টুকরো খবর |
৯০ শতাংশ নম্বরের দাবি, প্রহৃত শিক্ষক
নিজস্ব সংবাদদাতা |
শুধু পাশ করালেই হবে না, চাই ৯০ শতাংশ নম্বর। এ বার এই দাবিতে ছাত্রদের হাতে অধ্যাপক নিগ্রহের অভিযোগ উঠল জে বি রায় আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। এ ঘটনায় অভিযোগের তির কলেজের তৃণমূল ছাত্র সংগঠনের দিকে। অভিযোগ, তৃতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষায় তৃণমূল সমর্থক কিছু পড়ুয়া ৯০ শতাংশ নম্বর না-পাওয়ায় কেদারনাথ সাউ নামে এক অধ্যাপককে সোমবার আউটডোরেই মেরে মুখ ফাটিয়ে দেয়। তাঁর গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ও উল্টোডাঙা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন কেদারনাথবাবু। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি শঙ্কুদেব পণ্ডা বলেন, “ভাঙচুর, গোলমাল হয়েছে শুনেছি। অধ্যাপক কেদারনাথবাবু অভিযোগ করেছেন। ঠিক কী হয়েছে, খোঁজ নিচ্ছি।” কী ঘটে এ দিন? কেদারনাথবাবু বলেন, “আউটডোরে হঠাৎ ছাত্রেরা এসে আমাকে এলোপাথাড়ি থাপ্পড়, লাথি, ঘুষি মারল। নাকমুখ দিয়ে রক্ত পড়ছিল। কোনওক্রমে প্রাণে বেঁচেছি। গাড়িটাও ভেঙে দিয়েছে।” কলেজ সূত্রে খবর, গত কয়েক বছর ধরেই পড়ুয়াদের বেশি নম্বর দিতে ছাত্র সংগঠনের চাপ বাড়ছে। এক অধ্যাপকের কথায়, “যাঁরা ভর্তি হন, ১০-১২ জন বাদ দিয়ে বাকিরা পাশ করারই যোগ্য নন। ছাত্র সংগঠনের ভয়ে তাঁদের ৯০ শতাংশের বেশি নম্বর দিতে হয়। তা এ বার ক’জনের ক্ষেত্রে হয়নি বলেই রাগ। ফেল করা এক জনকেও পাশ করাতে চায় ওরা।” অধ্যক্ষ গোবিন্দচন্দ্র পোল বলেন, “বিষয়টা সকলেই জানে। সব দেখেও চুপ থাকতে হয়। হেনস্থার ভয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ করেন না।” স্বাস্থ্য ভবনে আয়ুর্বেদিক বিষয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেজবাউল হক বলেন, “অধ্যক্ষের রিপোর্ট চেয়েছি। খতিয়ে দেখে তদন্ত করব। লিখিত অভিযোগ না-পেলে শাস্তি-প্রক্রিয়া এগোনো মুশকিল।”
|
রক্ষীদের ‘মারধর’, গ্রেফতার ২ চিকিৎসক |
মত্ত অবস্থায় নিকো পার্কের রক্ষীদের মারধর ও গালিগালাজের অভিযোগে ২ চিকিৎসককে রবিবার রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতেরা হলেন সুজয়েশ হালদার ও অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। সোমবার তাঁদের আদালতে তোলা হয়। পরে তাঁরা জামিনে মুক্তি পান। পুলিশ সূত্রের খবর, রবিবার রাতে পার্কে দন্তচিকিৎসকদের এক সর্বভারতীয় সংগঠনের বার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষে নৈশভোজে যোগ দেন প্রায় ৯০০ জন। নিকো পার্ক সূত্রে খবর, ১১টা নাগাদ ওই আসরের পরে বাইরে কিছু চিকিৎসক পানীয়ের দাবিতে গোলমাল করেন বলে অভিযোগ। নিরাপত্তাকর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রথমে গোলমাল মিটলেও পরে কয়েক জন চিকিৎসকের সঙ্গে রক্ষীদের ফের ঝামেলা শুরু হয়। অভিযোগ, এক নিরাপত্তাকর্মীকে চিকিৎসকেরা