শহরের এক মিউনিসিপ্যাল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সহ-প্রধান শিক্ষককে গালিগালাজ করা ও প্রাণনাশের হুমকি দেবার অভিযোগ উঠেছে এক তৃণমূল নেতা তথা স্কুলের পরিচালন সমিতি সদস্যের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত নেতার নাম সুব্রত কুশারি। জেলায় তিনি পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের অনুগামী বলে পরিচিত।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, “আসলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক গত বছর বেশ কয়েকজন ছাত্রকে অবৈধ উপায়ে ভর্তি করিয়েছেন। আমি তাঁর সঙ্গে ওই বিষয়টি নিয়ে প্রায়ই কথা বলি। তাঁকে ভুল শুধরে নিতে বলি। নাহলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করবো বলেও জানাই। তিনি তাই ভয় পেয়ে গিয়ে আমাকে ফাঁসাবার মতলব এঁটেছেন। আমি সমস্তটা উচ্চশিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে লিখিতভাবে জানিয়েছি।”
সোমবার সকালে স্কুলের প্রধানশিক্ষক শম্ভুনাথ চক্রবর্তী বর্ধমানের পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জার সঙ্গে দেখা করে সুব্রতবাবুর বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ জানান। লিখিত অভিযোগে তাঁর দাবি, রবিবার সকাল ১০টা নাগাদ প্রথমে তাঁকে ও পরে স্কুলের সহ-প্রধান শিক্ষক অরুনাভ চক্রবর্তীকে নিজের মোবাইল থেকে ফোন করেন সুব্রতবাবু। ফোনেই তাঁদের অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি দেন। কয়েকদিন আগে স্কুলের শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি নির্বাচনে তাঁর পছন্দের প্রার্থী হেরে যাওয়ার জেরেই ওই নেতা তাঁদের উপর ক্ষুব্ধ বলে দাবি শম্ভুনাথবাবুর। এসপি বলেন, “বর্ধমান থানাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। দুই শিক্ষকের মোবাইলের কললিস্টও পরীক্ষা করা হবে। তদন্তে ওই ব্যক্তি অপরাধী প্রমাণিত হলে আমরা আদালতে ওঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবো।” |