আক্রম-কেকেআর সাময়িক বিচ্ছেদ
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
নিজের দুই ছেলেকে আরও বেশি সময় দেওয়ার জন্য কলকাতা নাইট রাইডার্সের বোলিং পরামর্শদাতা হিসাবে সরে দাঁড়ালেন ওয়াসিম আক্রম। তবে এই বিচ্ছেদ সম্ভবত সাময়িক। আক্রমকে পুরোপুরি ছাড়তে চাইছে না নাইট কর্তৃপক্ষ। তাঁকে অনুরোধ করা হয়েছে, এক বছরের জন্য ‘ব্রেক’ নিতে এবং ২০১৪ সাল থেকে আবার টিমের দায়িত্ব নিতে। এমনকী কেকেআর যদি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে, তা হলেও আক্রমকে অনুরোধ করা হবে সেই সময়টায় দলের দায়িত্ব নিতে। আইপিএল, কমেন্ট্রি— সব কিছু নিয়ে ব্যস্ত থাকায় ছেলেদের জন্য সময় বার করতে পারছিলেন না পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক। কেকেআর ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শাহরুখ খানের সঙ্গে কথাও বলতে চেয়েছিলেন আক্রম। শাহরুখ শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত থাকায় সময় বার করতে পারেননি। কিন্তু কেকেআর ম্যানেজমেন্টের মনোভাব পরিষ্কার। আক্রমকে পুরোপুরি ছেড়ে দেওয়া যাবে না। তাই ঠিক হয়েছে আক্রমের পরিবর্তে কাউকে বোলিং কোচ হিসাবে নেওয়া হবে না। ফলে এ বারের আইপিএলে বোলিং কোচ ছাড়াই মাঠে নামবেন গৌতম গম্ভীররা। জাক কালিসকে বলা হবে প্যাটিনসনের মতো তরুণ পেসারদের একটু দেখে দিতে। এরই মধ্যে ভারতীয় দলের ফিল্ডিং কোচ ট্রেভর পেনিকে কেকেআরের ফিল্ডিং কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
|
ওডাফা যখন গোলকিপার
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
গোলকিপার ওকোলি ওডাফাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছেন স্ট্রাইকার শিল্টন পাল। আর শিল্টনকে বল বাড়াচ্ছেন মিডিও অরিন্দম ভট্টাচার্য। সোমবার মোহনবাগানের অনুশীলনে এই দৃশ্য দেখার পর ভিরমি খেতেই পারেন সবুজ-মেরুন সমর্থকরা। কিন্তু এটা আসলে বাগানের ফুটবলারদের চাপ কাটানোর একটা টোটকা। পরে অবশ্য ওডাফাকে ‘গোলকিপার ওডাফা’ বলে সম্বোধন করায় তিনি প্রায় আঁতকেই উঠলেন। বললেন, “না, না আমি গোলকিপার নই। অনুশীলনে মজা করছিলাম। আরও গোল করে দলকে জেতাতে চাই।” আসলে ইস্টার্ন রেলের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে ওডাফাও দেখে নিচ্ছিলেন তিন কাঠির তলায় দাঁড়িয়ে কীভাবে বল বাঁচান গোলকিপাররা। যাতে কম্পাস মাপা তাঁর শটগুলো যেন সরাসরি বিপক্ষের জালেই জড়ায়। বৃহস্পতিবার কোচ করিম বেঞ্চারিফা চলে আসছেন। সোমবার ফুটবলারদের বেতন নিয়ে আলোচনা করতে ইউ বি প্রতিনিধি অলোকেশ বন্দ্যোপাধ্যায় ক্লাবে এসেছিলেন। প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেছেন তিনি।
|
র্যান্টিদের মঞ্চে নায়ক জেমস
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ওডাফা বনাম ব্যারেটো দ্বৈরথ শেষ হয়েছিল অমীমাংসিত ভাবে। কিন্তু র্যান্টি মার্টিন্স বনাম ব্যারেটো লড়াই জিতলেন প্রথম জনই। যদিও দু’জনের কেউই গোল পেলেন না। বাংলা ফুটবলের ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর ছিলেন। কিন্তু কল্যাণীতে সেই ত্রয়ী ভবানীপুরের হোসে রামিরেজ ব্যারেটো কিংবা প্রয়াগ ইউনাইটেডের র্যান্টি মার্টিন্স, কার্লোস হার্নান্ডেজরা ম্লান হয়েই রইলেন। আর তাঁদের মঞ্চে দলকে ২-০ জিতিয়ে নায়ক হলেন প্রয়াগ ইউনাইটেডের জেমস সিংহ। প্রথমার্ধের ১৫ মিনিটে ডান পায়ের দূরপাল্লার শটে মণিপুরী ফুটবলার জেমস নিজে তো গোল করলেনই। দ্বিতীয়ার্ধের ৮০ মিনিটে তাঁর বাড়ানো বলেই দলের দ্বিতীয় গোল ভিনসেন্টের। ব্যারেটো যেমন সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট করলেন, তেমনই তাঁর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সহজ বল গোলে পাঠাতে ব্যর্থ র্যান্টি। কার্লোস ৬৭ মিনিট মাঠে থাকলেও তাঁর ফিটনেস সমস্যা বেশ প্রকট। এ দিন সুপার নাইনের অন্য ম্যাচে সাদার্ন সমিতি ২-১ হারাল ইস্টার্ন রেলকে। |