মারতে শুরু করেন। তাঁকে বাঁচাতে আর এক রক্ষী খোকন দাস ছুটে গেলে সুজয়েশ বাঁশ দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করেন। তাঁর মাথা ফেটে যায়। পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, সুজয়েশকে ছাড়াতে অন্য চিকিৎসকেরা গেলে খোকনবাবু আর এক হামলাকারী অভিষেককে শনাক্ত করেন। তিনিও আটক হন। দন্তচিকিৎসকদের ওই সংগঠনের চেয়ারম্যান অভিজিৎ মাহাতা বলেন, “রক্ষীদের সঙ্গে দুই চিকিৎসকের মারপিট হয় বলে শুনেছি। এক চিকিৎসক রক্ষীকে বাঁশ দিয়ে মেরেছেন বলে অভিযোগ। তখন বাড়ি চলে গিয়েছিলাম। কেউ দোষী হলে শাস্তি পাওয়া উচিত।”
|
পথ জুড়ে মিছিলে ফের গতিহারা মহানগর |
|
মিছিলের জেরে থমকে ধর্মতলা চত্বর। সোমবার। ছবি: সুমন বল্লভ |
ধর্মীয় একটি শোভাযাত্রা তালগোল পাকিয়ে দিল শহরের যান চলাচল ব্যবস্থাকে। সোমবার, মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিনে বিপাকে পড়ল পরীক্ষার্থীরাও। কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ জানায়, দুপুর ২টো থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই মিছিলের জেরে শহরের বহু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় দীর্ঘ যানজট হয়। তা স্বাভাবিক হতে সন্ধ্যা পেরিয়ে যায়। তিলজলা রোড থেকে ওই শোভাযাত্রা বেরোয়। সিআইটি রোড, মৌলালি, লেনিন সরণি, নির্মলচন্দ্র স্ট্রিট, বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট, জওহরলাল নেহরু রোড, পার্ক স্ট্রিট, পার্ক সার্কাস সাত মাথা মোড় হয়ে সেটি ফের তিলজলা রোডে শেষ হয়। কয়েক হাজার ভক্ত হেঁটে এবং ছোট-বড় গাড়িতে অংশ নেন। পুলিশের দাবি, রাস্তার মাঝখানে বার বার থেমে যায় শোভাযাত্রা। তাতেই সমস্যা বাড়ে।
|
বকেয়া আদায়ে পথে পুরপ্রধান |
ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বকেয়া আদায় করতে পথে নামলেন খোদ পুরসভার চেয়ারপার্সন। সোমবার সকালে বিধাননগরের সিএ মার্কেটে। পুরসভা সূত্রে খবর, বিধাননগরের ১৬টি মার্কেট থেকে বকেয়া ছিল ৪২ লক্ষাধিক টাকা। পাশাপাশি, দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল দোকানগুলির নথিভুক্তকরণ। সে বাবদও ন্যূনতম পাঁচ কোটি টাকা আয় হতে পারে বলে অনুমান। দীর্ঘদিন ধরেই অর্থ সঙ্কট চলছে বিধাননগর পুরসভায়। সম্প্রতি তাই বকেয়া আদায়ে জোর দেন পুর-কর্তৃপক্ষ। ব্যবসায়ীদের সেই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। পরিকল্পনা মতো সোমবার সিএ মার্কেট থেকে অভিযান শুরু করা হয়। চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী, চেয়ারম্যান পারিষদ বর্গ-সহ হাজির ছিলেন আধিকারিকেরাও। কৃষ্ণাদেবীর দাবি, ব্যবসায়ীরাই এগিয়ে এসেছেন। এ দিন মোট ১ লক্ষ ৪৭ হাজার টাকা আদায় হয়।
|
বাজার-সুরক্ষায় |
