিলেন জেলাশাসক মহম্মদ গুলাম আলি আনসারি। মন্ত্রী বলেন, “গত ডিসেম্বর মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুটমুড়ায় এই হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করেন। এ বার যেখানে হাসপাতাল গড়ে উঠবে, সেখানে ফলকটি লাগানো হল।” তিনি জানান, চিকিৎসা ক্ষেত্রে পুরুলিয়া পিছিয়ে পড়া জেলা। মুখ্যমন্ত্রীকে সে কথা জানানোয় তিনি এখানে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল গড়তে সচেষ্ট হন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিধায়ক কে পি সিংহ দেও বলেন, “এখানে কৃষি দফতরের ২৫.৮৩ একর জমি দীর্ঘদিন পড়ে রয়েছে। সেই জমিতেই ৫ একর জায়গা নিয়ে এই হাসপাতাল গড়ে উঠবে।” তিনি জানান, বাকি জমিতে পরবর্তীকালে তাঁদের মেডিক্যাল কলেজ গড়ার ইচ্ছা রয়েছে। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক স্বপনকুমার ঝরিয়াত বলেন, “পিপিপি মডেলে এই হাসপাতাল গড়ে উঠবে। সাত তলার এই হাসপাতালে মোট ৫০০ শয্যা থাকবে। আপাতত পাঁচিল গড়ার জন্য প্রথম ধাপে ৯০ লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়েছে। ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল সার্ভিস কর্পোরেশন এই নির্মাণের কাজ দেখভাল করবে।”

হাসপাতালে চালু প্রসূতির অস্ত্রোপচার
সোমবার থেকে আমতা গ্রামীণ হাসপাতালে সিজারিয়ান পদ্ধতিতে প্রসূতিদের প্রসব করানোর ব্যবস্থা চালু হল। এ দিন মোট তিন জন প্রসূতির এই পদ্ধতিতে প্রসব করানো হয়। তিনটি শিশুই সুস্থ আছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে। জেলার গ্রামীণ হাসপাতালগুলিতে সিজারিয়ান ব্যবস্থা চালু করার জন্য জাতীয় গ্রামীণ স্বাস্থ্য মিশন প্রকল্পে বেশ কয়েক বছর ধরেই কেন্দ্র টাকা বরাদ্দ করছে। এর আগে হাওড়ার ডোমজুড় গ্রামীণ হাসপাতাল, জগৎবল্লভপুর গ্রামীণ হাসপাতাল এবং বাগনান গ্রামীণ হাসপাতালে সিজারিয়ান ব্যবস্থা চালু করা হয়। সেই তালিকারই নতুন সংযোজন হল আমতা গ্রামীণ হাসপাতাল। এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উলুবেড়িয়া উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক নির্মল মাজি বলেন, “আমতা গ্রামীণ হাসপাতালে এ দিন থেকেই ৮০ শয্যার অর্ন্তবিভাগ চালু করা হল। একই সঙ্গে এই হাসপাতালের আধুনিকীকরণের কাজও চলবে।” অন্যান্যদের সঙ্গে জেলা স্বাস্থ্য দফতর এবং জেলা প্রশাসনের কর্তারাও হাজির ছিলেন।

হাসপাতালে বিক্ষোভ, ক্ষুব্ধ স্বাস্থ্য আধিকারিক
রোগীদের বিক্ষোভের মধ্যে পড়তে হল হাসপাতালের এক চিকিৎসককে। তাঁকে ঘেরাও করে গালিগালাজ-সহ বহির্বিভাগের চেয়ার টেবিল উল্টে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। রোগী ও তাঁদের পরিবজনদের বিক্ষোভ চলার পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে। ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি রোগী দেখতে দেখতে বর্হিবিভাগ ছেড়ে চলে যান। আড়াই ঘন্টা পর ফের আসেন। ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জলপাইগুড়ির মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক স্বপন সরকার। তিনি বলেন, “এই ধরণের আচরণ মানা যায় না। মানুষ জনকে পরিষেবা না দিয়ে ওই চিকিৎসক দীর্ঘ সময় কেন বাইরে ছিলেন তা দেখা হচ্ছে।” রোগীর পরিজনেরা জানিয়েছেন, সকাল সোয়া ৯টা নাগাদ বর্হিবিভাগ চালু হয়। চার জন চিকিৎসকের জায়গায় এদিন মাত্র দুই জন চিকিৎসক রোগী দেখছিলেন। সকাল ১০ টা নাগাদ তাঁদের মধ্যে এক চিকিৎসক বাইরে চলে যান। সেই সময় ৩০০ রোগী লাইনে ছিলেন।

