|
|
|
|
রমাকান্ত-অপহরণ মামলা |
পুলিশকে ভর্ৎসনা, পুনরায় তদন্তের নির্দেশ আদালতের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
এবিজি-বিতাড়ন পর্বে বন্দরের আধিকারিক রমাকান্ত বর্মনকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছিল বন্দরের ডেপুটি চেয়ারম্যান মনীশ জৈনের বিরুদ্ধে। সেই মামলায় তদন্তের গতিপ্রকৃতিতে অসন্তোষ প্রকাশ করে পুলিশকে পুনর্তদন্তের নির্দেশ দিল আদালত। সোমবার হলদিয়ার এসিজেএম দেবকুমার সুকুল এই প্রসঙ্গে পুলিশকে ভর্ৎসনাও করেন। অবিলম্বে মামলার তদন্তকারী অফিসার বদলানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
তদন্ত যথাযথ ভাবে হয়নি, এ কথা অবশ্য মানতে নারাজ হলদিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি। এ দিন আদালতের নির্দেশের পরে তিনি বলেন, “আমরা ঠিকমতোই তদন্ত করেছি। তবে আদালত যখন বলেছে, তখন ফের তদন্ত করা হবে।”
তৃণমূলের চাপে অতিরিক্ত শ্রমিক নিয়োগের অভিযোগ তুলে গত বছর অগস্টে বেশ কিছু শ্রমিক ছাঁটাই করেছিল হলদিয়া বন্দরের পণ্য খালাসকারী সংস্থা এবিজি। এ নিয়ে দীর্ঘ টানাপোড়েন চলে। বন্দর ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয় এবিজি। কাজ বন্ধ হয়ে যায় দুই ও আট নম্বর বার্থে। সেই সময় বন্দর বাঁচানোর স্বার্থে ‘হলদিয়া বন্দর অফিসার্স ফোরামে’র তরফে সরব হয়েছিলেন রমাকান্ত। তার জেরেই গত বছর ২৩ সেপ্টেম্বর বন্দরের বর্তমান ডেপুটি চেয়ারম্যান মনীশ জৈন রমাকান্তকে অপহরণ করেন বলে অভিযোগ ওঠে। ২৯ সেপ্টেম্বর হলদিয়া থানায় অপহরণ ও হুমকির অভিযোগ দায়ের করেন রমাকান্ত। সেই অভিযোগ মনীশ জৈন ছাড়াও তিনি হলদিয়া বন্দরে বাণিজ্যে আগ্রহী তৃণমূলের রাজ্যসভার এক সদস্যের নাম করেছিলেন।
পুলিশ নিয়মমাফিক তদন্ত শুরু করে। আদালতে চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেয়। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী রামাকান্তের দায়ের করা অভিযোগ সঠিক নয়। ফলে, চার্জশিটও দেয়নি পুলিশ। পুলিশি রিপোর্টে এ কথাও বলা হয়েছে যে, আইনকে ভুল পথে পরিচালনার চেষ্টা করেছিলেন রমাকান্ত। তাই তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হোক। এ দিন রমাকান্তের আইনজীবী বিমল মাজি আদালতে বলেন, “পুলিশ আমার মক্কেল বা সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। যে জায়গায় ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানেও তদন্তে যায়নি পুলিশ। ফলে, এই তদন্ত অসম্পূর্ণ।” বিমলবাবুর যুক্তি মেনেই তদন্তকারী অফিসার বদল করে পুনর্তদন্তের নির্দেশ দেন এসিজেএম। আগামী ২২ মে-র মধ্যে হলদিয়া থানার আইসি নিজে অথবা অন্য অফিসার দিয়ে তদন্ত করে যাতে রিপোর্ট জমা দেন, সেই নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
গত বছর ২৮ সেপ্টেম্বর এবিজি-র প্রতিযোগী এক পণ্য খালাসকারী সংস্থাও রমাকান্তের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছিল। অভিযোগ ছিল, ওই সংস্থার অফিসে ঢুকে হুমকি দিয়েছেন রমাকান্ত, টাকাও চেয়েছেন। সেই মামলায় এ দিন আগাম জামিন পেয়েছেন রমাকান্ত। প্রসঙ্গত, ফ্ল্যাট কিনে প্রোমোটারকে টাকা দিতে না পারার অভিযোগে গ্রেফতারও হয়েছিলেন বন্দরের এই আধিকারিক। সেই মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন। |
|
|
|
|
|