কলকাতা পুরসভার বড় বাজারগুলিতে সিসিটিভি বসানো হবে। হায়দারাবাদে বোমা বিস্ফোরণের পরে শহরের কয়েকটি বাজারকে সুরক্ষিত করতে চায় পুরসভা। সেই সঙ্গে আগুন নেভানোর সব রকম পদক্ষেপও করা হবে। সোমবার পুরসভায় এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে ছিলেন দমকলের ডেপুটি ডিরেক্টর গোপাল ভট্টাচার্য সহ পদস্থ পুর-অফিসারেরা। মেয়র পারিষদ (বাজার) তারক সিংহ জানান, শহরে পুরসভার ৪৬টি বাজার আছে। কোথাও অগ্নি-নির্বাপণের ব্যবস্থা তেমন ভাবে নেই। দমকলের সাহায্যে প্রতিটি বাজারে আগুন নেভানোর সব রকম ব্যবস্থা করা হবে।
|
জখম পরীক্ষার্থী |
মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে গিয়ে মাথায় সিলিং ফ্যানের ব্লেড পড়ে জখম হল এক ছাত্র। সোমবার, ‘দি ওরিয়েন্টাল সেমিনারি’ স্কুলে। পুলিশ জানায়, পিলখানার বাসিন্দা শাম মইনুদ্দিনের মাথায় তিনটি সেলাই পড়েছে। ছাত্রটি জানিয়েছে, সে সুস্থ আছে। এ দিন পর্ষদের নির্দেশে অতিরিক্ত সময়ে সে পরীক্ষা শেষ করে। কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে পর্ষদ।
|
টাকা ছিনতাই |
এক ব্যক্তির থেকে টাকা ভর্তি ব্যাগ ছিনিয়ে পালাল দুষ্কৃতীরা। সোমবার বেলা ১২টা নাগাদ, কেষ্টপুরের রবীন্দ্রপল্লিতে। পুলিশ জানায়, প্রদীপ রায় নামে ওই ব্যক্তি একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা তুলে বাড়ির দিকে আসছিলেন। মোটরবাইকে চেপে দুই দুষ্কৃতী এসে তাঁর ব্যাগটি ছিনিয়ে নেয়। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন মাধ্যমিক থাকায় ওই অঞ্চলের স্কুলগুলির সামনে টহলদারি বেশি ছিল। সেই সুযোগেই দুষ্কৃতীরা এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে অনুমান পুলিশের।
|
বন্দি-নিগ্রহে জেলার বদলি |
বন্দির উপরে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ ওঠায় দমদম জেলের জেলার বিনোদ সিংহকে সরিয়ে দিল রাজ্যের কারা প্রশাসন। তাঁকে জলপাইগুড়ি সেন্ট্রাল জেলে পাঠানো হয়েছে। নিগৃহীত বন্দি বিক্রম মাহাতোর বোন রূপা মাহাতো গত সপ্তাহে কারামন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তীর সঙ্গে দেখা করে ওই জেলারকে সাসপেন্ড করার আর্জি জানিয়েছিলেন। কারা দফতর সূত্রের খবরদমদম জেলের ভিতর থেকে তোলাবাজি-সহ বিভিন্ন অসামাজিক কাজের অভিযোগ ছিল। তাই জেলারকে সরানো হয়েছে।
|
জরুরি অবতরণ |
মুম্বই থেকে আসার পথে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় সোমবার রাতে কলকাতায় জরুরি অবতরণ করল জেট এয়ারওয়েজের একটি বিমান। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, কলকাতার কাছাকাছি এসে পাইলট এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)-কে যান্ত্রিক ত্রুটির কথা জানান। ওই ত্রুটি নিয়ে বিমানটি নামলে রানওয়ে আটকে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। নামার জন্য তত ক্ষণে ওই বিমানের পিছনে আরও কয়েকটি বিমান চলে এসেছে। তাই দ্বিতীয় রানওয়েটিও খুলে দেওয়া হয়। তবে জেটের বিমানটি ১৩৬ যাত্রী নিয়ে প্রধান রানওয়েতেই নামে। |
|