চিকিৎসায় শিশুর এইচআইভি মুক্তি, দাবি ডাক্তারদের
জন্মানোর তিরিশ ঘণ্টা পরে গুরুতর সংক্রমণ নিয়ে মিসিসিপির মেডিক্যাল সেন্টারে ভর্তি হয়েছিল শিশুটি। তবে যে সে সংক্রমণ নয়, রক্ত পরীক্ষায় শিশুটির শরীরে এইচআইভি পজিটিভ পাওয়া গিয়েছিল। এইচআইভি আক্রান্ত মায়ের থেকেই গর্ভস্থ শিশুটির শরীরে সংক্রমণ ছড়ায় বলে ধারণা চিকিৎসকদের। তবে মিসিসিপির মেডিক্যাল সেন্টারের চিকিৎসকেরা সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করেননি। শিশুটির রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট আসার আগেই শিশুটিকে অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল ড্রাগ দিতে শুরু করেন তাঁরা। সাধারণত এত অল্প বয়সে কোনও শিশুকে এর আগে অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল দেওয়া হয়নি। এর পর শিশুটির যখন এক মাস বয়স তখন রক্ত পরীক্ষায় শিশুটির শরীরে কোনও এইচআইভি সংক্রমণ পাওয়া যায়নি। তবে তখনও শিশুটিকে অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল ড্রাগ দেওয়া হচ্ছিল। এর পর হঠাৎ করেই শিশুটির মা হাসপাতালে আসা বন্ধ করে দেন। শিশুটির ওষুধও বন্ধ হয়ে যায়। এর পাঁচ মাস পরে ফের শিশুটিকে নিয়ে ফের হাসপাতালে আসেন ওই মহিলা। তখন রক্ত পরীক্ষা করে জানা যায় ওষুধ না নেওয়া সত্ত্বেও শিশুটির সংক্রমণ ফিরে আসেনি।

রাজ্যে তৃতীয় স্থান
রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য বিমা যোজনায় রাজ্যে তৃতীয় স্থান পেল দক্ষিণ দিনাজপুর। গত ১ মার্চ রাজ্যের স্বাস্থ্য ভবনে এক অনুষ্ঠানে দফতরের প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের হাত থেকে স্মারক পুরস্কার গ্রহণ করেন বালুরঘাট হাসপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মণ্ডল। গত এক বছরে বালুরঘাট হাসপাতাল থেকে ১,০৯২ জন রোগীকে ওই যোজনার আওতায় এনে আর্থিক সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। রাজ্যে প্রথম হয়েছে হাওড়া এবং দ্বিতীয় স্থান পেয়েছে বাঁকুড়া জেলা।

রোগীর ‘শ্লীলতাহানি’
এক রোগিণীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বন্ধ্যত্বের চিকিৎসা করাতে দু’দিন আগে ওই তরুণী হাসপাতালে ভর্তি হন। সোমবার অস্ত্রোপচারের পরে উত্তর ২৪ পরগনার হাবরার বাসিন্দা ওই তরুণীকে যখন ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তখনই ওই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেন তাঁর মা। কিন্তু অভিযুক্ত ব্যক্তি হাসপাতালেরই কর্মী কি না কিংবা কর্মী হলে কোন বিভাগের, সে বিষয়ে তিনি কিছু জানাতে পারেননি। এন্টালি থানায় দায়ের করা অভিযোগে তিনি শ্যামবর্ণ এক যুবকের কথা উল্লেখ করেছেন। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ওটি থেকে ওয়ার্ডের রাস্তায় প্রচুর বহিরাগতেরও ভিড় থাকে। তাদের কেউ এমন ঘটিয়েছে কি না সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অধ্যক্ষ শ্রীকান্ত পুরকায়েত জানান, দিন কয়েকের মধ্যেই হাসপাতালের তদন্ত কমিটি তাদের রিপোর্ট পেশ করবে।

আর্জি মমতার
সরকারি হাসপাতালের ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান থেকে রোগীদের ওষুধ কিনতে উৎসাহিত করার ব্যাপারে চিকিৎসকদের সাহায্য চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে মমতা লেখেন, “সরকারি ডাক্তারের পাশাপাশি গোটা চিকিৎসক সমাজের কাছে আমার আবেদন, সাধারণ মানুষের স্বার্থে তাঁরা এগিয়ে আসুন। ন্যায্য মূল্যের দোকান থেকে ওষুধ কিনলে রোগীরা তাঁদের টাকা অনেকটা বাঁচাতে পারবেন।” মুখ্যমন্ত্রী এ দিন আরও জানান, রাজ্যে মেডিক্যাল কলেজ, জেলা, স্টেট জেনারেল ও মহকুমা হাসপাতাল মিলিয়ে ৩৫টি ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান খোলার কথা। তার মধ্যে ইতিমধ্যে ২৪টি চালু হয়েছে। ভাল সাড়া মিলেছে। সরকার এ বার বিভিন্ন জায়গায় ন্যায্য মূল্যের ডায়াগনস্টিক ক্লিনিকও খুলছে। তাঁর কথায়, “চিকিৎসার খরচের ৫০-৮০% বেরিয়ে যায় ওষুধে। তাই ন্যায্য মূল্যে ওষুধ পাওয়া গেলে মানুষের উপকার হয়। এই দোকানগুলিতে জেনেরিক ওষুধ, সার্জিক্যাল দ্রব্য ও কার্ডিয়াক ডিভাইস প্রায় ৪৮-৬৭% কম দামে পাওয়া যাচ্ছে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.