পঞ্চায়েত ভোটে আদিবাসী বিকাশ পরিষদের সঙ্গে জোট গড়ে লড়ার ব্যাপারে একধাপ এগোল গ্রেটার কোচবিহার পিপলস পার্টি। সোমবার দিনহাটায় পিপলস পার্টির ডাকা সভায় পরিষদের তরাই ডুয়ার্স কমিটির সদস্য গঙ্গা কুজুর উপস্থিত ছিলেন। সভার আগে দুই শিবিরের নেতারা পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে বৈঠকও করেন। দিনহাটা প্রান্তিক বাজারে সভামঞ্চে নিজেদের অবস্থানের কথা স্পষ্ট করে দেন জিসিপিপির সভাপতি বংশীবদন বর্মন। তিনি বলেন, “পঞ্চায়েত ভোটে আমরা কোচবিহারের সব আসনে প্রার্থী দিতে চাইছি। এই ব্যাপারে পরিষদের তরফেও সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। আসন নিয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।” তাঁর দাবি, “জন বার্লা, রাজেশ লাকড়ার মত নেতাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। ওই সংগঠনের আরও অন্য গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গেও কথা বলে আমরা একজোট হয়ে লড়ার প্রস্তাব দিচ্ছি।”
পরিষদের ডুয়ার্স -তরাই শাখার সদস্য গঙ্গা কুজুর বলেন, “জিসিপিপির দাবির প্রতি আমাদের নৈতিক সমর্থন আছে। এ ছাড়া জলপাইগুড়িতে তফশিলি জাতির ভোটেরর ১৯ শতাংশ ও তফশিলি উপজাতির ৪০ শতাংশ ভোট রয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটে দুইটি সংগঠন এক হলে লক্ষ্যপূরণ সম্ভব হবে। আমাদের সংগঠনের সবাইকে একছাতার তলায় নিয়ে আসার চেষ্টা করছি। একে অপরের হয়ে প্রচারও করব।”
পরিষদের তরাই ডুয়ার্স কমিটি সম্পাদক রাজেশ লাকড়া বলেন, “বংশীবদন বর্মনের সঙ্গে আমার পরিচয় নেই। কথা হয়নি। জোট গড়ে লড়ার প্রস্তাব পেলে সাংগঠনিকভাবে ভেবে দেখা হবে। ব্যক্তিগতভাবে কে কি বললেন সে ব্যাপারে মন্তব্য করব না।” বংশীবদন বর্মন জেলে থাকার সময় নির্দল হয়ে কোচবিহারে লোকসভায় লড়ে প্রায় ৩৮ হাজার ভোট পান। জেল থেকে জামিনে ছাড়া পাবার পর নতুন দল গড়েন বংশীবদনবাবু। পঞ্চায়েত ভোটকে লক্ষ্য করে তিনি সংগঠন চাঙা করতে চাইছেন। তাছাড়া কোচবিহার রাজ্যের দাবিদারদের রাজ্য মানচিত্রে জলপাইগুড়ি থাকায় গোর্খাল্যান্ডের মানচিত্রে মোর্চার তরাই -ডুয়ার্স অন্তর্ভুক্তির দাবি মত নিজেদের দাবিও জোরাল করা যাবে বলে বংশীবাবুর দলের নেতারা মনে করছেন।
দিনহাটায় এ দিনের সভায় ভারতীয় শক্তিদলের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন নলিনীরঞ্জন রায়। তাঁর উপস্থিতি নিয়ে জেলার রাজনৈতিক মহলে নতুন সমীকরণ নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে। ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা সম্পাদক উদয়ন গুহ বলেন, “বামদল ছাড়া অন্য কারও সঙ্গে আঁতাতের কথা আমরা ভাবছি না।” এই ব্যাপারে সিপিএমের জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য অনন্ত রায়ের বক্তব্য, “বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির সঙ্গে আমরা নেই।” কংগ্রেসের জেলা সভাপতি শ্যামল চৌধুরী বলেন, “আমরা এককভাবেই লড়ব।” |