প্রণব বর্ধনের ‘শান্তি রক্ষার নামে গুন্ডামিকে প্রশ্রয়’-এর (১৯-২) প্রসঙ্গে এই পত্র। দীর্ঘ দিন অবিভক্ত বিহারে গবেষণা, বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকার সুবাদে বিহারের সমাজকে খুব কাছ থেকে দেখার অবকাশ হয়েছে। ১৯৯৭-’৯৮ সালের কথা, গোখাদ্য কেলেঙ্কারির বিভিন্ন তথ্য প্রকাশিত হচ্ছে, যখন এই সম্বন্ধে নিম্নবর্গের বিহারি ভাইদের প্রশ্ন করেছি, দেখেছি প্রিয় ‘লালুয়ার’ প্রতি পূর্ণ সমর্থনে তাঁরা তীব্র প্রতিপ্রশ্ন করেছেন‘ইতনে দিন যো আপলোগ খায়ে, হামলোগ কুছ বোলে ক্যায়া? উয়ো তো ফিরভি সব জাতকে সাথ মিল বাঁটকে খাতা হ্যায়?’ পুনঃ প্রশ্ন করি‘ফিরভি ইয়ে সহি হ্যায় ক্যায়া’? সলজ্জ প্রশ্রয়পূর্ণ উত্তর, ‘হামারা আদমি হ্যায়, করনে দিজিয়ে’। একেই কি ‘কাস্ট রিলেশন’ বলে? একেই Anomie বলেছেন ডুরখেইম সাহেব?
সময় বয়ে চলে, আবার প্রশ্ন করি, ‘অব কুছ বদল হোগা ক্যায়া’? ম্লান কিন্তু দৃঢ় জবাব পাই ‘হোগা তো জরুর, হামহি লোগ করেঙ্গে’। ক্রমে দেখি যাদব কুলপতির বিদায়। নিম্নবর্গের নতুন নেতার উত্থান, যিনি দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসনের আশ্বাস দিয়ে ক্ষমতায় আসেন এবং উন্নয়নের পরিকাঠামোকে সুদৃঢ় করেন। (ছবিতে নীতীশ কুমার) ভাবি, গণতন্ত্র কি তা হলে নিঃশব্দ বিপ্লব আনে? তথাকথিত ‘নিম্নবর্গের’ রাজনৈতিক বিবেচনাবোধ কি এ ভাবেই ‘সামাজিক পুনঃপ্রযুক্তির’ পথ সুগম করল না? মনে হয়, সেটাই সাম্প্রতিক ইতিহাসের শিক্ষা।
অরুণাভনারায়ণ মুখোপাধ্যায়। আমতলা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা |