ভেঙে পড়ল উল্টোডাঙার উড়ালপুল |
২০১১ সালের ৫ জানুয়ারি উল্টোডাঙা উড়ালপুলের উদ্বোধন হয়েছিল। আজ ভোরে তারই একাংশ ভেঙে পড়ল বাইপাস সংলগ্ন খালে। ভেঙে পড়ার সময় নীচে দাঁড়িয়ে থাকা একটি লরিকে আঘাত করে। এতে ৩ জন গুরুতর আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারাই আহতদের উদ্ধার করে আর জি কর হাসপাতালে ভর্তি করে। এরা সকলেই রাজস্থানের বাসিন্দা। যদি ভোরে না ভেঙে সকালে ভাঙত, তা হলে আরও অনেক বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত বলেই অভিমত পুলিশের। দুর্ঘটনার কারণ জানতে ঘটনাস্থলে পৌঁছন কেএমডিএ তথা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিশেষজ্ঞ দল। পৌঁছন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও স্থানীয় বিধায়ক সুজিত বসু। বহু ক্ষণ যাবত পুলিশ পুরো জায়গাটি ঘিরে রেখেছিল। ছিল দমকল ও ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট দল। খালের জলে ডুবুরি নামিয়ে দেখা হয়েছিল যে দুর্ঘটনার সময় অন্য কোনও গাড়ি বা ব্যক্তিরা খালের জলে পড়েছেন কিনা। উড়ালপুলের উপর গাড়ি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ করা হয়েছে। বহুদিন আগেই এই পুলের বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা গিয়েছিল। উড়ালপুলের বহু অংশে স্টিল গার্ডারের বদলে কংক্রিট গার্ডারের ব্যবহার হয়েছে। অর্থাত্ নির্মাণ কাজ নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। নির্মাণ শেষে রক্ষণাবেক্ষণ নিয়েও তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। নির্মাণের বরাত পাওয়া সংস্থা ম্যাকিনটোস বার্ন-এর তরফ থেকে এ ব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। পুরমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিশেষজ্ঞদের দিয়ে এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হবে। যদি নির্মাণ কার্যে কোনও গাফিলতি পাওয়া যায় তবে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর পুরমন্ত্রীর কথা মতোই কাজ করল বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট। নির্মাণ কার্যের সঙ্গে যুক্ত ৩টি সংস্থার বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ এনে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করা হয়েছে।
|
ইসলামপুরে বাসের ধাক্কায় মৃত সাইকেল আরোহী |
ইসলামপুরের মিলনপল্লিতে বাসের ধাক্কায় এক সাইকেল আরোহীর মৃত্যু ঘিরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। উত্তেজিত জনতা আগুন লাগিয়ে দেয় বাসটিতে। আগুন লাগান হয় আরও তিনটি বাসে। ভাঙচুর চালান হয় বেশ কয়েকটি গাড়িতে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। |