‘দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুন্দরবনে গিয়ে চালিয়েছিলেন লঞ্চ। এ বার দক্ষিণেশ্বরে ‘ভাই’ মদন মিত্র চালালেন বাস। সোমবার সকালে দক্ষিণেশ্বরে নিজের বিধানসভা এলাকায় নতুন কর্পোরেট বাসের উদ্বোধন করেন পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র। দক্ষিণেশ্বর থেকে আমতলা রুটে ৪টি কর্পোরেট বাসের উদ্বোধন করার সময়ে নিজেই চালকের আসনে বসে প্রণাম সেরে বাসে স্টার্ট দেন। মন্ত্রীর হাতেই কিছুটা দূর পর্যন্ত গড়ালো যাত্রী বোঝাই সেই বাসের চাকা। |
শুভ যাত্রা
মহানগরে এ বার চালু হল কর্পোরেট বাস পরিষেবা। |
পাশাপাশি কম্পিউটারাইজড বিশেষ টিকিট কাটার যন্ত্র দিয়ে যাত্রীদের থেকে ভাড়া নিয়ে টিকিটও কাটেন মদনবাবু। তিনি জানান, পরিবহণের উন্নয়নে রাজ্যের প্রতিটি জেলায় বেকার গরিব যুবকদের জন্য ৫০০টি ট্রেকার দেওয়া হবে।
|
শিক্ষক উচ্চশিক্ষার ছুটি চাইলে মঞ্জুরের নির্দেশ |
কোনও শিক্ষক যদি উচ্চশিক্ষার জন্য ছুটি চান, ছাত্রছাত্রী, শিক্ষা এবং শিক্ষকের স্বার্থেই তা মঞ্জুর করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। উত্তর দিনাজপুরের একটি স্কুলের শারীরশিক্ষার শিক্ষক তুষারশুভ্র মণ্ডল শারীরশিক্ষায় স্নাতকোত্তর পাঠ নেওয়ার জন্য দু’বছর ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। কিন্তু রাজ্যের স্কুলশিক্ষা দফতর তাঁকে ছুটি দিতে অস্বীকার করে। তিনি তখন উচ্চ আদালতে মামলা করেন। আবেদনকারীর আইনজীবী এক্রামুল বারি বলেন, ওই শিক্ষক স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পাওয়ার পরে কোনও রকম উচ্চ বেতনক্রম দাবি করবেন, এমন প্রশ্ন ওঠে না। অথচ স্কুলশিক্ষা দফতর ব্যয় নিয়ন্ত্রণ আইনের অজুহাত দেখিয়েই তাঁর ছুটির আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। কিন্তু এই ছুটির জন্য সরকারের কোনও অতিরিক্ত খরচের প্রশ্ন নেই। তাই ব্যয় নিয়ন্ত্রণ আইন এ ক্ষেত্রে প্রযোজ্যই নয়। আবেদনকারী ছুটিতে থাকাকালীন কোনও বেতন পাবেন না। তিনি শুধু উচ্চশিক্ষা লাভের পরে স্কুলের কাজে যোগ দেবেন। সেই সুযোগটুকু চেয়েই তিনি ছুটির আবেদন করেছিলেন। বিচারপতি প্রণব চট্টোপাধ্যায় ও বিচারপতি দীপক সাহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ ওই শিক্ষকের ছুটি মঞ্জুর করার নির্দেশ দেয়। রায়ে বলা হয়, এক জন শিক্ষক যদি উচ্চশিক্ষা লাভ করতে চান, কোনও আইনেই তা বন্ধ করা যায় না। ওই শিক্ষকের শারীরশিক্ষার স্নাতকোত্তর পড়াশোনা যাতে কোনও ভাবেই ব্যাহত না-হয়, তা দেখা উচিত। মনে রাখতে হবে, কোনও ব্যক্তির পড়াশোনায় হস্তক্ষেপ মানে তাঁর শিক্ষার অধিকারেই হস্তক্ষেপ। |