টুকরো খবর
বাড়িতে বৃষ্টির জল সঞ্চয়ে কী ব্যবস্থা, জানতে চাইল কোর্ট
নতুন বাড়ি এবং আবাসনে বৃষ্টির জল ধরে তা ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে কলকাতা পুরসভা কী ব্যবস্থা নিয়েছে, জানতে চাইল আদালত। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অরুণ মিশ্র এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়। সুব্রত মুখোপাধ্যায় মেয়র থাকাকালীন এই উদ্যোগ শুরু করে পুরসভা। কিন্তু পরবর্তী দুই পুরবোর্ড সে বিষয়ে আর এগোয়নি। অথচ গঙ্গার পরিশোধিত জলের সরবরাহে ঘাটতি থাকায় শহরে রোজ ৮৬ কোটি লিটার জল মাটির নীচ থেকে তোলা হচ্ছে। নানা জায়গায় জলস্তর নেমেছে ৭ থেকে ১১ মিটার। রাজ্যের ভূগর্ভস্থ জলসম্পদ আইনেও নতুন বাড়িতে বৃষ্টির জল ধরা বাধ্যতামূলক হয়েছে। তা-ও কার্যকর করা হচ্ছে না। এ দিন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত ডিভিশন বেঞ্চে লিখিত ভাবে এই তথ্য জানালে বিচাপতি নির্দেশ দেন, তিন সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য সরকার এবং কলকাতা পুরসভাকে জানাতে হবে এ ব্যাপারে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ দিন হাওড়ায় পানীয় জলের সরবরাহ বাড়াতে নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। সুভাষবাবু আদালতকে জানান, শ্রীরামপুরে হাওড়া পুরসভার জল পরিশোধনাগার থেকে বালি পুরসভাকে জল দেওয়ায় মাত্র ৪০ শতাংশ জল পান হাওড়ার মানুষ। হাওড়ায় অন্তত আটটি ওয়ার্ডে পুরসভা পানীয় জলের ব্যবস্থাই করতে পারেনি বলে লিখিত অভিযোগে জানান সুভাষবাবু।

বিসিএসদের ইংরেজি বলার নয়াপ্রশিক্ষণ
পরামর্শ ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই অনুসারে ডব্লিউবিসিএস অফিসারেরা ইংরেজিতে ‘বলিয়ে-কইয়ে’ হতে ব্রিটিশ কাউন্সিলে প্রশিক্ষণ নেবেন। মঙ্গলবার ব্রিটিশ কাউন্সিলের দুই প্রতিনিধি মহাকরণে গিয়ে রাজ্যের কর্মী ও প্রশাসনিক সংস্কার দফতরের সচিব অজিতরঞ্জন বর্ধনের সঙ্গে এই বিষয়ে সবিস্তার আলোচনা করেন। অজিতবাবু পরে জানান, মার্চের শেষ থেকেই ২৫ জনের এক-একটি দলে ভাগ হয়ে ডব্লিউবিসিএস অফিসারদের প্রশিক্ষণ শুরু হবে। ইংরেজি ভাষা বলা-কওয়ায় চোস্ত হতে দু’সপ্তাহ সময় পাবেন প্রত্যেক অফিসার। প্রশিক্ষণের সব খরচ বহন করবে রাজ্য সরকার। তবে শুধু ঝরঝরে ইংরেজি বলাই নয়। ইংরেজি ভাষায় বিভিন্ন ধরনের সরকারি চিঠি লেখা, কোনও আলোচনাচক্রে আচমকা প্রয়োজন হলে সরকারের নীতি এবং তা রূপায়ণের পরিকল্পনা ব্যাখ্যা করার রীতিও শেখানো হবে প্রশিক্ষণ শিবিরে। মহাকরণের খবর, মূলত, বিডিও-দের কথা ভেবেই প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছিল রাজ্য। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচন এগিয়ে আসায় আপাতত বিডিও-র পরিবর্তে অন্য স্তরের ডব্লিউবিসিএস অফিসারদের দিয়ে প্রশিক্ষণ শুরু হবে। ডব্লিউবিসিএস (এগ্জিকিউটিভ) অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সৌরভ চাকী সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ইংরেজি লিখতে অফিসারদের কোনও অসুবিধা নেই। তবে ইংরেজি বলার ব্যাপারে এই প্রশিক্ষণ কাজে লাগবে।

শীর্ষে দক্ষিণ দিনাজপুর
ধান সংগ্রহে রাজ্যের মধ্যে শীর্ষে পৌঁছতে চলেছে দক্ষিণ দিনাজপুর। সরকারি সহায়ক মূল্যে জেলাজুড়ে ৩৩৬টি শিবিরের মাধ্যমে জেলা খাদ্য ও সরবরাহ দফতর চাষিদের কাছ থেকে ৮৫,০০০ টন ধান কিনেছে। এই জেলার সরকারি এই উদ্যোগকে দৃষ্টান্ত রেখে পাশের জেলাগুলিকে উত্‌সাহ দিতে আগামী বৃহস্পতিবার বালুরঘাটে আসছেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ওই দিন বালুরঘাট সার্কিট হাউসের বৈঠকে মালদহ এবং উত্তর দিনাজপুরের খাদ্য দফতরের আধিকারিক ও প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক হবে বলে দক্ষিণ দিনাজপুরের খাদ্য নিয়ামক ভাস্কর হালদার জানান। তিনি বলেন, “আরও ধান কিনতে তৈরি। তবে খোলাবাজারে ধানের দাম বাড়ছে।” জেলার এই সফলতা নিয়ে আলোচনা ও লেভি চাল সংগ্রহের বিষয় নিয়ে খাদ্যমন্ত্রী তিন জেলাকে নিয়ে ওই বৈঠকে আলোচনা করবেন বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে সরকারি সূত্রের খবর, ধানের সরকারি সহায়ক মূল্য প্রতি কুইন্টাল ১২৫০ টাকা। বর্তমানে খোলা বাজার ও হাটে চাষিরা প্রতি কুইন্টাল ধান বিক্রি করে ১৩০০ থেকে ১৩৫০ টাকা পাচ্ছেন। সময়মত প্রশাসন থেকে জেলাজুড়ে সহায়ক মূল্যে ধান কিনতে নামায় ধানের বাজার তেজি হয়ে কৃষকেরা দাম পাচ্ছেন বলে মনে করছে প্রশাসন। জেলায় এ বছর ১লক্ষ ৬৩ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। উত্‌পাদন হয় প্রায় ৭ লক্ষ টান ধান।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.