হকি ম্যাচের জন্য অনুশীলন সারলেন র্যাম্পার্টের দিকে, গোলপোস্টের পিছনে। তা সত্ত্বেও আয়োজক ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই এএফসি কাপ খেলতে শহরে আসা মালয়েশিয়ার ক্লাব সেলাঙ্গর-এর ফুটবলারদের। বরং মাঠ ছাড়ার সময় ইস্টবেঙ্গল তাঁবুর সঙ্গে অতীত সম্পর্কজড়িত আবেগ লেবাননের রামিজ দায়ুবের গলায়। বলে গেলেন, “২০০৯-এ প্রথম দিন লাল-হলুদ তাঁবুতে ঢোকার কথা মনে পড়ছে। পরিবেশ অনেক বদলে গিয়েছে।”
ইস্টবেঙ্গলের চতুর্থ বিদেশি বরিসিচ-এর কথা শুনেছেন সেলাঙ্গর ডিফেন্ডার দায়ুব। জানেন, বিগত কয়েক বছর ধরে ফেডারেশন কাপে ইস্টবেঙ্গলের ধারাবাহিক সাফল্যের কথাও। ইস্টবেঙ্গল কোচ ট্রেভর জেমস মর্গ্যান এএফসি কাপকে সে ভাবে গুরুত্ব না দিলেও কলকাতার গরমের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতেই অ্যাওয়ে ম্যাচের চার দিন আগেই শহরে চলে এসেছে মালয়েশিয়ার দলটি। সৌজন্যবশত তাই এ দিন হকি ম্যাচ থাকা সত্ত্বেও মাঠে হালকা গা ঘামানোর সুযোগ করে দিয়েছিল আয়োজক ইস্টবেঙ্গল।
গোল পার্থক্যের কারণে মালয়েশিয়ান লিগে এই মুহূর্তে দ্বিতীয় সেলাঙ্গর। মালয়েশিয়ার জাতীয় দলের তিন জন রয়েছেন দলটিতে। দায়ুব-সহ চার বিদেশির মধ্যে স্লোভাকিয়ার মিখায়েল কুবালা আবার ইউরোপে চুটিয়ে খেলেছেন বেশ কয়েক বছর। কোচ ইরফান বক্তি আবু সালিম আশাবাদী জয়ের ব্যাপারে। বললেন, “ইস্টবেঙ্গল সম্পর্কে ধারণা রয়েছে। ভারতের অন্যতম সেরা দল। ম্যাচটা সহজ হবে না। তবে আমরা জিততেই এসেছি।” |